সড়ক ও জনপদ বিভাগের  লোগো লাগানো গাড়িতে ৭ লাখ পিস ইয়াবা উদ্ধার করলো র‍্যাব  : ৪ জন মাদক ব্যাবসায়ী গ্রেফতার 

Uncategorized অপরাধ আইন ও আদালত জাতীয় ঢাকা প্রশাসনিক সংবাদ বিশেষ প্রতিবেদন রাজধানী

৭ লাখ পিস ইয়াবা সহ আটককৃত সড়ক ও জনপদ বিভাগের বিলাসবহুল গাড়ি।


বিজ্ঞাপন

নিজস্ব প্রতিবেদক  : সড়ক ও জনপদ বিভাগের লোগো লাগানো বিলাস বহুল একটি (এসইউভি) পাজেরো গাড়ি টেকনাফ হয়ে মেরিন ড্রাইভ পার হচ্ছিল, ওই গাড়িতে করেই পাচার হচ্ছিল ৭লাখ পিস ইয়াবা যার বাজার মূল্য ৩ কোটি টাকারও অধিক বলে জানা গেছে। পাচারকালে উখিয়ার জালিয়াপালং ইউনিয়ন সংলগ্ন মেরিন ড্রাইভের পাটুয়ারটেক এলাকা থেকে আটক করে র‍্যাব-১৫।

গতকাল সোমবার (২০ মে) দিবাগত রাতে র‍্যাব ওই গাড়িসহ ইয়াবাগুলো জব্দ করে এবং ৪ ব্যক্তিকে গ্ৰেফতার করে। গ্রেফতারকৃতরা যথাক্রমে,  টেকনাফের পৌরসভার ডেইল পাড়া গ্রামের হাজী মোহাম্মদ আলীর পুত্র আব্দুল আমিন (৪০), টেকনাফ সদর ইউনিয়নের গোদারবিল গ্রামেন আবু সৈয়দ এর ছেলে মোহাম্মদ আবদুল্লাহ (৩৫), একই গ্রামের মৃত মোহাম্মদ কাশেমের ছেলে নুরুল আবসার (২৮) এবং  টেকনাফের ডেইল পাড়া গ্রামের মৃত দীল মোহাম্মদ এর ছেলে জাফর আলম (২৬)।

আটককৃত ৪ জন মাদক ব্যাবসায়ী।

উল্লেখ্য যে গ্ৰেফতারকৃত আব্দুল আমিন একজন কুখ্যাত মাদক কারবারি ইয়াবা সম্রাট ও পার্শ্ববর্তী দেশ হতে মাদক চোরাকারবারীর অন্যতম হোতা, সে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তালিকাভুক্ত আত্মসমর্পণ কৃত ইয়াবা কারবারি। এছাড়া টেকনাফ সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী আবু সৈয়দ এর ছেলে, তার ভগ্নিপতি রয়েছে। গত শনিবার র‍্যাব-১৫ কার্যলয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এইসব তথ্য জানান র‍্যাব-১৫ এর উপ অধিনায়ক মেজর শরিফুল আহসান।

তিনি জানান, আটক আবদুল্লাহর বাবা আবু সৈয়দের মালিকানাধীন বিলাসবহুল গাড়িতেটিতে সড়ক ও জনপদ অধিদপ্তর এর লোগো লাগানো ছিল। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর চোখকে ফাঁকি দিতেই ইয়াবা কারবারিরা এই পন্থা অবলম্বন করেছিল বলে জানায় র‍্যাব।

এছাড়া আত্মসমর্পণকৃত ইয়াবা কারবারি আবদুল আমিনের বিরুদ্ধে কক্সবাজারসহ সারাদেশের বিভিন্ন থানায় ১১টির‌ও অধিক মামলা রয়েছে। তার ভাগ্নে মোহাম্মদ আবদুল্লাহ বিরুদ্ধে ২টি মামলা রয়েছে। নুরুল আবসারে ১টি মাদক মামলা আছে। এছাড়া জাফর আলমের বিরুদ্ধে টেকনাফ থানায় নারী ও নির্যাতন দমন আইনে ২টি মামলা রয়েছে বলে জানা গেছে।


বিজ্ঞাপন

এছাড়াও র‍্যাব আরো জানায়, মিয়ানমার থেকে ইয়াবাগুলো বাংলাদেশ সরবরাহ করছিল মিয়ানমারের বাসিন্দা বার্মাইয়া সিরাজ। এই বার্মায়া সিরাজের মাধ্যমেই বেশীর ভাগ ইয়াবা টেকনাফ সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশে নিয়ে আসেন বাংলাদেশের মাদক ব্যাবসায়ীরা ।


Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *