মোস্তাফিজুর রহমান ঃ গণপূর্তের ২ প্রকৌশলীর দুর্নীতির প্রমাণ পেয়েছে দুদক, এ খবর সংশ্লিষ্ট সুত্রের।
জানা গেছে, গণপূর্ত অধিদপ্তরের উপ-সহকারী প্রকৌশলী মো. মনিরুজ্জামান ও উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী মিঠুন মিস্ত্রীর বিরুদ্ধে দুর্নীতির প্রমাণ পেয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ, ভবন ও অন্যান্য স্থাপনা মেরামতের দুইবার বিল উত্তোলনসহ বিভিন্ন দুর্নীতিতে সম্পৃক্ত হওয়া।
গত মঙ্গলবার (২১ মে) দুদকের প্রধান কার্যালয় থেকে এনফোর্সমেন্ট অভিযানে দুর্নীতির প্রাথমিক প্রমাণ পাওয়া গেছে।
দুদকের উপ-পরিচালক (জনসংযোগ) মো. আক্তারুল ইসলাম এ বিষয়ে বলেন, গণপূর্ত অধিদপ্তরের উপ-সহকারী প্রকৌশলী ও উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলীর বিরুদ্ধে প্রকল্পের কাজ সম্পন্ন না করে বিল উত্তোলনপূর্বক আত্মসাতের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে এনফোর্সমেন্ট অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযানকালে কার্যাদেশ ও সংশ্লিষ্ট রেকর্ডপত্র সংগ্রহ করা হয়। সংগৃহীত রেকর্ডপত্র পর্যালোচনায় অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা রয়েছে বলে দুদক টিমের কাছে প্রতীয়মান হয়েছে। অভিযানে প্রাপ্ত তথ্য বিস্তারিতভাবে যাচাই করে কমিশনে প্রতিবেদন দাখিল করবে টিম।
গণপূর্ত ও দুদক সূত্রে জানা যায়, রাজধানীর মিন্টো রোডের সরকারি বাংলো নং-৯-এর ভবন ও অন্যান্য স্থাপনার মেরামতসহ আনুষঙ্গিক কাজের দায়িত্ব পালন করেন উপ-সহকারী প্রকৌশলী মো. মনিরুজ্জামান এবং উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী মিঠুন মিস্ত্রী। তবে সেখানে তারা একই কাজে দুইবার বিল জমা দেন। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নজরে এলে তদন্ত কমিটি গঠন হয়।
প্রথম তদন্ত প্রতিবেদনে জানা গেছে, গণপূর্ত ও দুদক সূত্রে জানা যায়, রাজধানীর মিন্টো রোডের সরকারি বাংলো নং-৯-এর ভবন ও অন্যান্য স্থাপনার মেরামতসহ আনুষঙ্গিক কাজের দায়িত্ব পালন করেন উপ-সহকারী প্রকৌশলী মো. মনিরুজ্জামান এবং উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী মিঠুন মিস্ত্রী। তবে সেখানে তারা একই কাজে দুইবার বিল জমা দেন। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নজরে এলে তদন্ত কমিটি গঠন হয়। তদন্ত প্রতিবেদনেও একই কাজের বিল দুইবার জমা দেওয়ার প্রমাণ মেলে।
সূত্র জানায়, ভবনের ছাদের কেমিক্যাল ট্রিটমেন্ট, ভেতর ও বাইরের রংসহ সংস্কার, বাউন্ডারি ওয়াল, পুলিশ ব্যারাক, পশু পালন শেড মেরামতসহ আনুষঙ্গিক কাজের ২৫ লাখ ৯৯ হাজার ১২৩ টাকা মূল্যমানের একখানা প্রাক্কলন থোক বরাদ্দ থেকে প্রশাসনিক অনুমোদন ও অর্থ বরাদ্দের জন্য তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী, ঢাকা গণপূর্ত সার্কেল-১, ঢাকা দপ্তরে পাঠানো হয়। এর আগে ২০২২-২৩ অর্থবছরেও একই ভবনের বিশেষ মেরামত কাজের ২৯ লাখ ৯৬ হাজার ৪৯৭ টাকার একই বিল উত্তোলন করা হয়েছিল। একই কাজ বারবার করার বিষয়টি প্রমাণিত হওয়ায় ওই দুই প্রকৌশলীকে বদলি করা হয়।
লঘুদণ্ড ঠেকাতে আন্দোলনে নামে ডিপ্লোমা প্রকৌশলী সমিতি। তারা মো. মনিরুজ্জামানকে বদলি করার আদেশ প্রত্যাহার চান। এমনকি এ ঘটনায় প্রধান প্রকৌশলীর সঙ্গে অপ্রীতিকর ঘটনাও ঘটে বলে জানা গেছে।