সিটি টোলের নামে কাঁচাবাজারে চাঁদাবাজিতে বাড়ছে নিত্যপণ্যের দাম : সাঈদ খোকন

Uncategorized অনিয়ম-দুর্নীতি অপরাধ জাতীয় ঢাকা বিশেষ প্রতিবেদন রাজধানী রাজনীতি

নিজস্ব প্রতিবেদক  :  ঢাকা শহরের কাঁচাবাজারগুলোতে চাঁদাবাজির কারণে নিত্যপণ্যের দাম বাড়ছে বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকা-৬ আসনের সংসদ সদস্য মোহাম্মদ সাঈদ খোকন। আজ সোমবার (১৩ মে) দুপুরে পুরান ঢাকার ওয়ারীর নরেন্দ্রনাথ বাসক লেনে ৮০০ পরিবারকে ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপহারের’ খাদ্যসামগ্রী বিতরণ অনুষ্ঠানে তিনি এই মন্তব্য করেন। সরকারের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রান মন্ত্রণালয় এই খাদ্যসামগ্রী ঢাকা-৬ আসনে বরাদ্দ দিয়েছে।


বিজ্ঞাপন

কাঁচাবাজারে টোলের নামে চাঁদাবাজির কথা উল্লেখ করে মোহাম্মদ সাঈদ খোকন বলেন, কাঁচাবাজার কেন্দ্রিক টোল আদায়ের নামে যে চাঁদাবাজিটা হয়, এই চাঁদাবাজি আমাদের দ্রব্যের মূল্য বাড়িয়ে দিচ্ছে। এই এলাকার বিভিন্ন কাঁচাবাজারের চাঁদাবাজি দ্রব্যমূল্য বাড়িয়ে দিচ্ছে। আমাদের একটা ছোট সংসারে বাসা ভাড়া দেওয়ার পর হাতে কতটুকুই টাকা থাকে। এ দিয়ে একটা সীমিত আয়ের সংসার চালাতে হয়। তিনি বলেন, ঢাকা শহরে মুরগি-সবজি ট্রাক থেকে নামাইলে টাকা দিতে হয়; উঠাইলে টাকা দিতে হয়; বিক্রি করলে টাকা দিতে হয়; বাড়িতে নিয়ে গেলেও টাকা দিতে হয়! সবখানে টাকা দিতে হয়। এসব কাজ করে আমার নেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অর্জন এবং সুনাম ধুলায় মিশিয়ে দিচ্ছে, এগুলো বন্ধ করতে হবে।


বিজ্ঞাপন

ঢাকা-৬ আসনের সংসদ সদস্য বলেন, শেখ হাসিনার প্রতিটি কথাকে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা আইন হিসেবে মেনে কাজ করেন। শেখ হাসিনার নির্দেশ অমান্য করা শোভনীয় নয়। আমাদের কিছু কাজ-কারবার, আমাদের কিছু কর্মকাণ্ড প্রধানমন্ত্রীর উন্নয়নকে প্রশ্নবিদ্ধ করে দেয়। গরীবের কষ্ট লাঘব করতে প্রধানমন্ত্রী চাল-ডাল রেশন ইত্যাদি দিয়েই যাচ্ছেন, যাতে মানুষের কষ্ট না হয়। আমরা চেষ্টা করছি যাতে মানুষের কষ্ট না হয়। আমরা আশা করছি অল্প কিছুদিনের মধ্যে দ্রব্যমূল্য সাধ্যের মধ্যে চলে আসবে। আমাদের অর্জন রয়েছে, আমাদের চেষ্টা রয়েছে। কিছু দুষ্ট লোকের কাজের জন্য আমাদের চেষ্টাগুলো ম্লান হয়ে যায়। চেষ্টাগুলো মলিন হয়ে যায়।

এ সময় মঞ্চে উপস্থিত পুলিশের দায়িত্বপ্রাপ্ত এক কর্মকর্তাকে উদ্দেশ্য করে সাঈদ খোকন বলেন, আমি জনপ্রতিনিধি হিসেবে আপনাকে আহবান জানাচ্ছি অনতিবিলম্বে এই চাঁদাবাজি বন্ধ করুন। আমরা গরিবের কষ্ট দেখতে চাই না। শেখ হাসিনা অক্লান্ত পরিশ্রম করে যাচ্ছেন। দিন নাই রাত নাই তিনি কাজ করে যাচ্ছেন এই অবস্থা দেখবার জন্য নয়। এই অরাজকতা হতে দেওয়া যায় না। খুব দ্রুত এটা বন্ধ করতে হবে, কোনভাবেই এটা চলতে দেওয়া যাবে না। যেসব কাজে মানুষের কষ্ট হয় সে কাজ শেখ হাসিনা কখনোই মেনে নেবেন না। যারা এই কাজ করছেন তারা যদি আওয়ামী লীগের পরিচয় দেন তাহলে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে মানুষের কাতারে আসুন। মানুষের সেবা করুন, আমাদের সাথে আসুন, আমাদের পাশে থাকুন।


Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *