অন-অনুমোদিত ও ভেজাল ইউনানী, আয়ুর্বেদিক কোম্পানির প্রাণঘাতী ঔষধে বাজার সয়লাব

Uncategorized অনিয়ম-দুর্নীতি অপরাধ জাতীয় ঢাকা বিশেষ প্রতিবেদন রাজধানী স্বাস্থ্য

নিজস্ব প্রতিবেদক  : রাজধানী সহ সারাদেশের ঔষধের পাইকারী ও খুচরা বাজার দখল করে আছে অন-অনুমোদিত ও ভেজাল ইউনানী – আয়ুর্বেদিক ঔষধ কোম্পানির উৎপাদিত বিতর্কিত সব প্রাণঘাতী ঔষধ, আর এসব প্রাণঘাতী ঔষধ সামগ্রীর উৎপাদন ও বাজারজাত করা হচ্ছে ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের একশ্রেণির উচ্চাভিলাষী, দুর্নীতিপরায়ণ ও অবৈধ সুবিধাভেগী কর্মকর্তাদের ছত্রছায়ায়, এ অভিযোগ ঔষধ শিল্প সংশ্লিষ্ট একটি নির্ভরযোগ্য সুত্রের।


বিজ্ঞাপন

অভিযোগ উঠেছে রাজধানীর যাত্রাবাড়ি থানা এলাকার শেখদি শনির আখড়ার নবীন ল্যাবরেটরীজ ইউনানী, দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ এলাকার হিউম্যান ল্যাবরেটরীজ (আয়ু), ট্রাস্ট ল্যাবরেটরীজ ইউনানী ঢাকা, বাংলাদেশ এবং সাভার এলাকার এস-কে ল্যাবরেটরীজ (আয়ু) অবৈধভাবে অন-অনুমোদিত ঔষধ উৎপাদন ও বাজারজাত করছে। আর এসব অবৈধ কর্মযজ্ঞ চলছে ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের সংশ্লিষ্ট এলাকার দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ও নথি সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের ছত্রছায়ায়।


বিজ্ঞাপন
নবীন ল্যাবরেটরীজ (ইউনানী) এর উৎপাদিত বিতর্কিত সব ঔষধের ছবি।

 

জানা গেছে, নবীন ল্যাবরেটরীজ লিঃ ইউনানী উৎপাদন লাইসেন্স নং ইউ-১৯৯ ঢাকা বাংলাদেশ, । অফিস এর ঠিকানা -৩৩/৩ উত্তর গোলাপবাগ এবং কারখানার ঠিকানা- শনির আখড়া শেখদি, থানা যাত্রাবাড়ী, ঢাকা। উক্ত কোম্পানির মালিক ও ম্যানেজার মিলে মেরী গোল্ড নামক সর্বনাশা সিরাপ খেয়ে ৩ জনের মৃত্যুর ঘটনার রেশ কাটিয়ে উঠতে না উঠতেই জনস্বাস্থ্য বিরোধী কর্মকান্ডে জড়িয়ে পড়ার মতো গুরুতর এক অভিযোগ পাওয়া গেছে, অভিযোগ উঠেছে সর্বনাশা প্রাণঘাতী ঔষধ মেরী গোল্ড আবারও দাপিয়ে বেড়াচ্ছে দেশের ঔষধের বাজার। এছাড়াও উক্ত কোম্পানির উৎপাদিত নবীন জাফরান (আরক জিরা) ৪৫০মিলি সিরাপ, ওমেক্স (শরবত শায়লান) ৪৫০ মিলি সিরাপ, নিউবিন (নার্ড টনিক) ৪৫০মিলি ভিটামিন সিরাপ, ট্যাবলেট নক পাল (কুরুছ এহেতেলাব) ১০×৫টি ট্যাবলেট ফ্রিস্টার প্যাকেট, ডায়া ডেস্ট (কুরছ জিয়াবিত) ১০×১০ টি ডায়াবেটিস এর ক্যাপসুল , এপিটোজেন (শরবত সেব) ৪৫০ মিলি ভিটামিন সিরাপ, সেপটোপ্লেক্স (শরবত আনার) ৪৫০ মিলি ভিটামিন সিরাপ। লিভারিব (শরবত দিনার) ৫৪০ মিলি সিরাপ, নবীন পুষ্টি ক্যাপ (হাব্বে হায়াতিন মুরাক্কাব) বার্ধক্য প্রতিরোধক উচ্চ ক্ষমতা সমন্বয় পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ ক্যাপসুল ৩০টির পট । সাইকোপ্লেক্স (শরবত মডেজ) ১০০ মিলি ভিটামিন সিরাপ এর লেভেল কার্টুনের বাচ্চাদের ছবি দেওয়া আছে যা ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের ঔষধ নিয়ন্ত্রণ অধ্যাদেশ পরিপন্থী, মুদিন (হব্বে দুদিন) ৪×৫=২০টি ক্যাপসুল ব্লিস্টার প্যাকেট, ক্যালসিমন (কুশতা ঘারে মেহেরা) ৪×৪=২০ টি ক্যাপসুল, লিমনিল ৪৫০ মিলি সিরাপ, নবীন নিম ক্যাপসুল, শরবত মুছাফ্ফি ৪৫০ মিলি সিরাপ, নবীন চিরতা ক্যাপসুল (৫×১০=৫০) টি ক্যাপসুল, ভেগাজিন কুরুছ (আওজা) (৫×১০=৫০ টি ক্যাপসুল , সবচেয়ে নিরাপদ প্রকৃতির বাত- বেদনা নাশক ক্যাপসুল (ব্লিস্টার প্যাক) এবং নিকোকফ-১০০ মিলি তন্দ্রাচ্ছন্ন মুক্ত কফ সিরাপ উল্লেখযোগ্য। অভিযোগ উঠেছে উল্লেখিত ঔষধ সামগ্রীর উৎপাদন কালে কোন প্রকার গাছ-গাছড়ার ব্যাবহার না করেই বাংলাদেশ জাতীয় ইউনানী ফর্মুলারী অনুসরণ করা হয়নি বরং অবৈধভাবে সম্পুর্ণ কালার, ফ্লেভার ও কেমিক্যাল ব্যাবহার করে ঔষধ সামগ্রীর উৎপাদন ও বাজারজাত করছে নবীন ল্যাবরেটরীজ ইউনানীর মালিক পক্ষ।

হিউম্যান ল্যাবরেটরীজ (আয়ু) এর উৎপাদিত বিতর্কিত সব ঔষধের ছবি।

 

হিউম্যান ল্যাবরেটরীজ (আয়ু) উৎপাদন লাইসেন্স নাম্বার – আয়ু-১১৬, ঠিকানা- হজী চান ভিলা, নয়াটোলা,হাসনাবাদ দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ, ঢাকা, উক্ত কোম্পানির পূর্বের নাম ও ঠিকানা যথাক্রমে, খান সন্স ফার্মাসিউটিক্যালস (আয়ু), ৭ নং শহীদ লতিফ রোড,গাওয়াইর,দক্ষিণখান, ঢাকা। উক্ত কোম্পানির বর্তমান মালিক পক্ষ ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের ঔষধ নিয়ন্ত্রণ অধ্যাদেশ অনুযায়ী কোম্পানির মালিকানা, নাম ও স্থান পরিবর্তন না করেই ২০২২ সাল থেকে অদ্যাবধি অবৈধভাবে বিভিন্ন প্রকার আয়ুর্বেদিক ঔষধ সামগ্রীর উৎপাদ ও বাজারজাত অব্যাহত রেখেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। অভিযোগ মতে খান সন্স ফার্মাসিউটিক্যালস (আয়ু) এার মালিক প্রিন্সিপাল আব্দুর রব এর আমলে অর্থাৎ ২০/০৬/২০১৬ সালে স্মারক নং-ডিজিডিএ/আয়ু-০৫/৮৫/৯৮৪৮ অনুযায়ী ঔষধের শাস্ত্রীয় নামসহ ১৪ টি ঔষধের চুড়ান্ত মোড়কসামগ্রীর অনুমোদন করেন। উক্ত ১৪ টি ঔষধের শাস্ত্রীয় নাম ও প্যাক সাইজ যথাক্রমে, আমলকী রসায়ন (তরল), ১০০/২০০/৪৫০ মিলি, অশ্বগন্ধারিস্ট (তরল), ১০০/২০০/৪৫০ মিলি,উদ্যম (তরল) ১০০/২০০/৪৫০ মিলি, চন্দ্রনাসব (তরল) ১০০/২০০/৪৫০ মিলি, বলারিস্ট (তরল) ১০০/২০০/৪৫০ মিলি, সারিবাদ্যরিস্ট (তরল) ১০০/২০০/৪৫০ মিলি, বৃহত বাত গজাঙ্কুশ (ক্যাপসুল) ২৫০ মি,গ্রা, বৃহৎ চন্দ্রোদয় মকরধ্বজ (ক্যাপসুল) ২৫০ মি,গ্রা, নিম্বাদি চূর্ণ (ক্যাপসুল) ৫০০ মি,গ্রা, স্পিরুলিনা (ক্যাপসুল) ৪৫০ মি,গ্রা, শ্রী গোপাল তৈল (তৈল) ১০/৩০/৫০/১০০ মিলি, হিমসাগর তৈল (তৈল) ৫০/১০০/২০০ মিলি,নাগবলাদ্য চূর্ণ ( চূর্ণ) ৫০/১০০/২৫০ গ্রাম এবং দশন সংস্কার চূর্ণ (চূর্ণ) ৫০/১০০/২০০ গ্রাম কন্টেইনার। ওই অনুমোদন কপিতে মহাপরিচালকের পক্ষে স্বাক্ষর করেন মো: সালাহউদ্দিন সহকারী পরিচালক (বর্তমান পরিচালক প্রশাসন)। উক্ত অনুমোদন কপির শর্তাবলীর প্রথম লাইনে ই লেখা আছে যে, প্রতিটি ঔষধ ইউনানী শাস্ত্রীয় অনুকরণে তৈয়ারী করিতে হইবে!

বর্তমান পরিচালক প্রশাসন ও সাবেক সহকারী পরিচালক মো: সালাহউদ্দিন স্বাক্ষরিত ঔষধের শাস্ত্রীয় নামের অনুমোদন কপি।

 

মজার জিনিস টা হলো কোম্পানি আয়ুর্বেদিক কিন্তু প্রতিটি ঔষধ ইউনানী শাস্ত্রীয় অনুকরণে তৈয়ারী করিত হইবে, শাস্ত্রের পরিপন্থী কোন কিছু করা চলিবে না। মো: সালাহউদ্দিন সহকারী পরিচালক থাকাকালীন এতোটাই জ্ঞ্যান সম্পন্ন বেক্তিতে পরিনত হয়েছেন যে তিনি আজ পরিচালক প্রশাসন এর পদ অলংকৃত করেছেন, এতোবড়ো ভুল না ধরে তিনি স্বাক্ষর করেন কিভাবে? এটা কি তার মহাজ্ঞানীর পরিচয়? এটাতো গেলো ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের পরিচালক প্রশাসন মো: সালাহউদ্দিন এর অদক্ষতা, অযোগ্যতা ও অদূরদর্শীতার পরিচয় এর বিষয়, এবার আসা যাক খান সন্স ফার্মাসিউটিক্যালস (আয়ু) / হিউম্যান ল্যাবরেটরীজ (আয়ু) এর জনস্বাস্থ্য বিরোধী কর্মকান্ডের বিষয়ে উক্ত কোম্পানির বর্তমান মালিক সাইফুল ইসলাম ও ফারুক হোসন, এরা মুলত খান সন্স ফার্মাসিউটিক্যালস (আয়ু) এর নাম, মালিকানা এবং স্থান পরিবর্তন এর সকল প্রক্রিয়া সম্পন্ন না করেই অবৈধভাবে হিউম্যান ল্যাবরেটরীজ (আয়ু) নামে বিভিন্ন প্রকার আয়ুর্বেদিক ঔষধ সামগ্রীর উৎপাদ ও বাজারজাত করছে। বিশেষকরে হিউম্যান আমলকী প্লাস (আমলকী রসায়ন) ৪৫০ মিলি সিরাপ, এইচ কুলি (চন্দ্রনাসব) ২০০ মিলি সিরাপ, হিউ বাসক (বাসকারিস্ট) ১০০ মিলি কফ সিরাপ সহ নামে বেনামে বাংলাদেশ জাতীয় আয়ুর্বেদিক ফর্মুলারির বাইরে গিয়ে অবৈধভাবে শুধুমাত্র কালার ফ্লেভার ও কেমিক্যাল ব্যাবহার করে বিভিন্ন প্রকার আয়ুর্বেদিক ঔষধ সামগ্রীর উৎপাদ ও বাজারজাত করছে।

ট্রাস্ট ল্যাবরেটরীজ (ইউনানী)/ ট্রাস্টকো ল্যাবরেটরীজ ইউনানীর বিতর্কিত সব ঔষধের ছবি।

 

ট্রাস্ট ল্যাবরেটরীজ ইউনানী, ঢাকা বাংলাদেশ, হেড অফিস ৭০/ডি,চিড়িয়াখানা রোড চতুর্থ তলা,মিরপুর -১ ঢাকা -১২১৬। উক্ত কোম্পানির মালিক পক্ষ ট্রাস্ট ল্যাবরেটরীজ ইউনানী’র নাম ট্রাস্টকো ল্যাবরেটরীজ ইউনানী নাম ব্যাবহার করে ট্রাস্ট আমলকি প্লাস (শরবত আমলকি) ৪৫০ মিলি ভিটামিন সিরাপ। মাল্টা প্লাস সি ৪৫০ মিলি ভিটামিন সিরাপ, টি-ভিটা সিরাপ, উচ্চ ক্ষমতা মাল্টিভিটামিন এবং মাল্টিমিনারেল, ৪৫০ মিলি মুল্য ৩৫০ টাকা , ইরোভিট সিরাপ হিমোগ্লোবিন এবং রক্ত বৃদ্ধি করে আয়রন তৈরিতে কার্যকর ৪৫০ মিলি মুল্য ৩৬০ টাকা, বেলজাইম (সরবত বেলগিরি) হজম শক্তি বৃদ্ধি করে, ৪৫০ মিলি সিরাপ মুল্য ১৫০ টাকা, ২২৮ মিলি মুল্য ৮০ টাকা, লিঙ্কস সিরাপ, অ্যান্টি-অ্যালার্গাটিক এবং কফ সিরাপ উইথ এক্সপেক্টোর্যান্ট ১০০ মিলি, মুল্য ৭০ টাকা, লাইভ ট্রাস্ট সিরাপ, জন্ডিস, যকৃতের রোগ এবং কোষ্ঠকাঠিন্য পরিস্কার করে ৪৫০ মিলি মুল্য ১৫০ টাকা ২২৮ মিলি মুল্য ৪০ টাকা, ট্রাস্ট -ফি সিরাপ রক্ত বিশুদ্ধকারী এবং ত্বকের রোগ নিরাময়ে কার্যকরী ৪৫০ মিলি মুল্য ৩৬ টাকা, ভিটা প্লেক্স সিরাপ প্রাকৃতিক শক্তি বর্ধক ও মাল্টিভিটামিন ৪৫০ মিলি মুল্য ৩৮০ টাকা এবং ১০০ মিলি ৪০ টাকা, ট্রাস্ট বুজুরী সিরাপ, মূত্রবর্ধক,এবং মূত্রনালীর ব্যাধির জন্য কার্যকর ৪৫০ মিলি মুল্য ১৫০ টাকা এবং ২২৮ মিলি মুল্য ৭৫ টাকা, ওসেন সিরাপ অ্যানোরেক্সিয়া, জন্ডিস এবং কার্ডিয়াক দুর্বলতা ও ভিটামিন-সি এর অভাব পুরণ করে, ৪৫০ মিলি মুল্য ৩০০ টাকা, নেক্সাভিট জুনিয়র (বাচ্চাদের জন্য) ক্ষুধা ও পুষ্টি বর্ধক সিরাপ ১০০ মিলি, মুল্য ১০০ টাকা, ইনোয়েড প্লাস অ্যান্টাসিড এবং অ্যান্টি আলসার সিরাপ ২০০ মিলি, মুল্য -১১০ টাকা,উরেকা সিরাপ অনিয়মিত ঋতুস্রাব এবং জরায়ুজনিত রোগের জন্য ৫৪০ মিলি মুল্য ১৮০ টাকা , ২২৮ মিলি মুল্য ৯০ টাকা ১০০ মিলি মুল্য ৮০ টাকা, লিকোট্রাস্ট (লিকোরিয়া) সিরাপ লিকোরিয়া নিরাময় এবং প্রতিরোধে কার্যকর ১০০ মিলি মুল্য ১৬০ টাকা ৫০ মিলি মুল্য ৬৫ টাকা, টি-জিনসিন যৌন উত্তেজক সিরাপ ৪৫০ মিলি মুল্য ৩০০ টাকা ১০০ মিলি মুল্য ৮৫ টাকা এবং ৫০ মিলি ৭৫ টাকা, ডুরেক্স যৌন শক্তি বর্ধক ১০০ মিলি সিরাপ মুল্য ১০০ টাকা ,ট্রাস্ট রুচিফিট প্রাকৃতিক মাল্টিভিটামিন এবং মাল্টিমিনারেল, ট্যাবলেট ৩০ টির পট, মুল্য ৩০০ টাকা, ভি-ট্রাস্ট, ভিটামিন ই এবং ভিটামিন এ টু জেড, ট্যাবলেট ৩০ টির পট মুল্য ৩০০ টাকা, ট্রাস্ট ক্যাল-ডি, প্রাকৃতিক ক্যালসিয়াম এবং ক্যালসিয়াম কার্বনেট, ট্যাবলেট ৩০ টির পট মুল্য ১৮০ টাকা, হরমো ট্রাস্ট যৌন উত্তেজক, স্ট্যামিনা এবং স্বপ্ন দোষে কার্যকর, ক্যাপসুল ৩০ টির পট মুল্য ৫০০ টাকা, ভিটোগিন যৌন শক্তি বর্ধক ২৫০ এম জি ক্যাপসুল ৩০০ টাকা এবং ৫০০ এম জি ক্যাপসুল ৬০০ টাকা। উল্লেখিত ঔষধ সামগ্রীর উৎপাদ ও বাজারজাত করছে। উক্ত কোম্পানির উৎপাদিত ঔষধের মধ্যে টি-জিনসিন ও ডুরেক্স নামক ১০০ মিলি যৌন উত্তেজক সিরাপ তৈরি করার সময় সিলডেনাফিন সাইট্রেড নামক (ভায়াগ্রার উপাদান) কেমিক্যাল ব্যাবহার করা হয়েছে এবং ভিটামিন ঔষধ সমুহের মধ্যে ডেক্সামিথাসন ও সিপ্রহেপ্টাডিন নামক কেমিক্যাল ব্যাবহার করা হয়েছে। এছাড়াও ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের ওয়েবসাইটে ট্রাস্ট ল্যাবরেটরীজ (ইউনানী) নাম উল্লেখ করা থাকলেও মালিক পক্ষ ইনভয়েসে ট্রাস্টকো ল্যাবরেটরীজ (ইউনানী) নাম দিয়ে রাজধানী সহ সারাদেশে ঔষধ সামগ্রী বাজারজাত করার অভিযোগ পাওয়া গেছে।

এস-কে ল্যাবরেটরীজ (আয়ু) এর উৎপাদিত বিতর্কিত ও অন-অনুমোদিত ঔষধের নমুনার ছবি।

 

এস,কে ল্যাবরেটরীজ লিঃ আয়ুর্বেদিক ঢাকা বাংলাদেশ লাইসেন্স নং আয়ু-১১৮, এর কারখানা কোন্ডা বাজার সাভার এলাকা হলেও ঔষধ সামগ্রীর লেবেল কার্টনে তা উল্লেখ না করে শুধুমাত্র ঢাকা বাংলাদেশ উল্লেখ করা হয়েছে যা এক ধরনের প্রতারণা। এস-কে ল্যাবরেটরীজ (আয়ু) এর মালিক কাজল কোম্পানি টি সফিকুল ইসলাম এর কাছে বিক্রি করে দিয়েছে, নিয়মানুযায়ী ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর কর্তৃক কোম্পানির মালিকানা ও স্থান পরিবর্তন করতে হবে কিন্তু কোম্পানির মালিক সফিকুল ইসলাম ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের নিয়মকানুন কে তোয়াক্কা না করেই অবৈধভাবে ইচ্ছে মতো নাম ও ইচ্ছে মতো দামে বাংলাদেশ জাতীয় আয়ুর্বেদিক ফর্মুলারির বাইরে গিয়ে শুধুমাত্র কালার, ফ্লেভার ও কেমিক্যাল ব্যাবহার করে ঔষধ সামগ্রীর উৎপাদ ও বাজারজাত করছে বেপরোয়া ভাবে তার এহেন কর্মকান্ড দেখার যেন কেউ ই নেই। এস-কে ল্যাবরেটরীজ (আয়ু) এর বর্তমান মালিক সাইফুল ইসলাম নামে বেনামে অবৈধ ও অন-অনুমোদিত ঔষধের উৎপাদন ও বাজারজাত করছে বেপরোয়া ভাবে। উক্ত কোম্পানির উৎপাদিত ঔষধের মধ্যে এস কে ভিট প্লাস (বলারিস্ট) ৪৫০ মিলি পুষ্টিকারক ও হজমিকারক সিরাপ এর ডি এ আর নং- আয়ু ১১০-এ-২০, ব্যাচ নং ০১ মেয়াদ উত্তীর্ণ তারিখ ২০২৬ পর্যন্ত । গ্যাসোনিড (মুশতাকারিস্ট) ডি এ আর নং-আয়ু- ১১০-এ-০০৩ ব্যাচ নাম্বার- ০১, মেয়াদ ২০২৪ থেকে ২০২৬ পর্যন্ত, মূল্য ১১০ টাকা,২০০মিঃ লিঃ সাদা রঙের সিরাপ যা সম্পূর্ণ কালার ফ্লেভার ও কেমিক্যাল দিয়ে তৈরি করেছে । এ ছাড়াও এস কে তুলসী (দ্রাক্ষারিষ্ট) ১০০ মিলি কফ সিরাপ এর ডি এ আর নং- আয়ু- ১১০-এ-০৯, ব্যাচ নং – এস কে-০১, মূল্য ৬৫ টাকা । এস-কফ (দ্রাক্ষারীস্ট) ডি এ আর নং আয়ু ১১০-এ-০২১, মূল্য- ৭০ টাকা, ব্যাচ নং এস কে- ০১, কফ নিঃসরক ও ফুসফুস পরিষ্কারক ১০০ মিলি সিরাপ । এছাড়াও উক্ত কোম্পানির উৎপাদিত বিতর্কিত ঔষধ তৈরি করার সময় ভিটামিন ও যৌন উত্তেজক ঔষধ সামগ্রীতে সিলডেনাফিন সাইট্রেড ও ডেক্সামিথাসন গ্রুপের কেমিক্যাল ব্যাবহার করার মতো গুরুতর অভিযোগ উঠেছে।

নবীন ল্যাবরেটরীজ ইউনানী, দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ এলাকার হিউম্যান ল্যাবরেটরীজ (আয়ু), ট্রাস্ট ল্যাবরেটরীজ ইউনানী ঢাকা, বাংলাদেশ এবং সাভার এলাকার এস-কে ল্যাবরেটরীজ (আয়ু) এর অবৈধ ও জনস্বাস্থ্য বিরোধী কর্মকান্ডের বিষয়ে জরুরিভাবে ব্যাবস্থা গ্রহণ করা না হলে আবারও সর্বনাশা প্রাণঘাতী ঔষধের মরন ছোবলে প্রানহানীর মতো গুরুতর ঘটনা ঘটার আশংকা প্রকাশ করেছেন সচেতন মহল । এবিষয়ে সচেতন মহল গনপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যান মন্ত্রণালয়ের মাননীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রী, স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী, স্বাস্থ্য সচিবসহ সংশ্লিষ্ট উর্ধ্বতন মহলের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করছেন।


Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *