রাজধানীর বাড্ডা থানা পুলিশের তৎপরতায় মুক্তিপণের উদ্দেশ্যে অপরিত দুই বছরের শিশু মরিয়ম উদ্ধার : আসামি গ্রেফতার 

Uncategorized অপরাধ আইন ও আদালত ঢাকা প্রশাসনিক সংবাদ বিশেষ প্রতিবেদন রাজধানী

নিজস্ব প্রতিবেদক  : রাজধানীর বাড্ডা থানা পুলিশের তৎপরতায় মুক্তিপণের উদ্দেশ্যে অপরিত দুই বছরের শিশু মরিয়ম উদ্ধারসহ  আসামি গ্রেফতার হয়েছে, এ খবর সংশ্লিষ্ট সুত্রের।


বিজ্ঞাপন

জানা গেছে,  আসামী মুক্তা আক্তার সুমাইয়া’ পিতা- মো: মফিজ, মাতা বেবি আক্তার, কালির বাজার থানা ফরিদগঞ্জ জেলা চাঁদপুর এর সহিত বাদী মনু মিয়ার স্ত্রী রিমা বিবির সাথে সাজেদা ফাউন্ডেশনে চাকুরীর সুবাদে পরিচয় হয়। পরিচয়ের সূত্র ধরে আসামী বাদীর বর্তমান ঠিকানার ভাড়া বাসায় যাতায়াত করতো। বাদী কমলাপুর স্টেশনে লেবারের কাজ করার সুবাদে ১৮ মে,  সকাল অনুমানিক  ১১ টায় কাজে চলে যায়। বাদীর অনুপস্থিতির সুযোগে আসামী ইং-১৮ মে, রাত অনুমানিক সাড়ে ৯ টায় মনু মিয়ার বর্তমান ঠিকানা-বাজার গলি মধ্যবাড্ডা, থানা বাড্ডার ভাড়া বাসায় এসে বাদীর স্ত্রীর নিকটে রাতে বাসায় থাকবে বলে জানায়। বাদীর স্ত্রী সরল মনে আসামীকে বাদীর বাসায় থাকার অনুমতি দেয়।


বিজ্ঞাপন

উক্ত আসামী গতকাল ১৯ মে  সকাল অনুমানিক সাড়ে ৮ টায় বাদীর স্ত্রীর কোল হইতে বাদীর ২(দুই) বৎসরের শিশু বাচ্চা মরিয়ম’কে পাশের দোকানে পাউরুটি খাওয়ানোর কথা বলে নিয়ে যায়। উক্ত আসামী তাহার ব্যবহৃত মোবাইল নং-০১৮৯৮৫০৯৩৮৩ থেকে  সকাল অনুমানিক সাড়ে ১০ টায় বাদীর ব্যবহৃত মোবাইল নং-০১৭৮০৬৫৭১৬৬ তে কল দিয়ে বাদীর শিশু বাচ্চা মরিয়ম এর কান্নার আওয়াজ শোনায়।

মরিয়ম তাহার নিকট কেন জিজ্ঞাসা করলে আসামী জানায়, “তোমার বাচ্চা এখন আমার কাছে আছে, নিতে হলে ১০,০০০ (দশ হাজার টাকা) তাকে মুক্তিপন দিতে হবে” আসামী আর কোন তথ্য না দিয়া মোবাইল কেটে দেয়। বাদী তাহার স্ত্রী রিমা বিবির নিকট বাদীর বাচ্চা মরিয়মের খোঁজ নিতে কল দিলে, উক্ত আসামী মুক্তা আক্তার সুমাইয়া রুটি খাওয়ানোর কথা বলিয়া নিয়ে গেছে বলে জানায়।

আসামী দীর্ঘ সময় বাসায় ফেরত না গেলে বাদীর স্ত্রীও খোঁজাখুজি করতে থাকে। বাদী আসামীর ফোনে একাধিক কল দিলে আর বাদীর ফোন রিসিভ করেনি। আসামী বাদীর বাচ্চা মরিয়ম’কে অপহরন করে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে গিয়ে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন অংকের মুক্তিপন দাবি করিয়া বিভ্রান্ত মূলক তথ্য দিতে থাকে৷ বাদীর অভিযোগের ভিত্তিতে সূত্রে বর্ণিত মামলাটি রুজু হয়।

মামলাটি তদন্তকা বাড্ডা থানার চৌকোস এসআই শাহ আলম খলিফা ও তার টিমকে তদন্তকারী নিয়োগ করিলে তিনি বাড্ডা থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ ইয়াসিন গাজী এবং এসি বাড্ডা জোন, রাজন কুমার সাহার সঠিক  দিক নির্দেশনায় প্রযুক্তির সহায়তায় উক্ত আসামীর অবস্থান সনাক্ত পূর্বক  চাঁদপুর জেলার ফরিদগঞ্জ থানাধীন কালির বাজার এলাকা হইতে আসামীকে অদ্য রাতে গ্রেফতার করেন।

আসামীর হেফাজত হইতে বাদীর ২(দুই) বৎসরের শিশু বাচ্চা মরিয়ম’কে উদ্ধার করেন এবং আসামীর হেফাজত হইতে মামলার ঘটনায় কথোপকথোনে ব্যবহৃত ১টি SYMPHONY ব্রান্ডের বাটন মোবাইল ফোন উদ্ধার করেন।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসা বাদে উক্ত আসামীর মামলার ঘটনার সহিত জড়িত থাকার তথ্য প্রমাণ পাওয়া যায়। আসামীর বিরুদ্ধে তদন্ত অব্যাহত আছে। আসামীকে নারী ফোর্সের সহায়তায় জিজ্ঞাসাবাদে মামলার ঘটনার বিষয়ে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে।


Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *