নইন আবু নাঈম, (বাগেরহাট) : পূর্ব সুন্দরবনের শরণখোলা রেঞ্জের কটকা অফিস থেকে দুরে দুধমুখি নদীতে মাছ ধরার জাল পাতাকে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষ পাথরঘাটার পদ্মা ¯øুইজ এলাকার রফিকুল ইসলামের নেতৃত্বে ২০/২৫ জনের একটি সংগবদ্ধ দল লাঠি, হাতুড়ি ও দা দিয়ে কুপিয়ে শরণখোলার ৫ জেলে গুরুতর আহত করে। এসময় হামলাকারীরা দেলোয়ার হাওলাদার নামে এক জেলের নৌকা থেকে নগদ ২ লাখ ৫০ হাজার টাকা এবং একটি মোবাইল ছিনিয়ে নেয়। পরে কটকার বনরক্ষীরা ৪ রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছাড়লে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আসে। আহতদের শরণখোলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে ২৭ মার্চ ভোর সাড়ে ৬টার দিকে কটকা স্টেশন সংলগ্ন দুধমূখি এলাকায়।
ফিরে আসা জেলেরা জানায়, পূর্ব সুন্দরবনের শরণখোলা রেঞ্জের কটকা অফিস থেকে দুরে দুধমুখি নদীতে বিভিন্ন প্রজাতির মাছ ধরার জাল পাতাকে কেন্দ্র করে পাথরঘাটার হালিম খাঁর পুত্র রফিকুল নিজের এলাকা দাবি করে এবং ফরেষ্টার দের কাছ থেকে ওই এলাকা ভাড়া নিয়েছে এমন অভিযোগ এনে মাছ ধরতে শরণখোলার জেলেদের নিষেধ করে কিন্তু বিষয়টি জেলেরা আমলে না নিলে তাদের উপরে রফিকুলের নের্তৃত্বে ২০/২৫ জনের একটি সংগবদ্ধ দল ৫টি ট্রলার যোগে লাঠি, হাতুড়ি ও দা দিয়ে হামলা চালায়। এতে শরণখোলা উপজেলার উত্তর রাজাপুর এলাকার বসিন্দা কাসেম হাওলাদারের পু দেলোয়ার হাওলাদার(৫৫), একই এলাকার ইব্রাহিমের পুত্র কাওসার (২৫), বাদল শিকদারের পুত্র নাজমুল শিকদার(২০), ফজলু মুন্সির ছেলে মাসুদ মুন্সি(৪৫) ও পশ্চিম খাদা এলাকার রুস্তুম হাওলাদারের পুত্র আসাদ হাওলাদার(৩০) গুরুতর আহত হয়। আহতদের শরণখোলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। এ সময় হামলাকারীরা দেলোয়ার হাওলাদারের ট্রলার থেকে মাছ বিক্রির ২ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা ও একটি মোবাইল নিয়ে যায়।
এ ব্যাপারে উত্তর রাজাপুর গ্রামের বাসিন্দা ইউনুস হাওলাদারের পুত্র ও জেলেদের মহাজন রফিকুল ইসলাম জানায়, পদ্মা ¯øুইজ এলাকার হালিম খাঁর পুত্র রফিকুল খাঁ সুন্দরবনে জেলেদের কাছে একটি ত্রাস। তার দীর্ঘদিন ধরে সুন্দরবনে পেশীশক্তি ব্যবহার করে জেলেদের উপর হামলা করে আসছে। তার লোকের অত্যাচারে সুন্দরবনে মাছ ধরা কষ্টকর হয়ে পড়েছে। অপর দিকে পদ্মা ¯øুইজ এলঅকার হালিম খার পুত্র রফিকুল জেলেদের উপর হামলার বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, তার জেলেদের উপর হামলা করেছে এবং এতে ১ জন আহত হয়েছে।
এ ব্যাপারে কটকার ফরেষ্ট অফিসে দায়িত্বে থাকা মহিদুল ইসলামের মুঠোফেনে যোগাযোগ করা হলে তাকে না পাওয়ায় তার ব্ক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।
এ বিষয়ে শরণখোলা রেঞ্জ কর্মকর্তা মাহবুব হাসান কটকায় জেলেদের মারামারির ঘটনার সত্যতা নিশ্চিৎ করেছেন।