আয়েশা (রা:) মহিলা মাদ্রাসা,মাওলানা শওকত আলী চানমারি রোড,লালখান বাজার চট্টগ্রাম।
বিশেষ প্রতিবেদক : ধর্মীয় অনুভূতি মূল্যবোধের উপর আঘাত উসকানি প্রদানের অভিপ্রায়ে নয়। সকল ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান হোক ধর্মীয় শিক্ষা বান্ধক। সব ব্যক্তি প্রতিষ্ঠান মাদ্রাসা শিক্ষার বিরুদ্ধে নয়। বলছি অভিভাবক সাংবাদিক ইস্যু মাদ্রাসা সম্পর্কিত তথ্যের জেরে উল্টো মাদ্রাসার ছাত্রীকেই (৯) বহিষ্কার করে। ধর্ম বিদ্বেষী জাহিল মূর্খ নির্বোধের পরিচয় দিল আয়েশা (রা:) মহিলা মাদ্রাসার কর্তৃপক্ষ। কিছু অসৎ শিক্ষক/ব্যবস্থাপক পরিচালক মাদ্রাসাকে হীনস্বার্থ ব্যক্তিগত প্রতিষ্ঠানে পরিণত করেছে। অসৎচিন্তা দায়িত্বেহীনতা নিজস্বার্থ অর্থ আদায়ে বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানে পরিণত করেছে।
২৫ জুন, বিকালে ভর্তির ২ মাসের মধ্যেই মনগড়া অজুহাতে হেফজ বিভাগের অর্ধ কোরআনের হাফেজা ছাত্রীকে প্রতিষ্ঠানের কর্তৃপক্ষ বহিষ্কার করেছে জানান অফিস সহকারী ও ব্যবস্থাপক মোঃ কাউসার হোসাইন। তাদের কথিত পকেট কমিটি ও উপর মহলের নির্দেশে বহিষ্কার করেছে বলে জানান অভিভাবকে।
ছাত্রী বহিষ্কৃত অভিভাবক বলেন,কোন কারন ইসু ছাড়া বহিষ্কার এটা কেমন নিষয় ? কথা কাজে গড়মিল মিথ্যাগল্প বানোয়াট মানসম্মত আবাসিক সুব্যবস্থা ও শিক্ষা ব্যবস্থার নানা সুযোগ সুবিধার ফাঁদে ফেলে ছাত্রী ভর্তি করানোই মূল উদ্দেশ্য ও লক্ষ্য। বাস্তবে নেই প্রতিশ্রুতির সিটেফোঁটাও। অভিভাবকদের হয়রানি ভোগান্তি ছাত্রীদের শিক্ষাঝুঁকি প্রতিষ্ঠানে পরিণত করেছে।
ঘটনাক্রমে ২আবাসিক ছাত্রী ভর্তির মাসেই তাদের অনিয়ম অসুবিধা ভোগান্তি হয়রানি সহ্য করতে না পেরে মূল্যবান সময় শ্রম ও আর্থিক ও শিক্ষার অপূরণীয় ক্ষয়ক্ষতি শিকার হয় ভুক্তভোগী ২শিক্ষার্থী ও অভিভাবক। প্রতিষ্ঠানের প্রতি অভিযোগ আপত্তিতে প্রতিষ্ঠান ত্যাগ করতে বাধ্য হয়। যাদের প্রত্যেকের ভর্তি অন্যান্য আনুষঙ্গিক খরচে ২০ হাজারের অধিক টাকা ব্যয় হয়।
প্রতিষ্ঠানের নিয়ম অনিয়ম ভালো মন্দ তথ্য অনুসন্ধানে নেপথ্যে অর্ধ কোরআনের হাফিজাকে নিষ্ঠুর নির্মম কায়দায় বহিষ্কারের কথা জানিয়ে দিলেন ভুক্তভোগী অভিভাবককে। ভুক্তভোগী অভিভাবক আসর থেকে মাগরিবের এক ঘন্টা পর পর্যন্ত কর্তৃপক্ষের হাতে পায়ে ধরেও শেষ রক্ষা সমাধান কোনটাই পাইনি। যা ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের এমন ইসলাম বিদ্বেষী সহিংস হেনস্তাপূর্ণ আচরণ ও হুমকি ধামকি সত্যিই অবিশ্বাস্য ও ভয়াবহ।
তিনি আরও বলেন, ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান কর্তৃক এমন অদ্ভুত অনাকাঙ্ক্ষিত আচরণ যার ব্যাখ্যা দেওয়া কোনভাবেই সম্ভব নয়। এমন অন্যায় হঠকারী সিদ্ধান্ত ধর্মীয় শিক্ষানীতি নৈতিকতা আদর্শ ও অনুভূতিকে প্রশ্নবিদ্ধ করবে। কোন কারণ ইস্যু ছাড়াই ছাত্রী বহিষ্কার ও প্রতিষ্ঠানের নিয়ম শৃঙ্খলা অনিয়মের সত্যতাকে নানা প্রশ্নবিদ্ধ করে। মিথ্যা দিয়ে শুরু মিথ্যা দিয়ে শেষ করে অবশেষে ছাত্রীকেই বহিষ্কার করে ইতি টানে মাদ্রাসার কথিত পকেট কমিটি। অভিভাবকের প্রশ্ন একজনের অপরাধে আরেকজনকে শাস্তি দিয়ে। অভিভাবকের দায়ে সন্তানকে শাস্তি বহিষ্কার কোনভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। বিষয়টি তীব্র সমালোচনার ঝড় উঠে ভুক্তভোগী অভিভাবক ধর্মীয় শিক্ষা অনুরাগী ইসলামপ্রিয় ধর্মপ্রাণ মুসলিম ও সাধারণ জনতার মাঝে।
অভিভাবক বলেন,আমার সদিচ্ছা ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান মাদ্রাসা ইসলামী অনুভূতিকে আঘাত করা নয়,যারা ছোটখাটো বিষয়কে অরাজনৈতিক নামে মনগড়া অজুহাতে ধর্মীয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে ভিন্ন খাতে প্রভাবিত করে। রাজনৈতিকভাবে স্বার্থ আদায় হাসিলে তালকে তিল বানায়। ইসলামের অপব্যাখ্যা দিয়ে নিজেদের অসৎ উদ্দেশ্য অপব্যাখ্যারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি অভিভাবক ও জনসাধারণের।
অভিভাবক বলেন,আমার প্রতি তাদের এত ইসলাম বিদ্বেষী অমানবিক আচরণ কেন। সাংবাদিক ইস্যু ও তথ্যের জেরে ধর্মীয় অনুভূতিকে ভিন্ন খাতে প্রভাবিত করার অপচেষ্টা।
মনগড়া অযুহাতে অর্ধ কোরআনের হাফেজা মাদ্রাসা ছাত্রীকে কোন কারণ ছাড়াই অন্যায়ভাবে কু-উদ্দেশ্য বহিষ্কার করা হয়েছে । এতে শিশুর শিক্ষার্থীর উপর নেতিবাচক প্রভাব ও চরম শিক্ষাঝুঁকি প্রতিষ্ঠানে পরিণত করেছে। যা শিশুর ভবিষ্যত শিক্ষায় বাঁধা অপরুনীয় ক্ষয়ক্ষতি। কোমলমতি শিশু শিক্ষার্থীর উজ্জীবিত চিন্তা চেতনায় ক্ষত প্রশ্নবিদ্ধ নানা অঘটন অনিয়মের দায় এড়াতে পারেন মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ। অভিযোগে ভুক্তভোগী সাধারণ শিক্ষার্থী ও অভিবাবক।
ছাত্রীর অভিভাবক বলেন, মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠানের নিয়ম নীতি শৃঙ্খলা সম্পর্কে যাবতীয় তথ্য। ছাত্রীদের শিক্ষার মান আবাসিক মানসম্মত পরিবেশ ভালো-মন্দ জানার জেরে অশুভ আচরণ আয়েশা (র:) মহিলা মাদ্রাসা মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষের। ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে একাধিক সাংবাদিক সক্রিয় উপস্থিতিকে নেতিবাচকভাবে ঘোলাটে অনিয়মের গল্প কাহিনী সাজিয়ে ফেলে কিভাবে তা আমার বুঝে আসেনা। অহেতুক নানা তথ্যচিত্র সাংবাদিক ইস্যু ও তথ্যের জেরে ধর্মীয় অনুভূতিকে ভিন্ন খাতে প্রভাবিত করার সুনিপন অপচেষ্টা। অহেতুক মনগড়া সিদ্ধান্তে ভিন্নখ্যাতে প্রভাবিত করে। কারণ ছাড়াই অযুহাতে মাদ্রাসা ছাত্রীকে (৯) বহিষ্কার।
বহিষ্কারের কারন জানতে চাইলে কারণ জানতে চাইলে, নানা শৃঙ্খলা ভঙ্গ এবং মনগড়া ধর্মীয় কথামালা, প্রতিষ্ঠানের সুনামক্ষুন্ন অজুহাতের নানা কায়দা কৌশলে বহিষ্কারের বিষয়টি উপর মহলের নির্দেশে চূড়ান্ত হয়েছে বলে জানিয়ে দেয়। ক্ষমতার অপব্যবহাকারী তিল থেকে তাল বানোয়াটী মিথ্যুক অফিস সহকারি ও ব্যবস্থাপক মো: কাউসার হোসাইন। আর বিষয়টা না-কি তাঁরা অভিভাবককেউ জানিয়ে দিয়েছেন। যার সত্যতা নেই ছিটেফোঁটা। অথচ আমি অভিভাবক কে না জানিয়ে কিভাবে বহিষ্কার করলো এ বিষয়ে মাদ্রাসার পরিচালক জালাল উদ্দিনের সাথে কথা বলতে বলেন।
উক্ত বিষয়ে মাদ্রাসার পরিচালক জালাল উদ্দিন বলেন,অভিভাবক ও সাংবাদিক উপস্থিতি এর জন্য দায়ী। এমন বহিষ্কারে মাদ্রাসা পরিচালকের কাছে অভিভাবকের আর্জি দাবি আপত্তি জানায়। এটা অন্যায় প্রতিহিংসা ব্যক্তিগত নেতিবাচক সিদ্ধান্ত। যা কোনভাবেই কোন ক্ষেত্রেই কাম্য নয়। প্রয়োজন হলে অভিভাবক ভুল করে থাকলে মাফ চাইবেন। এমন বহিষ্কার কেন ? সমস্যা হলে সমাধান তো আছে। কিন্তু কারণ ছাড়া অভিযোগ ছাড়া বহিষ্কার এটা কিভাবে কেমনে সম্ভব ? অন্য প্রতিষ্ঠানের পড়ার সময় সুযোগ অন্তত দিতে হবে ? আর এভাবে প্রতিষ্ঠান থেকে ছাত্রী বহিষ্কার করা কোন নিয়মে পড়ে ? আর এমন প্রতিহিংসা মূলক আচরণ কেনই বা করবেন?
পরিচালক কোনটাই তিনি মানতে রাজি নয়। এটা তাদের পূর্বপরিকল্পিত মাস্টারপ্ল্যানের ছক। প্রয়োজনে ভর্তির টাকা সহ ফেরত দিবেন। এমন পরিস্থিতিতে তাও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে এমন অমানবিক অমানষিক একতরফা জোরপূর্বক সিদ্ধান্ত। অশুভ আচরণ আচরণ কোনভাবেই মেনে নিতে পারছে না ছাত্রীর অভিভাবক। এ যেন শিক্ষা সেবামূলক প্রতিষ্ঠানের ফাঁদের জালে আটকে পড়া শিক্ষার্থী ও অভিভাবক। শিক্ষার আলোর বিপরীতে উল্টো অন্ধকারের কালো সিদ্ধান্ত। শিশু কলমতী ছাত্রীর অপরনীয় ক্ষতি। শিক্ষায় বাঁধা, মন-মানসিকতায় চিন্তায় ধর্মীয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সম্পর্কে নিচু ভ্রান্ত নেতিবাচক মন মানসিকতায় ধ্যানজ্ঞানে পরিচিত করা। নিজেকে ইসলামের অপব্যাখ্যাকারী অপসংস্কৃতি মধ্যেই বেড়ে ওঠা। সাথে অভিভাবকের হয়রানি ভোগান্তি শিকার। যার পরিণাম পরিস্থিতি কি কেমন একমাত্র ভুক্তভোগীই জানে।
মাদ্রাসা ছাত্রীকে বহিষ্কারের নেপথ্যে মাদ্রাসার এমন রহৎস্যজনক অদ্ভুত উদ্ভট অনাকাঙ্ক্ষিত অনিবার্য আচরণ প্রশ্নবিদ্ধ হতাশ অভিভাবক ও অন্যান্য অভিভাবকরা। ধর্মীয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের এমন অশুভ আচরণ কোনভাবেই মেনে নিতে পারছে না অভিভাবক ও সচেতন জনসাধারণ। দীর্ঘ ৩ ঘণ্টা প্রতীক্ষা করেও অভিভাবক শত চেষ্টায় সব রকমের আবদার আপত্তি করেও বুঝাতে ব্যর্থ হয়েছেন। অমানবিক অনুভূতিহীন দানবীয় কর্তৃপক্ষকের মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠান কর্তৃপক্ষকে।
মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতা মুফতি ইজহার ইসলাম চৌধুরী’কে জানালে তিনি এ বিষয়ে কিছুই করার নাই বলে সরাসরি জানান অভিভাবককে । অনুরোধ করলে তিনি আরো ক্ষিপ্ত হয়ে উঠেন…বিষয়টা ভিম্ন দিকে প্রভাবিত করেন…। এটা সুবিচার কিনা প্রশ্ন করলে তিনি সাংবাদিক পরিচয় সত্বেও হেনস্তা ও হুমকি ধামকি প্রদর্শন করেন। তিনি বিষয়টিকে ভিন্ন খাতে অপব্যাখ্যা ও প্রভাবিত করেন। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অন্যান্য অভিভাবকদের না জানি, কেমন পরিস্থিতি মোকাবেলা করতে হয় ? এমন মন্তব্য বহিষ্কৃত ছাত্রী অভিভাবকের।
ছাত্রীর অভিভাবক বলেন,রুটিন মাফিক ধারাবাহিক নিয়মে ঈদের ছুটিতে মাদ্রাসা আবাসিকে নিয়ে গেলে ( অভিভাবক) আমার মাথায় যেন আকাশ ভেঙে পড়ে। এ কেমন দেশ কেমন নীতি কেমন নীতি-নৈতিকতা ? কেমন স্বাধীনতা যা গল্প সিনেমার নাটকেউ যেন হার মানায়। আসর থেকে ছাত্রীকে নিয়ে অভিভাবক ব্যবস্থাপক ও পরিচালক মাদ্রাসার কর্তৃপক্ষ প্রধান সকলকেই বুঝাতে শত চেষ্টা করেই ব্যর্থ হই।
সামান্য তুচ্ছ বিষয় কেন কর্তৃপক্ষ তাদের ধর্মীয় অনুভূতি ইস্যুতে কথা বলে। তাও আইন নীতি-নৈতিকতা আদর্শিক চেতনা ইস্যুতে। ইসলামের ইতিহাস ঐতিহাসিক আলোচনায় ধর্মীয় মনস্তাত্ত্বিক দিক ভিন্ন ইস্যুতে কথা বলেন। তারা প্রয়োজনে চ্যালেঞ্জ করবে তারপরও ছাত্রীকে ওই প্রতিষ্ঠানে পড়ার কোন সুযোগ দেবেন না। অপরাধ একটাই মাদ্রাসার সুযোগ সুবিধা ভালো-মন্দ খুঁটিনাটি আনুষাঙ্গিক বিষয় কেন জানতে চাইলেন অভিভাবক। তাও আবার সাংবাদিক উপস্থিতি কেন ? ছাত্রীকে ফ্রি পড়ানোর বিভিন্ন ধরনের চেষ্টায় প্রতিষ্ঠানের সুনাম ক্ষুন্ন ও নিয়ম ভঙ্গ করেছে। কর্তৃপক্ষ তাদের মনগড়া ধর্মীয় আইন নীতি-নৈতিকতা আদর্শীকতার ইসলামের নীতি আদর্শিকতার বরখেলাপ অজুহাতে ছাত্রীকে বহিষ্কার করেছে বলে জানায়।
মাদ্রাসার বিষয়ে তথ্য জানতে যাওয়া ঘটনাস্থলে উপস্থিত প্রত্যক্ষদর্শী সাংবাদিকদের কাছে উক্ত ঘটনার বিষয়ে বর্ণনা করলে তারা বলেন, একবাক্যে অনেক খারাপ নেতিবাচক আচরণ ও তথ্যের বর্ণণাও দিলেন তাঁরা। কর্তৃপক্ষের এমন ইসলাম বিদ্বেষী সাংঘর্ষিক প্রতিহিংসার অংশ । সত্যি হতাশ ও দুঃখজনক। আর এটা কোন নিয়মের ভিতরেই পড়ে না। আর কোনভাবেই এটা কোন প্রতিষ্ঠানের সিদ্ধান্ত হতে পারে না। আর ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের এমন অদ্ভুত উদ্ভট সিদ্ধান্ত সত্যিই অনাকাঙ্খিত স্পর্শকাতর ও নানা প্রশ্নবিদ্ধ। ধর্মীয় শিক্ষা ব্যবস্থাকে ঘোলাটে করে যা কোনভাবেই শোভনীয় ও ব্যাখ্যা দেওয়া সম্ভব নয়। এমন প্রতিষ্ঠানে ছাত্রীরা কি শিখবে।
বিষয়টি দ্রুত সমাধানে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। এমন উদ্ভূত উদ্ভট পরিস্থিতিতে কার কি প্রতিক্রিয়া ? শুভাকাঙ্কী হিসেবে শান্তনা তো পেতে পারি। ভাগ্য খারাপ আমার। দুঃখ জনক বলেন বহিষ্কৃত ছাত্রীর অভিভাবক। ২৪ এপ্রিল ভর্তির হয়। এর মধ্যে মাসিক বাধ্যতামূলক ছুটি ৩দিন,ঈদ ছুটি ১২ দিনের পর ২৫ জুন মাদ্রাসা খোলা হয়। মাদ্রাসায় দিতে গিয়ে পরিস্থিতির শিকার।
ছাত্রীর অভিভাবক বলেন,শিক্ষা প্রতিষ্ঠান /ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান সাংবাদিক উপস্থিতি তারা ভালভাবে দেখেনি ? জানিনা কি কারণে ? কি দানবীয় হীন ঘৃণতম আচরণ এমন উদ্ভুদ উদ্ভট কারণ ? অন্ততপক্ষে ছাত্রী শিক্ষাকে বাঁধাগ্রস্ত না করে অন্য প্রতিষ্ঠানে ভর্তির আগ পর্যন্ত তো সেখানে থাকবে নাকি ? এভাবে পশু পাখির মত বের করে দেওয়ার কোন মানে হয় কি?
ছাত্রী ভর্তি তো আর এক মাস দুই মাসের জন্য হয়নি ? তারপরও রাখবেন না। এটা কেমন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ? এটা কেমন অমানবিক অমানুষিক ? কিছুই বুঝে আসে না ? অপরাধ একটাই সাংবাদিক পরিচয়ে প্রতিষ্ঠানের ভালো-মন্দ সুবিধা অসুবিধা সম্পর্কে জানতে চাওয়া। তাদের কি এমন গোপন তথ্য ছিল ? কি এমন রহৎস্য ছিল ? কি গোপনীয় কারণে প্রয়োজনে ভর্তি ও বেতন সকল টাকা সব ফেরত দিবে ? তাদের কি এমন ক্ষতি ছিল ? কি এমন লাভেমোহে কাণ্ডে এমন অঘটন ঘটাতেই হবে।
হায়রে ধর্ম হায়রে শিক্ষা! বাস্তবতায় কেন হয় এমন করুণ নির্মম পরিণীতি! গভীর বাস্তবতায় সাধারণ অভিবাবক কতই না অসহায় ? একমাত্র অসহায় নিরুপায় ভুক্তভোগীরাই জানে। হারেহারে অনুভব করে নিয়মনামের কালো ছায়ার আড়ালে অনিয়মের চাদরের ফাঁদের জালে। সব প্রতিষ্ঠানকে খারাপ বলছি না। মানুষ মাত্র ভূল হতেই পারে। কেউই ভুলের ঊর্ধ্বে নয়। তাই বলে নেই কোন কি সমাধান। এমন অঘটন কেন ? প্রশ্ন শিক্ষা সেবামূলক প্রতিষ্ঠান কি তাহলে নামেমাত্র। জানিনা এমন সেবামূলক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান আরো না জানি কতো শত হাজার রয়েছে অগণিত ?
এসব প্রতিষ্ঠানের অভিভাবক পরিচালকরা প্রতিষ্ঠাতা কর্তৃপক্ষরা কি হবে না মানবিক ও শিক্ষাবান্ধব। নিরাপদ শিক্ষার অনুকূল পরিবেশের ইতিবাচক সক্রিয়তার সহায়ক। যে কোন সমস্যা সমাধানের হোক হবে গঠনমূলক আলোচনা ও পরামর্শের মাধ্যমে সমন্বয়। সমাধানে দৃষ্টান্তমূলক ইতিবাচক ভূমিকা পালনে আন্তরিক ও সক্রিয়। নেতিবাচক নয় ইতিবাচক মনুষ্যত্ব মানবতাবোধের সর্বোচ্চ মাপকাঠি ধর্মীয় শিক্ষার সুবাতাস ছড়িয়ে পড়ুক বিশ্বজুড়ে। আলোকিত হোক ধর্মীয় অনুভূতি সুনাম সম্মানের পরিচিতি।কিন্তু বাস্তবতায় টাকা কামানোর মেশিন আর ফাঁদ। কথিত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান মাকড়সার জালে আটকা আমরা। বাস্তবতা যেন কেমন? আপনার/আপনি কার কি অনুভূতি? যা ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী ও অভিভাবকের বিনীত জিজ্ঞাসা মনকষ্ট তিক্ত বাস্তবতায় সংক্ষুব্ধ বিক্ষুব্ধতায় অনুভূতি
উল্লেখ্য: আল্লাহ সবসময় উত্তম পরিকল্পনাকারী। ধর্মীয় অনুভূতিতে ও ধর্মীয়শিক্ষাকে আঘাত করা প্রশ্নবিদ্ধ নয়। ৯০শতংশ মুসলিম দেশে সিংহভাগ মানুষ ইসলাম প্রিয় ধর্মপ্রাণ মুসলমান। ধর্মীয় স্পর্শকাতর অনুভূতি তাদের আদিঅন্তে রন্ধ্রে রন্ধ্রে। ধর্মীয় অনুভূতি মূল্যবোধের উপর
আঘাত উসকানি প্রদানের অভিপ্রায়ে নয়।সকল ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান হোক ধর্মীয় শিক্ষা বান্ধক।
আইয়ামে জাহেলিয়াতের যুগের অবসান হলেও আমাদের সমাজে রয়েছে এমন অনেক স্পর্শ কাতর চিত্র। যা গল্প সিনেমা নাটকচিত্র কেউ যেন হার মানায়। ভদ্রবেশী ক্ষমতার আড়ালে তাঁরা ধর্মকে পুঁজি করে নিঃস্বার্থ সুবিধা আদায়ে অন্ধ। কারণে অকারণে করে ধর্মীয় অপব্যাখ্যা। ধর্মকে করে ভিন্ন দিকে প্রভাবিত। এমন একটি অনাকাঙ্ক্ষিত বিচ্ছিন্ন ঘটনাচিত্র সামনে এলেও এমন অগণিত ঘটনা রয়ে যাচ্ছে আড়ালে। ক্ষমতার অপব্যবহার অহংকার হচ্ছে সত্যকে উপেক্ষা করা এবং মানুষকে তুচ্ছ তাচ্ছিল্য করা।সত্য হোক ন্যায় বিচারক সৎ গুণ দেখে শাসক নির্বাচন করো। অন্যের অপরাধে নিরপরাধকে শাস্তি দেওয়া যাবেনা।
ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে এমন অধর্মীয় ও ধর্মকে নিয়ে যারা ব্যবসা ও বিনিময় করছে তাদের বিরুদ্ধে সত্য প্রকাশ করলেও নিরাপত্তাহীনতায় নাম পরিচয় মুখ খুলতে চায় না ভুক্তভোগী ও জন সাধারণ। বাস্তবতায় যারা প্রত্যক্ষদর্শী ও ভুক্তভোগী তাঁরাই একমাত্র জানে। আপত্তি অভিযোগ প্রতিবাদে বিপরীতে হুমকি ধামকী নিরাপত্তাহীনতা ঝুঁকি ঝামেলা নানা প্রতিবন্ধীকতায় প্রতিবাদ করতে চাই না। ধর্মীয় স্পর্শকাতরতা ও নিরাপত্তাহীনতা আইনি জটিলতার ভোগান্তি হয়রানির ভয়ে। ন্যায় বিচারে আর্থিক অক্ষমতা ও মানসিক দুশ্চিন্তা মারপ্যাঁচের ফাঁদে পড়তে চায় না ভুক্তভোগী অভিভাবক ও জনসাধারণ।
ধর্মীয় অপব্যাখ্যায় ধর্মীয় শিক্ষা অনুভূতিকে ভিন্নখাতে প্রভাবিত করে ধর্মীয় অনুভূতিকে আঘাত দিয়ে ইতোপূর্বে নানা ধরনের মন্তব্য ও কটূক্তি করেছে এবং করে আসছে। যদিও তা কোরআন, হাদিস, সুন্নাহ ও সংবিধান বিরোধী। মুসলিম শরীয়া আইনে এ ধরনের জঘন্য অপরাধের জন্য কঠিন সাজার বিধান রয়েছে। সমস্ত তথ্যপত্র বাস্তবতায় উপযুক্ত সমাধানের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সুনজর ও বিনীত আর্জি ভুক্তভোগী অভিভাবক ও ইসলাম প্রিয় ধর্মপ্রাণ সচেতন জনসাধারণ। ধর্মীয় অনুভূতি মূল্যবোধের উপর আঘাত উসকানি প্রদানের অভিপ্রায়ে নয়।সকল ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান হোক ধর্মীয় শিক্ষা বান্ধব।