মোঃ আসাদুজ্জামান (বেনাপোল) : ভাল কাজের প্রলোভনে ভারতে পাচারের শিকার ৮ বাংলাদেশি নারীকে দীর্ঘ এক বছর পর যশোরের বেনাপোল চেকপোষ্ট দিয়ে বিশেষ ট্রাভেল পারমিটে ফেরত পাঠিয়েছে ভারতীয় পুলিশ।
সোমবার (২০ মে) সন্ধায় ভারতের পেট্রাপোল ইমিগ্রেশন পুলিশ তাদের বেনাপোল চেকপোস্ট ইমিগ্রেশন পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, ভারতের কলকাতার বাংলাদেশস্থ উপ-হাইকমিশনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পরিচালক বিদোষ চন্দ্র বর্মন, বিজিবি, পুলিশ ও দু‘দেশের মানবাধিকার সংস্থার কর্মকর্তারা।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পরিচালক বিদোষ চন্দ্র বর্মন বলেন, এ নারীরা বিভিন্ন সময়ে ভারতে পাচার হয়ে যায়। পরে দু‘দেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের যোগাযোগের মাধ্যমে আজ তাদেরকে দেশে ফেরত আনা হয়েছে।
ফেরত আসারা হলেন- যশোরের সদর থানার মিনা বেগম ( ৪২), বাঘারপাড়ার লিপি খাতুন ( ৩৫), নড়াইল জেলার লোহাগড়া থানার ঝুমা (২৮), খুলনা জেলার দিঘলিয়া থানার ফারহানা আক্তার (১৬), সাতক্ষীরা জেলার কলারোয়া থানার মোসাম্মৎ নাজমা (৩৬), একই থানার সুখজান খান (৩৮), মাদারীপুর জেলার কালকিনি থানার মনিরা (১৯) ও নরসিংদী জেলার শিবপুর থানার শিউলি বেগম (৩১)।
বেনাপোল চেকপোস্ট পুলিশ ইমিগ্রেশনের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আজহারুল ইসলাম জানান, ভারতে পাচার হাওয়া বাংলাদেশি নারীদের ইমিগ্রেশনের আনুষ্ঠানিকতা শেষে বেনাপোল পোর্ট থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। সেখান থেকে জাস্টিস এন্ড কেয়ার ও রাইট যশোর নামে দুইটি এনজিও সংস্থা গ্রহন করবে তাদের পরিবারের কাছে পৌছে দিতে।
মানবাধিকার সংস্থা জাস্টিস এন্ড কেয়ারে সিনিয়ার প্রোগ্রামার অফিসার মুহিত হোসেন জানায়, ভাল কাজের প্রলোভনে পড়ে এরা দালালদের মাধ্যমে বিভিন্ন সীমান্ত পথে ভারতে যায়। সেখানে অবৈধ অনুপ্রবেশের অভিযোগে ভারতীয় পুলিশের হাতে আটক হয়। পরে পুলিশ আদালতে সোপর্দ করলে ভারতীয় মানবাধিকার সংস্থা তাদের ছাড়িয়ে শেল্টার হোমে রাখে। পরে দুই দেশের দেওয়া বিশেষ ট্রাভেল পারমিটে এরা দেশে ফেরার সুযোগ পায়। ফেরত আসাদের আজই রাতে যশোরে আমাদের নিজ নিজ শেল্টার হোমে নিয়ে যাওয়া হবে। পরে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।