নিজস্ব প্রতিনিধি (পটুয়াখালী) : আজ শনিবার ৬ এপ্রিল, সবার জন্য ইফতার, সবাই মিলে ইফতার এই কথাকে হৃদয়ে ধারন করে পবিত্র রমজান মাসে সুবিধাবঞ্চিত মানুষের সঙ্গে ইফতার ভাগাভাগি করার অনন্য এক উদ্যোগ নিয়েছে সেচ্ছাসেবী সংগঠন ‘ভলান্টিয়ার ফর বাংলাদেশ – পটুয়াখালী জেলা। পবিত্র রমজান মাসের মহিমা ও মুসলমানদের যে একত্রে ইফতারের করার তাৎপর্য সেই তাৎপর্যকে ধারন করে ভলান্টিয়ার ফর বাংলাদেশ পটুয়াখালী জেলা আয়োজন করেছে “মারহাবান ইয়া রমাদান” নামক প্রোগ্রামের।
এই প্রোগ্রামে ছিন্নমূল প্রান্তিক জনগোষ্ঠী বেদে ও অসহায় মানুষদের মাঝে ইফতার বিতরনের ব্যবস্থা করা রয়েছে।
এই উদ্যোগের মাধ্যমে তারা ইফতারের সুযোগ পেয়েছেন এবং মানবিক সহানুভূতি পেয়েছেন। প্রতিষ্ঠিত হয়েছে একে অপরের সাথে সহযোগিতা ও সহমর্মিতার মেলবন্ধন ।
প্রত্যেক রমজানে, ভিবিডি পটুয়াখালী জেলা এই প্রোগ্রাম আয়োজন করে যাতে সমাজের সকল স্তরে ভালোবাসা এবং সহমর্মিতা প্রতিষ্ঠিত হয় । এই বছরও, পটুয়াখালীর বিভিন্ন স্থানে প্রান্তিক জনগোষ্ঠী ‘বেদে’ ও ‘অসহায়’ মানুষদের মাঝে ইফতার বিতরণের মাধ্যমে এই প্রোগ্রাম পরিচালিত হয়।
ভিবিডি পটুয়াখালী জেলার সভাপতি প্রদীপ কুমার সুর, সহ- সভাপতি মিহিতা ইসলাম অর্না, সাধারন সম্পাদক সাকিল হাওলাদার, প্রজেক্ট অফিসার সিয়াম রহমান এবং বিশিষ্ট সদস্যবৃন্দরা সক্রিয় ভূমিকা পালন করেন। তারা এই ইফতার প্রোগ্রামের মাধ্যমে সমাজের একতা ও সহযোগিতার অনুভূতি বৃদ্ধি করার অব্যাহত প্রতিশ্রুতি দেন। এবং আগামীর দিনগুলোতে আরো সমাজের উন্নয়নে ভূমিকা রাখতে পারে সেইজন্য সকলের দোয়া ও আশীর্বাদ কামনা করেন।
সংগঠনটির সভাপতি, প্রদীপ কুমার সুর, গণমাধ্যমকে বলেন, “সমাজের উন্নতির পথে মানবিক সহানুভূতি ও সহযোগিতার মাধ্যমে আমাদের সংগঠন সবসময় চিন্তা করে। আমরা ব্যাক্তি স্বার্থের পরিবর্তে সমাজের ভালবাসা এবং একত্রিত মনোভাবের বিকাশে মনোনিবেশ করেছি। আমাদের লক্ষ্য হলো সামাজিক সহানুভূতি প্রতিষ্ঠা এবং ভাতৃত্বের বন্ধনে সকলে একত্রিত হওয়া , যা সমাজের প্রগতি ও সামাজিক সমগ্রতা বাড়াবে। তাছাড়া, আমরা এই পথে অগ্রগতির জন্য গণমাধ্যমের প্রতিক্রিয়া ও সমর্থনকে অত্যন্ত মুখ্য বলে মনে করি। কারন গণমাধ্যম বাস্তবতা প্রতিফলিত করতে সাহায্য করে এবং আমাদের উদ্যোগের সাফল্যের মাধ্যমে একটি বিস্তৃত জনসচেতনতা সৃষ্টি করে। আমরা সমাজের সকল স্তরের মানুষকে এই উদ্যোগে যোগ দিতে আহ্বান জানাচ্ছি এবং একটি নতুন এবং উন্নত সমাজের নির্মাণে যোগদান করার জন্য অনুরোধ করছি। যেখানে মানুষে মানুষে কোনো ভেদাভেদ থাকবেনা। তখন সবাই জাতি,ধর্ম, বর্ন নির্বিশেষে সমস্বরে বলবো আমরা সবাই মানুষ, আমরা সবাই একজাতি “মানবজাতি”।
সংগঠনটির প্রোজেক্ট অফিসার ও বিশিষ্ট সমাজ সেবক সিয়াম রহমান গণমাধ্যমকে বলেন, “আজকের প্রোগ্রাম আমাদের পবিত্র রমজান মাসের মহিমা এবং মুসলিম সমাজের একত্রে ইফতার পরিকল্পনার একটি প্রয়াস । আমরা এই উদ্যোগের মাধ্যমে সমাজের অপরিসীম অংশগুলির সাথে যোগাযোগ ও সম্পর্ক উন্নত করার লক্ষ্যে এই প্রোগ্রামটি আয়োজন করছি। সকলের জন্য একত্রে ইফতার বিতরণের মাধ্যমে আমরা সমাজের একতা ও সহযোগিতার উন্নতির পথে এক ধাপ অগ্রসর হতে চাই। এই সমাজের সাথে একত্রে ইফতারের উদ্যোগটি আমাদের জন্য গর্বের বিষয় এবং আমরা আশা করছি যে এটি আমাদের সমাজে একটি শ্রেষ্ঠ এবং সক্রিয় সামাজিক সংস্কারের কথা বলবে।”