নিজস্ব প্রতিবেদক : মার্চে বিদ্যুৎ সরবরাহে কিছুটা বিভ্রাট হতে পারে বলে জানিয়েছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ এমপি। তবে প্রতিমন্ত্রীর আশা এতে বড় সমস্যা হবে না।
আজ বুধবার বিদ্যুৎ ভবনে রমজান, সেচ মৌসুম ও গ্রীষ্মে বিদ্যুৎ উৎপাদন ও শিল্পে গ্যাস সরবরাহ সংক্রান্ত সভা শেষে বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী এ মন্তব্য করেন।
তিনি বলেন, বিকাল ৪টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত সিএনজি ফিলিং স্টেশন বন্ধ রাখতে বলা হয়েছে।
গতকাল মঙ্গলবার দেওয়া আদেশে বিকাল ৫টা থেকে রাত ১০ পর্যন্ত সিএনজি ফিলিং স্টেশন বন্ধের কথা বলা হয়েছিল। আর আগে থেকে সন্ধ্যা ৬টা রাত ১১টা পর্যন্ত ৫ ঘণ্টা সিএনজি ফিলিং স্টেশনবন্ধ কার্যকর ছিল।
অন্যদিকে ঈদের আগের পরে ৭ এপ্রিল থেকে ১৮ এপ্রিল পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টা সিএনজি ফিলিং স্টেশন খোলা রাখার কথা বলা হয়েছে। ১৯ এপ্রিল থেকে পূর্বের অবস্থায় যেতে বলা হয়েছে। অর্থাৎ ১৯ এপ্রিল থেকে সন্ধ্যা ৬টা থেকে রাত ১১টা পর্যন্ত বন্ধের আদেশ বহাল থাকবে।
আবাসিকে গ্যাস সংকট প্রসঙ্গে বলেন, সেখানে যেহেতু বিকল্প রয়েছে, তাই আপাতত চিন্তা করছি না। প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমরা ২০ শতাংশ গ্যাস আমদানি করতাম। একটি এফএসআরইউ নিয়মিত সার্ভিসিংয়ে থাকায় গ্যাস সরবরাহ ১০ শতাংশ কমে গেছে। সার্ভিসিংয়ে থাকা এফএসআরইউ ৩০ মার্চের আগে আসবে না। এতে কিছুটা সংকট রয়ে গেছে। সেচ মৌসুম শুরু হয়ে আমরা চাচ্ছি রাত ১২-৬টা পর্যন্ত সেচ পাম্প চলবে। এইটা আরও বাড়ানো যায় কি না ভাবা হচ্ছে।
এসময় বিদ্যুৎ বিভাগের সিনিয়র সচিব হাবিবুর রহমান, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের সচিব নুরুল আলম, পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান জনেন্দ্র নাথ সরকার, বিপিডিবির চেয়ারম্যান মাহবুবুর রহমানসহ মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।