প্রধান শিক্ষককে পেটানো সেচ্ছাসেবক দলের নেতা তারেক
নিজস্ব প্রতিবেদক : পটুয়াখালীর বাউফলে লাঞ্ছিত হওয়ার ঘটনায় বিচার ও নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন দাবি করে সংবাদ সম্মেলন করেছেন এক প্রধান শিক্ষক। ওই শিক্ষকের নাম গাজী মো. মোশারেফ হোসন। তিনি উপজেলার মঠবাড়িয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও ধুলিয়া স্কুল অ্যান্ড কলেজের গভার্নিং বডির সদস্য।
মঙ্গলবার (৪জুন) বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে মঠবাড়িয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন এমন দাবি করেন ওই শিক্ষক। সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ধুলিয়া স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ এস.এম জহিরুল ইসলামের ব্যাপক অনিয়ম দুর্নীতির কারণে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। কলেজের সার্বিক বিষয় নিয়ে গত ১৮ মে বিকেলে কলেজ গভার্নিং বডির সভা অনুষ্ঠিত হয়। ওই সভায় আমিও উপস্থিত হই। তখন অধ্যক্ষ জহিরুল ইসলামের ভাইয়ের ছেলে ও উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব নাইম সিকদার তারেক বহিরাগত সন্ত্রাসী নিয়ে আমাকে মারধর করেন। এসময় তারেকের সাথে থাকা অবৈধ অস্ত্র দিয়ে আমাকে জখম করারও হুমকি দেন।
এ ঘটনায় আমি থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছে। তবে পুলিশ সন্তোষজনক ব্যবস্থা নেননি। লাঞ্ছিত করার ঘঠনায় সুষ্ঠু বিচারের দাবি করে প্রধান শিক্ষক মোশারেফ বলেন, নাইম একজন চিহিৃত সন্ত্রাসী। তার বিরুদ্ধে থানায় একাধিক মামলা রয়েছে। ঘটনার পর থেকে বিভিন্ন ভাবে আমাকে হুমকি দিয়েছে আসছে। এতে আমি আতঙ্কিত এবং নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি।
ওই সংবাদ সম্মেলনে ধুলিয়া স্কুল অ্যান্ড কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মাহবুবা আক্তারও উপস্থিত ছিলেন। তিনি বলেন,‘ দুর্নীতি প্রমাণিত হওয়ায় ধুলিয়া কলেজের অধ্যক্ষ জহিরুল ইসলামকে বরখাস্ত করা হয়েছে। আমাকে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের দায়িত্ব দেওয়া হয়। কিন্তু তিনি আমাকে দায়িত্ব বুঝিয়ে দেননি। ১৮ মে, গভার্নিং বডির সভা অনুষ্ঠিত হলে বরখাস্তকৃত অধ্যক্ষের ভাইয়ের ছেলে সন্ত্রাসী বাহিনীঅ নিয়ে বিশৃঙ্খল পরিবেশ সৃষ্টি করে। এসময় গভার্নিং বডির সদস্য ও শিক্ষক মোশারেফ হোসেনকে শারিরিকভাবে লাঞ্ছিত করেন।
এবিষয়ে ধুলিয়া স্কুল অ্যান্ড কলেজের গভার্নিং বডির সভাপতি শাহ আলম বলেন, অধ্যক্ষ জহিরুল ইসলামের আর্থিক অনিয়ম, দুর্নীতি, জাল-জালিয়াতি, সরকারি টাকা আত্মসাৎ, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারের স্বাক্ষর জাল সহ ব্যাপক অনিয়ম দুর্নীতির প্রমাণ মিলেছে। যার কারণে তাকে সাময়িক বরখাস্তও করা হয়েছে। গত গভার্নিং বডির সভায় তার ভাইয়ের ছেলে যে সন্ত্রাসী কর্মকাÐ চালিয়েছেন তা নিন্দানীয়। এ ব্যাপারে থানায় অভিযোগ করা হয়েছে। পুলিশ ব্যবস্থা নেওয়া আশ্বাস দিয়েছেন।
তবে সব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব নাইম সিকদার তারেক। তিনি বলেন, এসব অভিযোগ ভিত্তিহীন। তাকে মারধর করিনি। কথা কাটাকাটি হয়েছে মাত্র।
এবিষয়ে বাউফল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শোনিত কুমার গায়েন বলেন,‘ লিখিত অভিযোগ পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছিল। তদন্ত চলছে। এবিষয়ে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।