কুমিল্লা প্রতিনিধি : কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলার রাজাপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের ৯ম শ্রেণীর ছাত্রীকে জোরপূর্বক ধর্ষণের অভিযোগে আব্দুল মান্নান(৩০) নামের এক যুবককে কারাগারে দিলেন বুড়িচং থানা পুলিশ।
গতকাল মঙ্গলবার ৪ জুন, রাতে বিষয়টি নিশ্চিত করেন বুড়িচং থানার ওসি আবুল হাসানাত খন্দকার। এ বিষয়ে ধর্ষিতার মা নাছিমা আক্তার বাদি হয়ে বুড়িচং থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়,জেলার বুড়িচং উপজেলার রাজাপুর নোয়াপাড়া মালু সর্দারের বাড়িতে গত ৫ মে ২০২৪ তারিখে রাত ৯ ঘটিকার সময়। জানা যায়,একই এলাকার প্রতিবেশী মালু সর্দারের বাড়ির মোঃ মফিজুল ইসলামের ছেলে আব্দুল মান্নান প্রায় তিন বছর যাবত সুমি আক্তার ছন্দনাম স্কুল ছাত্রীকে স্কুলে আসা যাওয়ার পথে প্রেমের প্রস্তুত সহ বিভিন্ন কু-প্রস্তাব দিয়ে আসছে। উক্ত বিষয়টি ছাত্রী তার পরিবারকে জানান। পরে ভোক্তভোগি পরিবার ছেলের পরিবার সহ এলাকার মান্যগণ্য ব্যক্তিবর্গকে জানালে ক্ষিপ্ত হয়ে গত ২৫ মে রাত আনুমানিক ৯টার সময় ওই ছাত্রী তাদের ঘর থেকে বের হলে পূর্ব হইতে উৎপেতে থাকা আব্দুল মান্নান তাকে তাদের বসত ঘরের উত্তর পাশের গলিতে নিয়ে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে।
অভিযোগের ভিত্তিতে ঘটনাস্থলে গিয়ে জানা যায়,ঘটনার বিষয়টি ছাত্রীর পরিবার ও এলাকার লোকজন জেনে গেলে ধর্ষক ও তাদের লোকজন ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করে এবং একটি বৈঠকে ছাত্রীর পরিবার তাদের প্রস্তাব না মানলে তাদের উপর হামলা চালায়। ঘরের সরঞ্জাম ভাঙা হয় এবং উভয়ের কয়েকজন আহত হয়। (৩ জুন ২০২৪) সোমবার ছাত্রীর মা আব্দুল মান্নানের বিরুদ্ধে বাদি হয়ে বুড়িচং থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
ধর্ষিতা ছাত্রীর অভিযোগে ভিত্তিতে আব্দুল মান্নানকে আটক করে কুমিল্লা কোর্টের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করেন। এ ঘটনার আগেও আব্দুল মান্নানের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ রয়েছে বলে স্থানীয় বিশ্বস্ত সূত্রে জানা যায়। আব্দুল মান্নান কক্সবাজার পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের একজন কর্মচারী হিসেবে নিয়োজিত আছেন বলে তার মা-বাবা জানান। ধর্ষকের মা-বাবা জানান,তার ছেলের সাথে ওই ছাত্রীর প্রেমের সম্পর্ক ছিলো। আমার ছেলে ৫-৬ মাস আগে বিয়ে করেছে।এখন আমার ছেলে ফাঁসানো হয়েছে।
উক্ত বিষয়টি নিশ্চিত করে বুড়িচং ওসি আবুল হাসানাত জানান,অভিযোগের ভিত্তিতে আব্দুল মান্নানকে আটক করে কোর্টের মাধ্যমে জেল হাজাতে প্রেরণ করা হয়েছে।