বিশেষ প্রতিবেদক : অসহনীয় যানজটে অতিষ্ঠ নগরবাসী। প্রতিনিয়ত যানজট তীব্র থেকে তীব্রতর হচ্ছে শুধুমাত্র সঠিক পরিকল্পনার অভাবে, এমনটাই মনে করেন সাধারণ মানুষ। সুষ্ঠু পরিকল্পনা ও উন্নয়ন কাজ দ্রুত সময়ের মধ্যে শেষ করার দাবিও তাদের। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, গণপরিবহনের ওপর আস্থা বাড়ানোর পাশাপাশি, সড়কে শৃঙ্খলা আনা গেলেই কেবল যানজটের সমাধান সম্ভব। তবে ট্রাফিক বিভাগ বলছে, উন্নয়ন কাজ চলায় যানজট অতিদ্রুত নিরসন সম্ভব না হলেও বিকল্প পথে যানবাহন চলাচলের মাধ্যমে জট কিছুটা সহনীয় পর্যায় আনার চেষ্টা চলছে।
দীর্ঘ অপেক্ষা, স্বল্প দূরত্বের গন্তব্য যেন বহুদূর। রাজধানীতে এ চিত্র এখন নিত্যনৈমেত্তিক ব্যাপার। ধর্য্যহারা হয়ে উঠছেন শহরবাসী।
প্রতিদিনকার এ দৃশ্য দেখে শহরবাসী অনেকটাই এখন ক্ষুব্ধ। কর্মক্ষমতা লোপ পাওয়াসহ নানা অসঙ্গতি তাদের দৈনন্দিন জীবনে।
মেট্রোরেলসহ সব উন্নয়ন কাজগুলো দ্রুত সময়ের মধ্যে শেষ করার দাবি জানিয়েছেন রাজধানীবাসী
একজন বলেন, মেট্রোরেলের কাজগুলো অতি দ্রুত শেষ করে আমাদেরকে সহনশীল পর্যায়ে রাখা উচিত। আরেক জন বলেন, শাহবাগ থেকে ফার্মগেটে যাওয়ার সময় গাড়িতেই বসে থাকতে হয় ১ থেকে দেড়ঘণ্টা।
উন্নয়নকাজের দোহাই দিয়েই সমস্যা থেকে কর্তৃপক্ষ পাশ কাটিয়ে গেলে চলবে না, গণপরিবহন খাতকে ঢেলে সাজানোর পাশাপাশি ফুটপাত দখলমুক্তসহ শৃঙ্খলা ফেরাতে হবে সড়কে, এমটাই মনে করেন পরিবহন বিশেষজ্ঞরা।
বুয়েট পুরকৌশল বিভাগ অধ্যাপক ড. হাসিব মোহাম্মদ আহসান বলেন, একটা শহরকে সাজানোর জন্য আমি গণপরিবহনের দিকে নজর বেশি দিবো। নাকি প্রাইভেট ট্রান্সপোর্টের দিকে নজর বেশি দিবো। এখানে পলিসির ক্ষেত্রে প্রাইভেটকার যেন কিনতে না পারে। এবং সড়কে প্রাইভেটকারের পরিমাণ যেন বেশি না হয়, সেই দিকে খেয়াল রাখতে হবে।
তবে যানজট নিরসনে নিজেদের নানা উদ্যোগের কথা জানালেও সহসাই বাহনের জট খুলছে না বলে ইঙ্গিত ট্রাফিক বিভাগের।
ডিএমপি ট্রাফিক অতিরক্ত কমিশনার মফিজউদ্দিন আহম্মেদ বলেন, প্রাইভেট কারে যারা বেশি চলাচল করে, কোয়ালিটি বাড়িয়ে তাদেরকে বাস ব্যবহারে উৎসাহিত করা। এই বিষয়টি কোনো বিকল্প নেই।