প্রাণিসম্পদ অধিদফতরের ৩ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মামলা!

Uncategorized অপরাধ আইন ও আদালত ঢাকা বিশেষ প্রতিবেদন রাজধানী

বিশেষ প্রতিবেদক :  প্রাণিসম্পদ অধিদফতরের পরিচালক (প্রশাসন) ডা. মলয় কুমার শুরসহ তিন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মারধর, হত্যাচেষ্টা ও ছিনতাইয়ের মামলা দায়ের করেছেন একই অধিদফতরের চিফ সায়েন্টিফিক অফিসার ডা. আজিজুল ইসলাম। মামলার অপর দুই আসামি হলেন, অধিদফতরের সক্ষমতা জোরদারকরণ প্রকল্পের পরিচালক ডা. মো. আনিছুর রহমান ও প্রকল্প পরিচালক অসিম কুমার দাস।


বিজ্ঞাপন

গতকাল  বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ নুরুল হুদা চৌধুরীর আদালতে তিনি এই মামলাটির আবেদন করেন। আদালত এ সময় বাদীর জবানবন্দি নিয়ে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেগিস্টগেশনকে (পিবিআই) অভিযোগের বিষয়ে তদন্তের নির্দেশ দেন। বাদীর পক্ষে আইনজীবী তানভীর আহমেদ এসব তথ্য নিশ্চিত করেন।


বিজ্ঞাপন

মামলার এজাহারে বলা হয়, ডা: আজিজুল ইসলাম প্রতিদিনের মতো ২৪ জুন সকাল ১১টার দিকে প্রাণিসম্পদ অধিদফতরের উদ্দেশে বের হন। রাজধানীর খামারবাড়িতে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরদের প্রধান কার্যালয় ও কৃষিবিদ ইনস্টিটিউটের (কেআইবি) মাঝামাঝি জায়গায় আগে থেকে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে ওঁৎ পেতে ছিলেন মলয় কুমার শূর,আনিছুর রহমান ও অসিম কুমার। আজিজুল ইসলাম সেখানে পৌঁছালে তারা তার গাড়ি রোধ করে।
আজিজুল গাড়ি থেকে নামলে আনিছুর রহমান তাকে জড়িয়ে ধরেন এবং মলয় কুমার তার গলা চেপে ধরেন। অসিম কুমার তাকে পিটিয়ে আহত করেন। তিনি মাটিতে পড়ে গেলে আনিছুর রহমান তার পকেটে থাকা ২২ হাজার টাকা ছিনিয়ে নেন। পরে অন্যরা এসে তাকে উদ্ধার করেন। মামলার এজাহারে আসামিদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারিরও আবেদন করেন বাদী।

ডা: আজিজুল ইসলামের সাথে মলয় কুমার শূর,আনিছুর রহমান ও অসিম কুমারের অনিয়ম-দুর্নীতি ও পদ পদায়ন নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল। তদাক্রশে তারা এমন হামলা চালিয়েছে বলে দাবী করেছেন মামলার বাদী ডা: আজিজুল ইসলাম। উল্লেখ্য যে, ডা মলয় কুমার শূর এতটাই বেপরোয়া হয়ে গেছেন যে , গত ২৭/০৬/২৪ তারিখ দুপুর ১.৩০ মি এ পরিচালক বাজেটে ডা বরুণ কুমার দত্তকে বহিরাগত লোকদের দ্বারা শারিরীক ভাবে লাঞ্ছিত করেছেন । ভুক্তভোগী এখনও কোন বিচার পান নাই ।

ডা. আজিজুল ইসলামের কাছে বিষয়টি জানতে চাইলে তিনি বলেন, “বর্তমান প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরে পরিচালক (প্রশাসন) ডা. মলয় কুমার শূর এর মাফিয়া রাজত্ব চলছে। আমি সরকারী চাকুরিবিধি অনুযায়ী আসামীদেরকে চাকুরী থেকে বরখাস্ত ও আইনানুগ প্রতিকার চাই” ।


Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *