বেনাপোল প্রতিনিধি : যশোরের শার্শা উপজেলার সংসদ সদস্য শেখ আফিল উদ্দিনের একান্ত ঘনিষ্ঠ সাবেক বহিষ্কৃত ছাত্রলীগের সভাপতি আ.রহিম বিভিন্ন সময় বিতর্কিত কর্মকান্ডের সাথের জড়িয়েছেন।এলাকায় তার নামে রয়েছে নানা অপরাধের সাথে জড়ানোর অভিযোগ।
একটি শালিস বৈঠককে কেন্দ্র করে ছাত্রলীগের রহিম গ্রুপের কর্মীরা ২০১৪ সালে তুজাম হোসেন ও আসাদ নামে দুই যুবলীগ নেতা-কর্মীকে কুপিয়ে মারাত্মক ভাবে জখম করার দুই দিন পর তোজাম্মেল ওরফে তোজাম ঢাকার একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।তোজাম হোসেন উপজেলা যুবলীগের সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক ছিলেন।
এই হত্যা মামলায় প্রধান অভিযুক্ত রহিম সর্দার।গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) এই হত্যা মামলায় রহিমসহ ৭/৮ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে।রহিম দীর্ঘদিন পলাতক ছিলেন। এমপি আফিলের উদ্দিনের হস্তক্ষেপে এলাকায় ফিরেছিলেন।
মামলার বাদি তোজাম্মেলের স্ত্রী ঝর্ণা বেগম বলেন মামলা চালাতে বাধা গ্রস্ত করা হয়েছিল, বলে মামলা চলেনা।
এছাড়া রহিমের নামে রয়েছে বিস্ফোরক দ্রব্য আইনের মামলা। রহিমের পরিবারের একাধিক সদস্য বিভিন্ন সময় মাদকসহ পুলিশের হাতে একাধিকবার গ্রেফতার হয়েছে।ছাত্রলীগের সংগঠন বিরোধী কর্মকান্ডে জড়িত হওয়ার দায়ে হয়েছেন বহিষ্কার।
শার্শা উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক বহিষ্কৃত সভাপতি আব্দুর রহিম সরদার উপজেলা ছাত্রলীগের ভুয়া কমিটি প্রকাশ করেছিলেন।
এছাড়া তার বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ রয়েছে উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতির পরিচয় দিয়ে দীর্ঘ দিন মাদক ব্যবসা,অস্ত্র ব্যবসা,চোরাই মোটর সাইকেল সিন্ডিকেট,টেন্ডারবাজি,চাঁদাবাজি সহ বিভিন্ন অপকর্ম চালিয়ে আসছেন।বিবাহিত থাকার পর ও ছাত্রলীগের কমিটিতে দীর্ঘ বছর বহাল ছিলেন তিনি।
বর্তমানে তিনি যুবলীগের রাজনীতিতে সক্রিয় বলে জানা গেছে।আগামী উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ভাইস চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করতে প্রচারণা চালাচ্ছেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় কিছু আ’লীগ নেতারা বলেন দলে এখন ত্যাগী নেতাদের ঠাঁই নেই।এখানে যত সন্ত্রাসীরা অস্ত্র ও হত্যার মামলার আসামীরা মানুষের জন্য নেতৃত্ব দেয়। জনসাধারণ বলেন আমারা এমন জনপ্রতিনিধি চায় যারা আমাদের হয়ে কাজ করবে।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত আব্দুর রহিমের সাথে একাধিক বার যোগাযোগ চেষ্টা করে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।