খুলনার রূপসায় সংবাদ প্রকাশ করায় সাংবাদিকের ওপরে সন্ত্রাসী হামলা

Uncategorized অনিয়ম-দুর্নীতি অন্যান্য অপরাধ আইন ও আদালত আন্তর্জাতিক খুলনা জাতীয় জীবন-যাপন

খুলনা,প্রতিনিধিঃ
সংবাদ প্রকাশের জের ধরে খুলনার রূপসা উপজেলার এক সাংবাদিকের ওপরে এ হামলার ঘটনা ঘটেছে। ভুক্তভোগী সাংবাদিক মাসুম সরদার,শনিবার বিকাল সাড়ে পাঁচটার সময় খুলনা শহরের বড় বাজার ডেল্টা খেয়াঘাট এলাকায় সন্ত্রাসীদের হামলার শিকার হন। মাসুম সরদার ইবি নিউজ নামের একটি অনলাইন পোর্টালে কর্মরত আছেন। তিনি রূপসা উপজেলা প্রেস ক্লাবের সদস্য। স্থানীয় সুত্রে জানা যায়,ওহিদুজ্জামান আরমান মিয়ার নেতৃত্বে রাঙা সোহেল সহ কয়েকজন এই হামলা চালায়। হামলার নেতৃত্ব দেওয়া ওহিদুজ্জামান আরমান রূপসা উপজেলার কৃষকলীগের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্বে রয়েছেন। পরে সেই মারধোরের ভিডিও ওহিদুজ্জামান আরমান Ohiduzzaman Arman Mia নামের ফেসবুক আইডিতে প্রকাশ করে। আরো জানা যায়,গত ফেব্রুয়ারী মাসের ২৪ তারিখ উপজেলার রাজাপুর এলাকার যুবলীগ নেতা আয়ানের ওপর সন্ত্রাসী হামলা হয়। সেই হামলার ঘটনায় আসামী ছিলেন,কৃষকলীগের সাধারণ সম্পাদক পরিচয় দেওয়া ওহিদুজ্জামান আরমান মিয়া। আরো অভিযোগ রয়েছে অহিদুজ্জামান আরমান মিয়া তারপর পদবী ব্যবহার করে বিভিন্ন জায়গায় চাঁদাবাজি,বিয়ে দেওয়া,জমি কেনাবেচা সহ মীমাংসা সালিশের নামে বিভিন্ন পক্ষ থেকে টাকা নিয়ে,সত্যকে মিথ্যা আর মিথ্যাকে সত্য বলাই তার কাজ। পেশাগত দায়িত্ব পালনে সাংবাদিক মাসুম সরদার যুবলীগ নেতার করা মামলার বরাত দিয়ে আসামীদের নামসহ সংবাদ প্রকাশ করেন। এই ঘটনার ক্ষুব্ধ ছিলো আসামীরা। গত ৫ ই মার্চ হাইকোর্টের বিজ্ঞ আদালতে জামিন পেয়ে পরিকল্পনা অনুযায়ী সাংবাদিকের ওপরে হামলা করা হয়। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী সাংবাদিক মাসুম সরদার বলেন, গতকাল বিকালে কাজ শেষ করে বাড়ি ফেরার পথে বড় বাজার কলার আড়তের সামনে আসলে রাঙা সোহেল পথ রোধ করে। পরে ওহিদুজ্জামান আরমান মিয়ার নেতৃত্বে কয়েকজন মিলে হেনস্থা করে। আমার মোবাইল ফোন ও পকেটে থাকা টাকা কেড়ে নেয়। পরে মোবাইলটা নদীতে ফেলে দেয়। একপর্যায়ে তারা আমার পেটে ছুরি ঠেকিয়ে মারধোর করে। আর এসকল গালিগালাজ-মারধোর করে ভিডিও করতে থাকে। স্থানীরা আমাকে উদ্ধার করলে কোন রকমে বাড়ি ফিরে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিয়েছি। মাসুম সরদার জানান,হাসপাতালের কাগজ নিয়ে রূপসা থানায় গেলে সেখানে অভিযোগ নেয়নি,পুলিশ। সদর থানায় মামলার পরামর্শ দিয়েছেন। মারধোরের ভিডিও সহ খুলনা সদর থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।মারধোরের ভিডিও ওহিদুজ্জামান আরমান তার ফেসবুক আইডিতে প্রকাশ করলে উপজেলায় আলোচনা-সমালোচনার জন্ম দেয়। উপজেলায় কর্মরত গণমাধ্যমকর্মীরা এই ঘটনার নিন্দা জানিয়েছেন। রূপসা উপজেলা প্রেস ক্লাবের পক্ষ থেকে হামলাকারী যেই দলেরই হোক না কেন,তাকে আইনের আওতায় এনে শাস্তির দাবি জানিয়েছেন।


বিজ্ঞাপন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *