সিঙ্গাপুর হচ্ছে মাতারবাড়ি

অর্থনীতি এইমাত্র জাতীয় বানিজ্য সারাদেশ

নিজস্ব প্রতিবেদক : শুধু সাগরকে ব্যবহার করে সিঙ্গাপুরের আদলে পরিপূর্ণ একটি বাণিজ্যিক অঞ্চল গড়ে উঠছে কক্সবাজারের মহেশখালীর মাতারবাড়িতে। কৃত্রিম উপায়ে সৃষ্ট সাড়ে ৩ হাজার একর নতুন এ ভূমির উপর গড়ে উঠছে ৩৬ হাজার কোটি টাকার বিদ্যুৎ কেন্দ্রের পাশাপাশি ১৭ হাজার কোটি টাকার গভীর সমুদ্র বন্দর। সেই সঙ্গে থাকবে অন্যান্য শিল্প প্রতিষ্ঠান।
কয়েক বছর আগেও পুরো এলাকা ছিল অনেকটা পরিত্যক্ত চরাঞ্চল এবং জলাভূমি। আবার কোথাও ছিল সাগরের অংশ। তবে বিশাল এ এলাকা নিয়ে সরকারের বিশেষ পরিকল্পনায় পাল্টে দিয়েছে পুরো এলাকার চিত্র। এজন্য দিনরাত কাজ করছে হাজার হাজার শ্রমিক। চট্টগ্রাম থেকে নৌ পথে কিংবা কক্সবাজারের চকরিয়া হয়ে সড়ক পথে মহেশখালীর এ অংশ আসার পর যে কারো ভুল ভাঙবে।
কোনো রকম জটিলতা ছাড়াই চলছে এ মেগা প্রকল্পের কাজ। ১৪ দশমিক ৫ কিলোমিটার এলাকা ড্রেজিংয়ের মাধ্যমে এই অঞ্চলে নতুন একটি নৌ পথও তৈরি করা হয়েছে। অনেকটা সিঙ্গাপুরের আদলে গড়ে তোলা হচ্ছে এই বাণিজ্যিক জোন।
নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, আমরা বাস্তব সিঙ্গাপুর দেখতে চাই। আমরা যেটার কথা বলি সেটাই এই মাতারবাড়ি হতে যাচ্ছে।
মহেশখালীর মাতারবাড়ি এবং ধলঘাট অংশে সাগরের বিশেষভাবে বাঁধ দিয়ে তৈরি করা হয়েছে ভূমির কাঠামো। চলছে নানা ধরণের স্থাপনা নির্মাণের কাজ। মূলত বিদ্যুৎ কেন্দ্রে নির্মাণের জন্য সাগর থেকে তোলা হয় বালি। আর তাতেই ৩৬ হাজার কোটি টাকা খরচ করে তৈরি হচ্ছে ১৩২০ মেগাওয়াট ক্ষমতা সম্পন্ন বিদ্যুৎ কেন্দ্র। আর এই বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ব্যাকআপ হিসাবে গড়ে উঠছে আরও অন্তত ৩০ হাজার কোটি টাকার নানা প্রকল্প। সে সাথে ৮ হাজার কোটি টাকা খরচ করে তৈরি করা হচ্ছে নতুন কয়েকটি সড়ক।
চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের সদস্য কমডোর এম শফিউল বারী বলেন, এই চ্যানেল প্রস্তুত করার কারণে এখানে রাস্তাঘাট ও ভবন হয়েছে।
বিশাল এই প্রকল্পে কর্মরত রয়েছেন চীন ও জাপানের অন্তত ৬শ’ প্রকৌশলী এবং কর্মচারী। তাই পুরো এলাকার নিরাপত্তা জোরদার করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
কক্সবাজারের সহকারী পুলিশ সুপার রতন কান্তি দাশ বলেন, নিরাপত্তার ব্যাপারে আমরা সব সময় সজাগ রয়েছি।
ব্যাপক উন্নয়ন কাজের পাশাপাশি নানা ধরণের প্রকল্পের কারণে অনগ্রসর এই এলাকায় গত দু’বছরে সব ধরনের ভূমির দাম একশ’ শতাংশ হারে বেড়ে গেছে। ২০২৩ সালের মধ্যে কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র উৎপাদনে যাবে বলে আশা করা হচ্ছে।


বিজ্ঞাপন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *