নইন আবু নাঈম, (বাগেরহাট) : বাগেরহাটের শরণখোলায় মৃত গরু জবাই দিয়ে বিক্রির প্রস্তুতিকালে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জাহিদুল ইসলাম অভিযান চালিয়ে রায়েন্দা বাজারের পাঁচরাস্তা এলাকার বান্দাঘাটা থেকে প্রায় ৫মন গরুর মাংস জব্দ করেছে। এ সময় মূল হোতা কসাই আব্দুল হালিম হাওলাদার দৌড়ে পালিয়ে গেলে ও ঘটনার সাথে জড়িত থাকার সন্দেহে হালিমের স্ত্রী সহ ৩ জনকে আটক করে থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেছে। ২৪ মার্চ দুপুর সাড়ে বারোটার দিকে উপজেলার বান্দাঘাটা এলাকা থেকে ভ্যানের উপরে রাখা দুইটি ড্রাম থেকে এ মাংস জব্দ করে।
স্থানীয় ও উপজেলা প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, উপজেলার রায়েন্দা ইউনিয়নের উত্তর কদমতলা গ্রামের বাসিন্দা দেলোয়ার হাওলাদারের পুত্র শরণখোলা উপজেলা প্রশাসন মার্কেটে মাংস বিক্রেতা কসাই আব্দুল হালিম হাওলাদার(৩০) ২৪ মার্চ ভোর সাড়ে পাঁচটা দিকে উপজেলা প্রশাসন মার্কেটের পশ্চিম পাশে নির্ধারিত গরু জবাইয়ের স্থানে একটি মরা গরু জবাই করছে এমন গোপন সংবাদ শরণখোলা উপজেলা প্রেসক্লাবের ২/১ জন সাংবাদিককে অবহিত করে স্থানীয় কয়েক ব্যাক্তি।
পরে তাৎক্ষণিক বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে অবহিত করে সাংবাদিকরা। পরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জাহিদুল ইসলাম উপজেলা সদর রায়েন্দা বাজারের পাঁচরাস্তা এলাকা থেকে সামনে বান্দাঘাটা এলাকায় অভিযান চালায়। এ সময় নির্বাহী কর্মকর্তার উপস্থিতি টের পেয়ে মাংস বিক্রেতা কসাই আব্দুল হালিম ছিটকে পড়ে। পরে ঘটনা স্থল থেকে একটি অটো ভ্যানের মধ্যে ২টি ড্রামে ভর্তি প্রায় ৫মন গরুর মাংস যব্দ করে।
এ ঘটনার সাথে জড়িত থাকতে পারে এমন সন্দেহে হালিমের স্ত্রী জরিনা আক্তার(২৫), হালিমের দুই ভাই আলামিন(৪৫) ও ডালিম(৩৫)কে আটক করে জব্দকৃত মাংস সহ শরণখোলা থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে।
এ ব্যাপারে শরণখোলা থানা পুলিশের অফিসার ইনচার্জ এএইচএম কামরুজ্জামান বলেন, তিনি বিষয়টি শুনেছেন এবং অফিসিয়াল কাজে বাগেরহাটের পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে অবস্থান করছেন। তবে এ ঘটনার সাথে জড়িত কসাই আব্দুল হালিমকে গ্রেফতারের জন্য পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
এ ব্যাপারে শরণখোলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জাহিদুল ইসলাম বলেন, ঘটনার মূল হোতা কসাই হালিম হাওলাদার পলিয়ে যায়। তবে এর সাথে জড়িত সন্দেহে তিন জনকে আটক করা হয়েছে। তদন্তে দোষী প্রমানিত হলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।