নিজস্ব প্রতিবেদক : বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবস উপলক্ষে প্রতিবাদী ভুক্তভোগী সাংবাদিক, আইনজীবী, শিক্ষক -শিক্ষার্থী শিল্পী ও মানবাধিকার কর্মীর গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেন, এ খবর সংশ্লিষ্ট সুত্রের।
জানা গেছে, গতকাল ৩ মে , বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবস উপলক্ষে বর্তমানে দমনমূলক সাইবার নিরাপত্তা আইন, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইনের বাতিলকৃত ৫৭ ধারা এবং বাতিলকৃত ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের নিপীড়নের শিকার ৩৮ জন প্রতিবাদী ভুক্তভোগী সাংবাদিক, আইনজীবী, শিক্ষক-শিক্ষার্থী, শিল্পী ও মানবাধিকার কর্মী গভীর উদ্বেগের সাথে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি), বাংলাদেশ আবাসিক মিশনের এক্সটার্নাল এফেয়ার্সের টিম লিডার, গোবিন্দ বর কর্তৃক মানবাধিকার কর্মী, আইনজীবি, সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে ক্ষমতার ভয়াবহ অপব্যবহার করে অপরাধিকরণ, ভয়-ভীতি প্রদান এবং মানবাধিকার হরণের অব্যাহত প্রচেষ্টার তীব্র নিন্দা জানিয়ে একটি প্রতিবাদ লিপি প্রস্তুত করেছে।
![](https://ajkerdesh.com/wp-content/uploads/2024/05/WhatsApp-Image-2024-05-31-at-21.07.07_c7f123fd.jpg)
বিভিন্ন সামাজিক সংগঠন ও ব্যক্তি বিবৃতি দিলেও এবং দেশ রুপান্তর, প্রথম আলো, বাংলা ট্রিবিউনসহ প্রথম সারির গণমাধ্যমগুলো পর্যন্ত সে বিবৃতি ছাপালেও, এখন পর্যন্ত আমাদের কোন সাংবাদিক সংগঠনের পক্ষ থেকে ভুক্তভোগী সাংবাদিক ও আইনজীবীদের জন্য বিবৃতি পাওয়া যায় নি।
*৩৮ নাগরিকের বিবৃতি*ভুক্তভোগী নারী ও তাঁর পাশে দাঁড়ানো ব্যক্তিদের হয়রানির প্রতিবাদ”
ভুক্তভোগী নারী ও তাঁর পাশে দাঁড়ানো ব্যক্তিদের হয়রানির প্রতিবাদ ভুক্তভোগী নারী ও তাঁর পাশে দাঁড়ানো মানবাধিকারকর্মী, আইনজীবী ও সাংবাদিকদের ভয়ভীতি প্রদান এবং মানবাধিকার হরণের অব্যাহত প্রচেষ্টার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন ৩৮ নাগরিক। তাঁদের মধ্যে রয়েছেন সাংবাদিক, আইনজীবী, শিক্ষক, শিক্ষার্থী, রাজনৈতিক কর্মী, শিল্পী ও মানবাধিকারকর্মী। আজ শুক্রবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে তাঁরা এ নিন্দা জানান।
বিবৃতিতে বলা হয়, এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের (এডিবি) বাংলাদেশ আবাসিক মিশনের এক্সটার্নাল অ্যাফেয়ার্সের টিম লিডার গোবিন্দ বর বিয়ের ছদ্মবেশে এক নারীর সঙ্গে প্রতারণা করেছেন। ওই নারীকে যৌতুকের দাবিতে শারীরিক-মানসিক নির্যাতন ও জোরপূর্বক বিবাহবিচ্ছেদের চাপ দিয়েছেন। এতে অতিষ্ঠ হয়ে ভুক্তভোগী একসময়ে আদালতের শরণাপন্ন হন এবং জনপরিসরে প্রতিবাদ করেন। তখন ওই নারীর বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ-অপবাদ দেওয়া হয়। সাইবার নিরাপত্তা আইনের মাধ্যমে হয়রানি করা হয়। এই ভুক্তভোগী নারীর পাশে দাঁড়ান মানবাধিকারকর্মী ও গবেষক রেজাউর রহমান লেনিন, মানবাধিকার আইনজীবী রওশন আরা লিনা ও *সাংবাদিক ইসমাইল আহসান*। এরপর তাঁদেরও দমনমূলক আইন সাইবার নিরাপত্তা আইনে অভিযুক্ত করে হয়রানির চেষ্টা করেন গোবিন্দ বর। যদিও ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনাল সেই অপচেষ্টাকে বাতিল করেছেন।
৩৮ নাগরিক বিবৃতিতে সাইবার নিরাপত্তা আইনের অপপ্রয়োগের বিরুদ্ধে তাঁদের অবস্থানের কথা জানান। তাঁরা বলেন, বাতিলকৃত ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন এবং সাইবার নিরাপত্তা আইন অগণতান্ত্রিক। আমরা নিপীড়নমূলক এ আইনের অপপ্রয়োগের তীব্র বিরোধিতা করি। এর মাধ্যমে ভিন্নমতকে নীরব করা যায়। এই আইনের মাধ্যমে মতপ্রকাশের স্বাধীনতাসহ অন্যান্য মৌলিক অধিকারও খর্ব করা যায়।
বিবৃতিদাতাদের মধ্যে রয়েছে ইশরাত জাহান (বন্দিনী পুনর্বাসন উদ্যোগ), মঞ্জিলা ঝুমা (আইনজীবী), মো. আব্দুল কাইয়ুম (সাংবাদিক, ময়মনসিংহ), ফজলে এলাহী (সাংবাদিক, রাঙামাটি), আবু তৈয়ব (সাংবাদিক, খুলনা), শফিকুল ইসলাম কাজল (ফটোসাংবাদিক, লন্ডন), অধরা ইয়াসমিন (সাংবাদিক, ঢাকা), সিরাজাম মুনিরা (শিক্ষক, বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়), দিদারুল ভূঁইয়া (রাজনৈতিক কর্মী), মাইদুল ইসলাম (পিএইচডি গবেষক, যুক্তরাষ্ট্র), দিলীপ রায় (বিপ্লবী ছাত্র মৈত্রী), কনক সারওয়ার (সাংবাদিক, যুক্তরাষ্ট্র), শামীম আশরাফ (সংস্কৃতিকর্মী, ময়মনসিংহ), আহমেদ কবির কিশোর (কার্টুনিস্ট, সুইডেন), এ কে এম ওয়াহিদুজ্জামান (শিক্ষক, মালয়েশিয়া), রিতা দেওয়ান (বাউল শিল্পী, মানিকগঞ্জ), শরিয়ত বয়াতি (টাঙ্গাইল), হোসাইন তৌফিক ইফতেখার (সাংবাদিক, চট্টগ্রাম), শাহনেওয়াজ চৌধুরী (মানবাধিকারকর্মী, চট্টগ্রাম), রুদ্র ইকবাল (শিক্ষার্থী, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়) প্রমুখ।