রাজধানীর বনানীতে শ্রমিকলীগ সভাপতি পরিচয়ে মিলন মোল্লার ক্যাসিনো ও যৌন ব্যবসা

Uncategorized অপরাধ ঢাকা বিশেষ প্রতিবেদন রাজধানী

নিজস্ব প্রতিবেদক  :  মিলন মোল্লা ও মামা বাগেরহাট জেলার কুখ্যাত ইয়াবা সম্রাট সাত্তার মোল্লা ও মিলনের পাটনার জুয়েল মিলে গুলশান ১ এর এভিনিউ রোডে ২৫ নং হাউজের লিফটের ২য় তলায় স্পার নামে গড়ে তোলেছে যৌন, ক্যাসিনো ও ইয়াবা ব্যবসা। শুধু এই ব্যবসা নয় তাদের এই আস্তানায় সন্ধ্যার পর থেকে শুরু হয় মদ, গাজা, ইয়াবা সেবন সহ জুয়ার রমরমা আসর। গুলশান ১ এর এভিনিউ ২৫ নং হাউজের লিফটের ২য় তলায় আলোচিত বনানী থানা শ্রমিকলীগ সভাপতি মিলন মোল্লা, সাত্তার ও জুয়েল মিলে গড়ে তোলেছে এ আস্তানা।


বিজ্ঞাপন

কিছুদিন আগেই মিলনের মামা সাত্তার মোল্লা যাত্রাবাড়ী থানায় কয়েক হাজার ইয়াবা সহ গ্রেফতার হয়, যেই মামলা এখনো চলমান, জেল থেকে বের হয়েই মিলনের সহযোগিতায় ঢাকার অভিজাত এলাকা গুলশান ১ এর ২৫ নং হাউজে পুলিশের নাকের ডগায় দিনে দুপুরে প্রকাশ্য দিবালোকে এ আস্তানা গড়ে তুলেছে, অভিজাত এই এলাকাতে অনেকটা অবাধেই স্পার এর নামে এই ক্যাসিনো, ইয়াবা ও যৌন ব্যবসা চালাচ্ছে। স্থানীয় বাসিন্দারা এ ব্যাপারে মুখ খুললেই তাদের হয়রানি, মারধর এবং ব্ল্যাকমেইলের শিকার হতে হয়, তারা প্রকাশ্য দিবালোকে বলে বেড়াই পুলিশ, সাংবাদিক, মহল্লা সবকিছু ম্যানেজ করেই আমরা ব্যবসা করি যে কথা বলবে সেই হয়রানির শিকার হবে।


বিজ্ঞাপন

অনুসন্ধানে জানা যায়, দীর্ঘদিন যাবৎ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর চোখে আঙ্গুল দিয়ে ইয়াবা ব্যবসা এবং ক্যাসিনো জুয়ার এই ব্যাবসা চালিয়ে আসছে। স্পা সেন্টারের আড়ালে তারা মূলত নিষিদ্ধ মদ, যৌন ব্যবসা, ইয়াবা ব্যাবসা ও জুয়ার মত নিষিদ্ধ অপকর্ম চালায়।

জানা যায়, স্পা পার্লারের কাজের নাম করে বিভিন্ন স্থান থেকে কিশোরী তরুণীদের তার আস্তানায় আনা হয়। এবং প্রথমে স্পা এর মধ্যে মিলনের একান্ত কক্ষে টর্চার নির্যাতন করে এক পর্যায়ে লোক লজ্জার ভয়ে মেয়েরা কোথাও মুখ না খুলে বাধ্য হয়ে যৌন ব্যবসায় লিপ্ত হয়। এছাড়াও রুমের মধ্যে গোপন ক্যামেরায় কাস্টমারদের ভিডিও ধারণ করে ব্ল্যাকমেল করা হয়। এবং মোটা অংকের অর্থ আদায় করা হয়। অনেকে লোকলজ্জা মানসম্মানের ভয়ে থানায় বা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নিকট অভিযোগও দেয়না। দীর্ঘদিন থেকে তারা এ ধরনের কাজে লিপ্ত থাকলেও অজ্ঞাত কারণে এখনো ধরাছোঁয়ার বাইরে রয়ে গেছে।

অনুসন্ধানে আরো জানা যায়, মিলন মোল্লা দলীয় পদ পদবী ব্যবহার করে এবং ঊর্ধ্বতন নেতৃবৃন্দ ছবি তার রিসিপশনের পাশে ঝুলিয়ে রেখে ক্ষমতার অপব্যবহার করে এই ব্যবসা পরিচালনা করে আসছে। গুলশান ১ এর ব্যস্ততম এলাকায় কি করে এমন অবাধে চলছে ক্যাসিনো জুয়া এটি নিয়েই প্রশ্ন তোলেছেন অনেকেই।

স্থানীয় লোকজন বলছেন, বাড়ির মালিক জামিল ইব্রাহিম অধিক ভাড়ার লোভে সবকিছু জেনেশুনে মিলন মোল্লাকে এই ফ্লোর ভাড়া দিয়েছে এমনকি ভাড়ার বাইরে ও এখান থেকে অতিরিক্ত মুনাফা পাই।

মিলন মোল্লা বলেন এই ব্যবসা করতে গেলে অবশ্যই পুলিশসহ অন্যান্য প্রশাসনের কর্মকর্তাদের ম্যানেজ করেই করতে হয় সেহেতু লোকজন ভয়ে আর কিছু বলেননি।

আরো জানা যায়, বিল্ডিং এর সিকিউরিটি গার্ড দের অতিরিক্ত টাকা দেয় সারারাত লোকজন অবাধে যাতায়াতের জন্য। সন্ধ্যা থেকে গভীর রাত পর্যন্ত চলে লোকজনের যাতায়াত যা বিল্ডিং এর বিভিন্ন সিসিটিভি ফুটেছে রেকর্ড আছে আর এইসব লোকজন বিভিন্ন এলাকা থেকে এসে এই আসরে যোগ দেয়। প্রকাশ্য ব্যস্ততম এলাকায় এ অধরনের অসামাজিক কার্যকালাপের জন্য পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তোলেছেন এলাকাবাসী। ক্যাসিনো জুয়া, ইয়াবা সেবন এবং অসামাজিক কার্যকলাপের একটি ভিডিও ফুটেজ আমাদের হাতে এসে পৌঁছেছে খুব শীঘ্রই সেটি আপলোড করা হবে।


Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *