সরকারকে টেনে নামানোর হুমকি ড. কামালের

রাজধানী রাজনীতি

নিজস্ব প্রতিবেদক : জনগণকে সঙ্গে নিয়ে সরকারকে টেনে নামানোর হুমকি দিয়েছেন জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের শীর্ষ নেতা ও গণফোরাম সভাপতি ড. কামাল হোসেন। তিনি বলেন, দেশের মানুষ এখন আগের থেকে বেশি ঐক্যবদ্ধ, তারা এই সরকারকে আর ক্ষমতায় দেখতে চায় না। তাই সময় থাকতে আওয়ামী লীগকে ক্ষমতা ছাড়ার পরামর্শও দেন ঐক্যফ্রন্টের এই নেতা।
শনিবার বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার কারাবরণের দুই বছর পূর্ণ হওয়া উপলক্ষে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে আয়োজিত এক প্রতিবাদ সভায় ড. কামাল এই হুমকি দেন। এ সময় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. মঈন খান, গণফোরোমের সাধারণ সম্পাদক সুব্রত চৌধুরী, নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না, গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী, জেএসডি সভাপতি আ স ম আব্দুর রবসহ আরো অনেকে উপস্থিত ছিলেন।
ড. কামাল বলেন, আওয়ামী লীগ নিজে থেকে সরে না গেলে ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন করে জনগণকে সঙ্গে নিয়ে তাদের ক্ষমতা থেকে টেনে নামানো হবে। এই সরকারকে আর ক্ষমতায় দেখতে চায় না জনগণ। তাই সবাইকে রাজপথে নেমে দাবি আদায়ের মাধ্যমে খালেদা জিয়াকে জেল থেকে মুক্ত করতে হবে। এক মিনিটও দেরি না করে সংগ্রামের মধ্যে দিয়ে গণতন্ত্র ও মানুষের সাংবিধানিক ক্ষমতা ফিরিয়ে দিয়ে স্বাধীনতার সূবর্ণ জয়ন্তী পালন করা হবে।
প্রতিবাদ সভায় ডা. জাফরউল্লাহ বলেন, দেশে অরাজকতা চলছে। একটি নিরপেক্ষ নির্বাচনের মাধ্যমে সরকার পরিবর্তনে নির্বাচন কমিশনকে পরিবর্তন করে শক্তিশালী কাউকে দায়িত্ব দেয়া উচিত। অন্যদিকে, দেশের বাইরের শত্রুরাও অগ্রসর হচ্ছে। তা মোকাবিলা করতে হবে। গণতন্ত্রের জন্য দরকার হলে সারাদেশে পদযাত্রা করতে হবে।
এসময় বিশিষ্ট আইনজীবী ড. কামাল হোসেনকে উদ্দেশ্য করে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের এই প্রতিষ্ঠাতা বলেন, খালেদা জিয়ার মুক্তির জন্য আপনি (ড. কামাল হোসেন) রিভিউ পিটিশনের জন্য দাঁড়ান। আপনার নেতৃত্বে খালেদা জিয়া মুক্তি পাক। খালেদা জিয়া এ সপ্তাহেই মুক্তি পাক।
জাফরুল্লাহ আরও বলেন, দেশকে ধ্বংসের হাত থেকে রক্ষা করতে হলে, খালেদা জিয়া যতদিন কারাগারে থাকবে ততদিন বিএনপির আর নির্বাচনে যাওয়ার প্রয়োজন নেই। দেশের সকল মানুষের এই সরকারের প্রতি অনাস্থা এবং যে নির্বাচন হচ্ছে সে নির্বাচন অর্থহীন।
তিনি বলেন, বিএনপি থাকুক আর না থাকুক। আপনি ড. কামাল হোসেনকে পদযাত্রায় নামতে হবে। আপনাকে সামনের সারিতে থাকতে হবে। আপনি সামনের সারিতে থাকবেন, আমরা পেছনে থাকব।
ড. মঈন খান বলেন, বক্তব্য দিয়ে নয় সবাইকে পথে নেমে আন্দোলন করতে হবে। রাজপথের আন্দোলন ছাড়া গণতন্ত্র উদ্ধার সম্ভব নয়।
‘বিরোধী দলকে দমন করা হচ্ছে’ জানিয়ে বিএনপির এই শীর্ষ নেতা বলেন, ‘বিরোধী দলের বিরুদ্ধে এক লাখ ৩৫ হাজার মামলা দেয়া হয়েছে। বিএনপি হিংসার রাজনীতি করে না। বিএনপি চায় সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে একটি নির্বাচিত সরকার।
তিনি আরও বলেন, খালেদা জিয়াকে যে মামলায় সাজা দেয়া হয়েছে, সেই সম্পর্কে কোনো কাগজে তার নাম নেই। শুধুমাত্র তাকে প্রতিহিংসার জন্যই কারাগারে রাখা হয়েছে। জামিন তার মৌলিক অধিকার হলেও তা কেড়ে নেয়া হয়েছে।
আ স ম আব্দুর রব বলেন, অন্যায়ভাবে খালেদা জিয়াকে বন্দি রাখার ফল ভালো হবে না। দেশে শান্তি চাইলে তাকে দ্রুত মুক্তি দিতে হবে।


বিজ্ঞাপন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *