স্ত্রীর কাটা মাথা নিয়ে থানায় স্বামী

আন্তর্জাতিক

ডেস্ক রিপোর্ট : পারিবারিক বিবাদের জেরে স্ত্রীকে খুন করে তার স্বামী। তারপর তার কাটা মাথা হাতে সোজা পৌঁছে যায় থানায়। সেখানে গিয়ে জাতীয় সঙ্গীত গাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ‘ভারতমাতা কি জয়’ বলেও স্লোগান দেয়।


বিজ্ঞাপন

নৃশংস এই ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর প্রদেশের বারাবাঁকি জেলার জাহাঙ্গীরবাদ থানায়। এই ঘটনার জানাজানি হওয়ার পর থেকেই স্থানীয়দের মাঝে তীব্র আতঙ্ক বিরাজ করছে।

ভারতীয় গণমাধ্যম সংবাদ প্রতিদিন জানায়, উত্তরপ্রদেশের জাহাঙ্গীরবাদ থানার অন্তর্গত বাহাদুরপুর গ্রামে বাস করত অখিলেশ রাওয়াত ও তার স্ত্রী। তবে নিহতের নাম তারা নিশ্চিত করেনি। প্রতিবেশীরা বলেন, মাঝে মধ্যে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে ওই দম্পতির মধ্যে ঝগড়া হতো। শনিবার তা চরমে পর্যায়ে পৌঁছে যায়। ঝগড়ার এক পর্যায়ে রাগের মাথায় স্ত্রীকে খুন করে অখিলেশ। তারপর মাথা কেটে নিয়ে হাঁটতে হাঁটতে সোজা জাহাঙ্গীরপুর থানার সামনে গিয়ে উপস্থিত হয়।

হঠাৎ ওই যুবক এক নারীর কাটা মাথা নিয়ে থানার সামনে এসেছে দেখে প্রথমে বিস্ময়ে চোখ কপালে ওঠে সেখানে উপস্থিত পুলিশ সদস্যদের। পরে তারা অখিলেশের হাত থেকে তার স্ত্রীর মাথাটি কেড়ে নেয়ার চেষ্টা করেন। কিন্তু তা দিতে রাজি হয়নি অখিলেশ। মাথাটি নিয়ে উভয়পক্ষের মধ্যে যখন টানাটানি হচ্ছে সেসময় হঠাৎ গলা ছেড়ে জাতীয় সংগীত গাইতে আরম্ভ করে সে। ‘ভারতমাতা কি জয়’ বলে স্লোগানও দিতে থাকে। কিছুক্ষণ বাদে অবশ্য তার থেকে স্ত্রীর কাটামাথাটি ছিনিয়ে নিতে সক্ষম হন পুলিশ সদস্যরা। এসময় ওই যুবককে গ্রেপ্তারও করা হয়।

এই প্রসঙ্গে বারাবাঁকি জেলার পুলিশ সুপার অরবিন্দ চতুর্বেদী বলেন, প্রাথমিকভাবে জানা গেছে যে পারিবারিক বচসার জেরেই স্ত্রীকে খুন করে অখিলেশ। তারপর তার মাথা কেটে সোজা থানায় চলে আসে। সেখানে পুলিশ কর্মীদের সঙ্গে ধস্তাধস্তিও করে।


Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *