তথ্য জানতে গিয়ে মামলায় জড়ানো হলো সাংবাদিক রিয়াদ তালুকদারকে

Uncategorized অপরাধ আইন ও আদালত ঢাকা বিশেষ প্রতিবেদন রাজধানী

আদালত  প্রতিবেদক  : যৌতুক মামলার বিষয়ে তথ্য জানতে চাইতে গিয়ে উল্টো হয়রানিমূলক মামলা দেয়া হলো সাংবাদিক রিয়াদ তালুকদারকে। ইফফাত অরিন অন্যন্যা (৩৩) ঢাকার ৫ম অতিরিক্ত সহকারী জজ ও পারিবারিক আদালতে ২০২৪ সালের ২৯ জানুয়ারি মামলাটি করেন। অনন্যার প্রথম স্বামী একরামের বিরুদ্ধে প্রথম দফায় যৌতুক মামলা দেয়ার পর ২য় দফায় দেনমোহরানার মামলায় একরামকে আসামী করে দায়ের করা মামলায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে সাংবাদিক রিয়াদ তালুকদারের নাম। যা চলতি মে মাসে দৃষ্টি গোচর হয়।


বিজ্ঞাপন

যৌতুক মামলার বাদী অনন্যার বর্তমান ও ২য় স্বামী কাজী মাকসুদুর রহমানের কাছে তথ্য জানতে চেয়ে ২০২৩ সালের ১৭ ডিসেম্বর ফোন করেন ঐ সাংবাদিক। অনন্যার ২য় স্বামী কাজী মাকসুদুর রহমানের সাথে ফোনে কথা বলার কিছুক্ষণ পরে আইনজীবী পরিচয় দিয়ে মোস্তফা কামাল নামে এক ব্যক্তি ফোন দেয় সাংবাদিক রিয়াদ তালুকদারকে। ফোন করেই শাসিয়ে নানা ধরনের হুমকি দিতে থাকেন আইনজীবী পরিচয় দেয়া মোস্তফা কামাল নামের ঐ ব্যক্তি। এ সময় সাংবাদিক রিয়াদ তালুকদার তার কর্মস্থল বাংলা ট্রিবিউনের পরিচয় দিয়ে যৌতুক মামলার বিষয়টি জানতে চান। বিষয়টি সমাধান হয়ে গেছে জানিয়ে এক পর্যায়ে এক প্রশ্নের প্রেক্ষিতে কোন তথ্য না জানিয়ে ব্যস্ততা দেখিয়ে মোস্তফা কামাল নামের ঐ ব্যক্তি ফোনের লাইন কেটে দেন।


বিজ্ঞাপন

এ বিষয়ে বাংলা ট্রিবিউনের সাংবাদিক আর এম সালেহ আকরাম তালুকদার রিয়াদ তালুকদার বলেন, তথ্য চাইতে গিয়ে এখন মামলায় উদ্দেশ্য মূলক ভাবে আমাকে জড়ানো হয়েছে। উল্টো আমাকে হয়রানি করার জন্য মামলায় আমার নাম অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।

যৌতুক মামলার ঘটনা অনুসন্ধানে ওঠে আসে, বাদী অনন্যা কে জোরপূর্বক তার আগের স্বামী একরামের বিরুদ্ধে মামলা করান অনন্যার বাবা মোঃ আবু আলম খান। যদিও অনন্যা ও একরামের মধ্যে ডিভোর্স হয়ে যায়। ডিভোর্স হয়ে যাবার পর যৌতুকের মামলা দেয়া হয়। অভিযোগ রয়েছে, আর পেছন থেকে মদদ দিচ্ছেন পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মিন্তানুর রহমান। এসবিতে কর্মরত মিন্তানুর বর্তমানে প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের দায়িত্ব পালন করছেন।

ঘটনা অনুসন্ধানে ওঠে আসে, শায়লা রায়হান নামে এক নারী অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মিন্তানুর রহমানের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগ এনে আইজিপি অভিযোগ সেলে অভিযোগ দেন। যদিও এ অভিযোগ অস্বীকার করে মিন্তানুর রহমান জানান, শায়লা রায়হানকে তিনি চিনেন না। এ সময় সিভিল এভিয়েশনের ইন্জিনিয়ার একরামের সাথে শায়লার বিয়ের খবর চাউড় হয় । যদিও এর আগে স্বামী রায়হান মল্লিককে ডিভোর্স দেন শায়লা। এ নিয়ে একরামের সাথে স্ত্রী অনন্যা ও তার পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে বিরোধের সৃষ্টি হয়। একরামের চাকরিচ্যুত করতেই অনন্যাকে দিয়ে মামলা করার অভিযোগ উঠে আসে অনন্যার বাবা আবু আলম খান ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মিন্তানুর রহমানের বিরুদ্ধে।

যদিও অনন্যা ও একরাম দম্পতির সন্তান মুস্তাকিমের মাদ্রাসার শিক্ষক কাজী মাকসুদুর রহমানের সাথে পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়েন অনন্যা। পালিয়ে বিয়ের কাজ সারেন তারা। মাদ্রাসা থেকে বের করে দেয়া হয় কাজী মাকসুদুর রহমানকে। যদিও শিক্ষকের অপকর্ম ঢাকতে উত্তরার তানজীমুল উম্মাহ হিফজ মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ কাজী মাকসুদুর রহমানের কাছ থেকে রিজাইন লেটার লেখিয়ে নেয়।


Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *