নিজস্ব প্রতিবেদক : র্যাব মহাপরিচালক বেনজীর আহমেদ বলেছেন, আমরা মাদকের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেছি। ২০১৮ সালের পর থেকে ১০০ কোটি টাকার ইয়াবা উদ্ধার করেছি, ১ হাজার কোটি টাকার অন্যান্য মাদক উদ্ধার করেছি এবং ৪২ হাজার মাদক ব্যবসায়ীকে জেলে পাঠিয়েছি। বুধবার দুপুরে পতেঙ্গা র্যাব-৭ সদর দপ্তরে আয়োজিত মাদক ধ্বংস ও মাদকবিরোধী প্রচারণা অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি।
ড. বেনজীর আহমেদ বলেন, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে র্যাব, পুলিশ, বিজিবি ও কোস্টগার্ডের অভিযানের পর মাদকের সহজলভ্যতা কমে গেছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী যেটা করে তা হলো মাদকের সাপ্লাই কাট করে। কিন্তু দেশে এখন ৬০ লাখের মতো মাদকসেবী। মাদকের ডিমান্ড যদি থাকে তাহলে দেশকে মাদকমুক্ত করা যাবে না। মাদকের ডিমান্ড কমাতে হবে।
র্যাব ডিজি বলেন, ২০১৫ সালে চট্টগ্রাম বন্দরে কোকেইন আটক হয়েছিল। এর সঙ্গে জড়িতরা প্রভাবশালী। কিন্তু তারা রক্ষা পায়নি। র্যাব তাদের গ্রেপ্তার করেছে। এ মামলা থামিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করা হয়েছিল কিন্তু সরকারের আন্তরিকতার কারণে তা পারেনি।
তিনি বলেন, ২০১৫ সালে আটক হওয়া এসব কোকেইন এসেছিল সাউথ আমেরিকার একটি দেশ থেকে। এসব কোকেইনের গন্তব্যস্থান বাংলাদেশ ছিল না, এটি বাংলাদেশ হয়ে সাউথ এশিয়ার আরেকটি দেশে যাচ্ছিল। কিন্তু আমরা তা থামিয়ে দিয়েছি।
র্যাব-৭ এর অধিনায়ক লে. কর্নেল মো. মশিউর রহমান জুয়েলের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত রয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত রয়েছেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা এমপি, মো. হাবিবুর রহমান এমপি, মো. ফরিদুল হক খান এমপি, পীর ফজলুর রহমান এমপি, চট্টগ্রাম-১১ আসনের এমপি এম আবদুল লতিফ, চট্টগ্রাম রেঞ্জ ডিআইজি খন্দকার গোলাম ফারুক, সিএমপি কমিশনার মো. মাহাবুবর রহমান।