গোপালগঞ্জ সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে চর্তুমূখী লড়াইয়ের সম্ভাবনা 

Uncategorized খুলনা গ্রাম বাংলার খবর জাতীয় বিশেষ প্রতিবেদন সারাদেশ

মোঃ সাইফুর রশিদ চৌধুরী  :  উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রথম পর্বে গোপালগঞ্জ সদর উপজেলায় কে বিজয়ের হাসি হাসবেন প্রচার প্রচারণার শেষ দিন এনিয়ে চলছে নানা সমীকরণ ও জল্পনা কল্পনা।


বিজ্ঞাপন

এদিকে, প্রার্থীরা সর্বশেষ শো-ডাউন করে নিজের জনপ্রিয়তা জানান দিচ্ছেন। লক্ষ্য একটিই বিজয়ের মুকুট ছিনিয়ে আনা।তবে গোপালগঞ্জ সদর উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে চতুর্মখী লড়াই হবে বলে মনে করছেন সাধারন ভোটাররা।
তবে নির্বাচন নিয়ে সাধারন ভোটারদের মধ্যে আশঙ্কার কমতি নেই। সার্বিক পরিবেশ এবং বাস্তবতার আলোকে সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে নির্বাচন অনুষ্ঠান নিয়ে এমন সন্দেহ ও আশঙ্কা কাজ করছে তাদের মধ্যে। আবার নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা নিয়েও কোন কোন ভোটার তাদের উদ্বেগের কথা জানান।
সদর উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে ৮ জন প্রার্থী রয়েছেন। প্রার্থীরা সকলে আওয়ামী লীগের রাজনীতির সাথে জড়িত। মূলত চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বীতা হবে আওয়ামী লীগ বনাম আওয়ামী লীগ।
আট জন প্রার্থীর মধ্যে মূল প্রতিদ্বন্দ্বীতায় রয়েছেন ৪ জন প্রার্থী। এরা হলেন, জেলা আওয়ামী লীগের শিল্প ও বানিজ্য বিষয়ক সম্পাদক রফিকুল ইসলাম মিটু দোয়াতকলম, ত্রাণ ও সমাজ কল্যান সম্পাদক মাহমুদ হোসেন মোল্লা দিপু ঘোড়া , আওয়ামী লীগ নেতা বিএম লিয়াকত আলী আনারস, কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক লীগের উপদেষ্টা কামরুজ্জামান ভুইয়া লুটুল টেলিফোন ও
অপর ৪ প্রার্থীরা হলেন  নিতিশ রায় মটর বাইক,  রমেন্দ্রনাথ সরকার জোড়া ফুল , কমলেশ বিশ্বাস হেলিকপ্টার, শেখ ইব্রাহিম খলিল  কাপ পিরচ।
২১টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভা সমন্বয়ে গোপালগঞ্জ সদর উপজেলা গঠিত। উপজেলার ভোটার সংখ্যা ১ লাখ ৯১ হাজার ৪২ জন। এরমধ্যে পুরুষ ভোটার ১ লাখ ২ হাজার ১৯৯ জন ও মহিলা ভোটার ৮৮ হাজার ৮৪৩ জন। মোট ভোটারের শতকরা ৩৫ ভাগ সনাতন ধর্মাবলম্বীদের ভোটার রয়েছে। সেক্ষেত্রে নিতিশ রায় মূল প্রতিদ্বন্দ্বিতায় চলে আসলেও আসতে পারেন।
সদর উপজেলার বিভিন্ন এলাকার ভোটারদের সাথে কথা বলে জানা যায়, নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বী  প্রার্থীরা যেহেতু আওয়ামী লীগের সমর্থক। সে ক্ষেত্রে  নির্বাচন উম্মুক্ত হওয়ায় এবং কোন দলীয় প্রতীক না থাকায় আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসংগঠনের নেতা-কর্মীরা তাদের পছন্দের প্রার্থীদের বিজয়ী করার লক্ষ্যে কাজ করছেন। এবারের নির্বাচনে আঞ্চলিকতার প্রভাব প্রার্থীদের জন্য ফ্যাক্টর হয়ে দেখা  দিতে পারে। এ ছাড়া নির্বাচনে হানাহানি ও সহিংসতার আশংঙ্কা করছেন তারা।
গোপালগঞ্জ সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে পশ্চিম গোপালগঞ্জ থেকে চেয়ারম্যান প্রার্থী হয়েছেন ৩ জন এবং পূর্ব ও উত্তর গোপালগঞ্জ থেকে প্রার্থী হয়েছেন ৫ জন।
পশ্চিম গোপালগঞ্জের ৮টি ইউনিয়নে ভোট যুদ্ধে সুবিধাজনক অবস্থানে রয়েছেন সাবেক উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ নেতা বিএম লিয়াকত আলী ও স্বেচ্ছাসেবক লীগের কেন্দ্রীয় উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ও বিশিষ্ট আইটি ব্যবসায়ি কামরুজ্জামান ভুইয়া লুটুল। ভোট যুদ্ধে নতুন হলেও, ইতোমধ্যে ভোটের মাঠে একটি শক্ত অবস্থান সৃষ্টি করতে সমর্থ হয়েছেন তিনি। অপর প্রার্থী মাহমুদ হোসেন মোল্লা  দিপুও রফিকুল ইসলাম মিটুরও জনসমর্থন রয়েছে। তবে এককভাবে নিজের সম্প্রদায়ের ভোটের উপর অস্থা রাখছেন নিতিশ রায়। পশ্চিম গোপালগঞ্জে আঞ্চলিকতার প্রভাব কাজ করলে বিএম লিয়াকত আলী ও কামরুজ্জামান ভুইয়া এগিয়ে থাকবেন বলে সাধারন ভোটাররা মনে করেন,
অপরদিকে, পূর্ব-উত্তর গোপালগঞ্জের ১১টি ইউনিয়নে ভোট যুদ্ধে এগিয়ে থাকবেন মাহমুদ হোসেন মোল্লা ও নিতিশ রায়। অপর প্রার্থীদেরও ভোট রয়েছে এসব ইউনিয়নে। ভোটারদের সাথে কথা বলে জানাযায়,  দক্ষিণাঞ্চলের দু’টি ইউনিয়ন গোবরা ও বোড়াশী ইউনিয়নে অন্যান্য প্রার্থীদের তুলনায় মাহমুদ হোসেন মোল্লা দিপু বেশী ভোট পাবেন। পৌরসভা এলাকায় ভোটার সংখ্যা ৫৫ হাজার ৬৬৭ জন। নির্বাচনে জয় পরাজয় নির্ধারনে পৌরসভার ভোট ফ্যাক্টর হয়ে দেখা দেবে।যে প্রার্থী  পৌরসভার ভোটারদের বেশী কাছে টানতে পারবেন বিজয়ের হাসি তিনিই হাসবেন।
সাধারন ভোটারদের বক্তব্য বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, মাহামুদ হোসেন মোল্লা দিপু,  বিএম লিয়াকত আলী, কামরুজ্জামান ভুইয়া লুটুল ও নিতিশ রায়ের মধ্যে চর্তুমূখী লড়াই হবে।


Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *