নিজস্ব প্রতিবেদক : রাজধানীর কদমতলি, শ্যামপুর ও ঢাকা জেলার কেরানী গঞ্জের কিছু এলাকাজুড়ে লেগুনা ড্রাইভার সোহেলের নেতৃত্বে একটি বিশাল মাদকের নেটওয়ার্ক ও সন্ত্রাসী বাহিনী গড়ে উঠেছে বলে অভিযোগ উঠেছে ।
অভিযোগ মতে, কদমতলী থানাধীন মোঃ শহিদুল ইসলাম এর ছেলে সোহেল বিশাল এক মাদক সিন্ডিকেটসহ সন্ত্রাসী বাহিনী গড়ে তুলেছেন। সোহেল মূলত পেশায় একজন লেগুনা ড্রাইভার হলেও চাঁদাবাজি, ছিনতাই ,মারধর, বিভিন্ন প্রকার মাদক দ্রব্য বিক্রিসহ গড়ে তুলেছেন বিশাল এক সিন্ডিকেট।
সোহেল বাহিনীর অপরাপর সদস্যরা হচ্ছে অপু পিতা-মোঃ সোবাহান, বর্তমান ঠিকানা – কেরানীগঞ্জ, সাইফুল ,হেলাল, বর্তমান ঠিকানা- আলম মার্কেট গ্যাস পাইপ মোঃ সাগর, মোঃ রুবেল , পিতা -মোঃ তোতা, বর্তমান ঠিকানা – আলম মার্কেট গ্যাস পাইপ,মোঃ নুর আলম পিতা নজরুল , বর্তমান ঠিকানা -আলম মার্কেট গ্যাস পাইপ , আরো অনেকেই। সোহেলের সন্ত্রাসী বাহিনীর অধিকাংশ সন্ত্রাসী শ্রমিক ও লেগুনার ড্রাইভার।
সোহেলের বাবার দেশের বাড়ি খুলনায়। সোহেলরা এক ভাই তিন বোন।তাদের মধ্যে সোহেল পরিবারের বড় ছেলে।সোহেলের বাবা একজন সিএনজি চালক করেছেন একাধিক বিয়ে। মা নিলু ছিলেন ওমানে। দেশে এসে সোহেলের বাবা শহিদুল ইসলাম কে ছেড়ে আরেকটি বিয়ে করেন। বর্তমানে মা থাকেন চাঁদপুরে । বিদেশে লোক পাঠানোর কাজ করে থাকেন।
সোহেলের যেকোনো সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড সহ যে কোন অবৈধ অসামাজিক কাজে আইনগত সকল ঝামেলায় তার মা তাকে আর্থিকভাবে সাহায্য করে থাকেন। সোহেলের শ্বশুর বাড়ি কেরানীগঞ্জ স্ট্যান্ড বাজার। সোহেল বাহিনীর নামে রয়েছে কদমতলী থানায় একাধিক জিডি ও মামলা।
সোহেলের ভয়ে মুখ খুলে না ব্যবসায়ী ও সাধারণ জনগণ। সোহেলের নামে তার সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড ও অবৈধ অসাজিক কাজের বিষয়ে জনগণ কিছু বললেই ধারালো অস্ত্র নিয়ে মানুষকে ভয়-ভীতি দেখায়। এছাড়াও সোহেল বাহিনী মারধর করেছে অনেক শ্রমিকদের কেও। এই সন্ত্রাসী বাহিনীর অত্যাচারে অনেক শ্রমিক জীবন বাঁচাতে কাজ ছেও পালিয়ে চলে গেছে।
কথিত সোহেল বাহিনীর ভয়ে শ্যামপুর গ্লাস ফ্যাক্টরির মেহনতি গলির শ্রমিকরা কাজ করে রাতে বাড়ি যাওয়ার পথে প্রায়শই টাকা পয়সা ও তাদের মোবাইল জোর করে নিয়ে যায় সোহেল বাহিনীর সদস্যরা। এদের কে কিছু বললে তাদেরকে মারধর ও করে। সোহেল বাহিনীর এই অপকর্মের কারণে এলাকাবাসী ও সাধারণ ব্যবসায়ীরা অতিষ্ঠ হয়ে লাগিয়েছেন সিসি ক্যামেরা ।
ফলে সোহেল বাহিনীর এসব অপকর্মের অনেক ভিডিও ফুটেজ পাওয়া গিয়েছে। গত রমজানের ঈদের পর সবকিছু যখন বন্ধ থাকে তখন সেই সুযোগে কাজে লাগিয়ে মেহনতির গলির একটি বাড়িতে সোহেল তার সঙ্গীদের নিয়ে ডাকাতি করে ।
দলপতি সোহেলর সাথে ডাকাতিতে আরও যারা ছিলো তারা হচ্ছে অপু , হেলাল ও রুবেল। এছাড়াও পানামা ফ্যাক্টরির শ্রমিকের ১৯ হাজার টাকার মোবাইল ছিনতাই করে অপু।
সোহেল বাহিনী নষ্ট করছে যুবসমাজকে। প্রকাশ্যে খাচ্ছে ইয়াবা ,গাঁজা ।আর এগুলো ব্যবসা তো তারাই করছে। সোহেল বাহিনী থেকে প্রতিকার চায় সাধারণ মানুষ ও খেটে খাওয়া শ্রমিকরা। যুবসমাজ ধ্বংস হওয়ার আগেই সোহেল বাহিনীকে আইনের আওতায় এনে কঠোর শাস্তি প্রদান করার জন্য সচেতন মহল জোর দাবি করেছেন।।