৮ দফা দাবিতে সরকারি চাকরিজীবীদের মানববন্ধন

জাতীয় জীবন-যাপন

নিজস্ব প্রতিবেদক : ২০১৫ সালের অষ্টম পে স্কেল সংশোধনসহ আট দফা দাবি জানিয়েছে ১১-২০ গ্রেডের সরকারি চাকরিজীবীদের সম্মিলিত নাগরিক ফোরাম। শুক্রবার জাতীয় প্রেসক্লাবে আয়োজিত মানববন্ধন কর্মসূচি থেকে তারা এ দাবি জানায়। মানববন্ধনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সচিব মো. মাহমুদুল হাসান।
মাহমুদুল হাসান বলেন, ১১ থেকে ২০ গ্রেডে এই বঞ্চিত লাখ লাখ কর্মচারীকে বাদ দিয়ে দেশকে মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত করা সম্ভব নয়। এসব দাবি বাস্তবায়নে প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণে আমরা গত ৯ সেপ্টেম্বর জাতীয় প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করি। এরপর ওই বছরের ৩০ সেপ্টেম্বর ৬৪ জেলার জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্মারক লিপি প্রদান করি।
তিনি আরও বলেন, ১৬ অক্টোবর প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক গঠিত জাতীয় বেতন বৈষম্য দূরীকরণ সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির সদস্যদের দফতরে স্মারকলিপি প্রদান করি। এখন পর্যন্ত বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রী, সংসদ সদস্য ও সংসদের বিভিন্ন মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত স্থায়ী কমিটির সভাপতিসহ প্রায় একশ জনের অধিক সংসদ সদস্য মহোদয়কে এ সংক্রান্ত স্মারকলিপি প্রদান করেছি। এরপর আবারও সংবাদ সম্মেলন করি। কিন্তু এখন পর্যন্ত সরকারের পক্ষ থেকে এ বিষয়ে কোনো দৃশ্যমান পদক্ষেপ নেয়া হয়নি।
ফোরামের কেন্দ্রীয় আহ্বায়ক মো. মিরাজুল ইসলাম বলেন, আজকের মানববন্ধন কর্মসূচি থেকে স্পষ্ট বার্তা দিতে চাই যে, আগামী ৭ মার্চ উত্থাপিত ৮ দফা দাবি বাস্তবায়নে যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ না করলে আমরা ১১-২০ গ্রেডের কর্মচারীরা কঠিন থেকে কঠিনতর কর্মসূচি দিতে বাধ্য হবাে।
তাদের দাবিগুলো হলো-
১. বেতন বৈষম্য নিরসন করে গ্রেড অনুযায়ী বেতন স্কেলের পার্থক্য সমহারে নির্ধারণ এবং গ্রেড সংখ্যা কমানো (আইএলও অনুযায়ী বেতন নির্ধারণ)
২. এক ও অভিন্ন নিয়োগ বিধি প্রণয়
৩. সকল পদে পদোন্নতি পাঁচ বছর পর পর উচ্চতর গ্রেড প্রদান (ব্লগ পোস্ট নিয়মিতকরণ করা)
৪. টাইম স্কেল সিলেকশন গ্রেড পুনর্বহালসহ বেতন জ্যেষ্ঠতা বজায় রাখা
৫. সচিবালয়ের ন্যায় পদবী ও গ্রেড পরিবর্তন করা
৬. সকল ভাতা বাজার চাহিদা অনুযায়ী সমন্বয় করা
৭. নিম্ন বেতনভোগীদের জন্য রেশন, শতভাগ পেনশন চালুসহ পেনশন গ্র্যাচুইটি হার এক টাকা সমান পাঁচশত টাকা করা
৮. কাজের ধরন অনুযায়ী পদের নাম ও গ্রেট একীভূত করা।
মানববন্ধনে উপস্থিত থেকে কেন্দ্রীয়, মহানগর, বিভাগ, জেলা, উপজেলা ও বিভিন্ন পেশাজীবী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ বক্তব্য রাখেন।


বিজ্ঞাপন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *