বিডিআরইএন ও হুয়াওয়ের আয়োজনে স্মার্ট এডুকেশন কর্মশালা  

Uncategorized অর্থনীতি কর্পোরেট সংবাদ ঢাকা বানিজ্য বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশেষ প্রতিবেদন রাজধানী

নিজস্ব প্রতিবেদক  :  বাংলাদেশ রিসার্চ অ্যান্ড এডুকেশন নেটওয়ার্ক (বাংলাদেশের এনআরইএন) এবং হুয়াওয়ে যৌথভাবে স্মার্ট টেকনোলজিস (বিডি) লিমিটেডের সহযোগিতায় সম্প্রতি একটি দুইদিন ব্যাপী কর্মশালার আয়োজন করেছে। “ফর্টিফায়িং দ্য ফিউচার: বিল্ডিং এ সিকিউর অ্যান্ড স্মার্ট ক্যাম্পাস” শীর্ষক এই কর্মশালায় বাংলাদেশের ৩৯টি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আইটি প্রধান, বিভাগীয় প্রধান ও নেটওয়ার্ক প্রকৌশলীরা যোগদান করেন। পাশাপাশি শ্রীলঙ্কা, নেপাল ও বাংলাদেশের ন্যাশনাল রিসার্চ অ্যান্ড এডুকেশন নেটওয়ার্ক ও বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)-এর প্রতিনিধিগণও উপস্থিত ছিলেন। কক্সবাজারের একটি হোটেলে আয়োজিত এই কর্মশালার লক্ষ্য ছিল স্মার্ট বাংলাদেশ ২০৪১ রূপকল্পের অংশ হিসেবে স্মার্ট শিক্ষার রূপান্তরকে ত্বরান্বিত করা।


বিজ্ঞাপন

হুয়াওয়ে এশিয়া প্যাসিফিক অঞ্চলের নেটওয়ার্ক বিভাগের চীফ টেকনোলজি অফিসার ও প্রিন্সিপাল আর্কিটেক্ট ভিক্টর ল্যাপিয়ান এই কর্মশালায় শিক্ষাক্ষেত্রে আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার নিয়ে একাধিক সেশন পরিচালনা করেন। এই কর্মশালার মাধ্যমে অংশগ্রহণকারীরা স্মার্ট ক্যাম্পাসের বর্তমান ট্রেন্ড, ডিজিটাল রূপান্তর এবং উদ্ভাবিত নতুন প্রযুক্তি সম্পর্কে জানতে পারেন। অংশগ্রহণকারীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঠদান পদ্ধতির উপর এর প্রযুক্তিগত প্রভাব সম্পর্কেও ধারণা পেয়েছেন। এটি শিক্ষাক্ষেত্রকে সম্পূর্ণরূপে রূপান্তরিত করার পাশাপাশি সরকারের স্মার্ট বাংলাদেশ রূপকল্প অর্জনেও ভূমিকা রাখবে বলে আশা করা হচ্ছে।


বিজ্ঞাপন

এই কর্মশালায় প্রধান অতিথি ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের চেয়ারম্যান (অতিরিক্ত দায়িত্ব) ও বিডিআরইএন-এর ভাইস-চেয়ারপারসন প্রফেসর ড. মুহাম্মদ আলমগীর। বিশেষ অতিথি ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের পরিচালক (আইএমসিটি) ড. সুলতান মাহমুদ ভূঁইয়া। হুয়াওয়ে সাউথ এশিয়ার এন্টারপ্রাইজ বিজনেস গ্রুপের ভাইস প্রেসিডেন্ট ও এমডি অ্যালেন লিউ, বিডিআরইএন-এর সিইও মোহাম্মদ তাওরিত, স্মার্ট টেকনোলজিস বিডি লিমিটেডের ম্যানেজিং ডিরেক্টর মো. জহিরুল ইসলাম। হুয়াওয়ে, বিডিআরইএন ও স্মার্ট টেকনোলজিস বিডি লিমিটেডের অন্যান্য উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারাও এই কর্মশালায় উপস্থিত ছিলেন।

প্রফেসর ড. মুহাম্মদ আলমগীর বলেন, “স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে শিক্ষা, বিশেষ করে স্নাতক পর্যায়ের শিক্ষা, গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। তাই শিক্ষাখাতের মানোন্নয়নে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের বড় দায়িত্ব রয়েছে। পাশাপাশি উচ্চ শিক্ষা খাতে ডিজিটাল রূপান্তর আনতে বিডিআরইএন-কে একটি ট্রাস্ট হিসাবে গঠন করা হয়েছে। এটা সত্যিই প্রশংসনীয় যে, হুয়াওয়ে এবং স্মার্ট টেকনোলজিসের-এর মতো প্রতিষ্ঠানগুলো এগিয়ে এসেছে এবং বিডিআরইন-এর সাথে এই কর্মশালার আয়োজন করার জন্য কাজ করছে। এটি উচ্চ শিক্ষার ডিজিটাল রূপান্তরকে সহজতর ও ত্বরান্বিত করবে। এছাড়া এটি আমাদের লক্ষ্য অর্জনের জন্য প্রকৌশলী ও নীতি-নির্ধারকদেরকে ধারণা পেতে সাহায্য করবে।”

ডক্টর সুলতান মাহমুদ ভূঁইয়া বলেন, “উচ্চ শিক্ষায় ডিজিটাল প্রযুক্তিকে গ্রহণ করে সহায়ক নীতি প্রণয়নে ইউজিসি-এর প্রতিশ্রুতি অব্যাহত থাকবে। বিডিআরইএন ও হুয়াওয়ে আয়োজিত এই কর্মশালা ভবিষ্যতের দিকে অগ্রগতীর একটি প্রতীক, যেখানে শিক্ষা সংযুক্ত, বুদ্ধিবৃত্তিক ও সম্পূর্ণভাবে উন্মুক্ত। এই ধরনের উদ্যোগ শিক্ষার উৎকর্ষের অগ্রভাগে যেতে বাংলাদেশকে  সাহায্য করবে।”

মোহাম্মদ তাওরিত বলেন, “বিডিআরইএন বাংলাদেশে স্মার্ট শিক্ষার বিস্তারে কাজ করে যাচ্ছে। আমাদের লক্ষ্য বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে একটি স্মার্ট ডিজিটাল স্পেসে সংযুক্ত করা, যেখানে আমাদের শিক্ষার্থীরা আরও বেশি শিক্ষা উপকরণ ব্যবহারে সুযোগ পাবে। হুয়াওয়ের মতো আইসিটি সল্যুশন প্রদানকারী প্রতিষ্ঠানের সাথে বিশ্ববিদ্যালয় এবং নীতি-নির্ধারকদের এই সহযোগিতা মূলক উদ্যোগ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আজকের এই কর্মশালা সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন পক্ষকে এক প্ল্যাটফর্মে আনার জন্য আয়োজন করা হয়েছে। এই ধরনের আলোচনায় হুয়াওয়ের অংশগ্রহণকে আমরা সাধুবাদ জানাই আজ আমরা যে বিষয়গুলো সম্পর্কে জানলাম, তা শিক্ষাক্ষেত্রে পরিবর্তন আনতে সাহায্য করবে।”

অ্যালেন লিউ বলেন, “বর্তমানে সবকিছুর কেন্দ্রে রয়েছে ডিজিটাল রূপান্তর। হুয়াওয়ে স্মার্ট বাংলাদেশ ভিশন অর্জনে ভূমিকা রাখতে অঙ্গীকারবদ্ধ। আমাদের উন্নত মানের কারিগরি সহযোগিতা এই দূরদর্শী লক্ষ্য অর্জনের প্রতিটি ক্ষেত্রকে ত্বরান্বিত করবে হুয়াওয়ের অভিনব সল্যুশনের মাধ্যমে আমরা স্মার্ট শিক্ষার সম্ভাবনাকে ব্যবহার করার পাশাপাশি সুন্দর আগামী তৈরিতেও প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। আমরা চাই, প্রত্যেক শিক্ষার্থী তার প্রয়োজনীয় শিক্ষা উপকরণ ব্যবহারের সুযোগ পাক, যাতে করে সে স্মার্ট এই যুগে নিজেকে  বিকশিত করতে পারে।”

এই পর্যন্ত ৮০টিরও বেশি দেশে এবং ২,৮০০টিরও বেশি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সঙ্গে সহযোগিতামূলক বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণ করেছে হুয়াওয়ে এবং পৌঁছে দিয়েছে স্মার্ট এডুকেশন সল্যুশন। প্রযুক্তির মাধ্যমে  ধারাবাহিক শিক্ষা বিষয়ক উদ্ভাবন, বুদ্ধিবৃত্তিক শিক্ষার প্রসার এবং মেধাবীদেরকে প্রয়োগিক ক্ষেত্রে দক্ষ করে তুলতে হুয়াওয়ে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।


Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *