নইন আবু নাঈম তালুকদার (বাগেরহাট) : বাগেরহাটের শরণখোলা উপজেলার ২ নং খোন্তাকাটা ইউনিয়নের ৫ নং মধ্য খোন্তাকাটা ওয়ার্ডের মৃতঃ মাস্টার এনায়েত হাওলাদারের ছেলে মোঃ বাবু হাওলাদারের (৩৮) বাড়িতে একই গ্রামের ও প্রতিবেশী মোঃ জাকির সেফাইয়ের মেয়ে আদুরি আক্তার (২১) বিয়ের দাবিতে তিন সন্তানের পিতা প্রেমিক মোঃ বাবু হাওলাদারের বাড়িতে অবস্থান করেন। বিয়ের দাবিতে তিন সন্তানের পিতা প্রেমিক মোঃ বাবু হাওলাদারের বাড়িতে অবস্থান করা আদুরি আক্তার জানান দীর্ঘদিন ধরে মোঃ বাবু হাওলাদারের সাথে প্রেমের সম্পর্ক থেকে শারীরিক সম্পর্ক হয়েছে।
মোঃ বাবু হাওলাদার তাকে বিয়ে করে ঘর সংসার করবেন এই কথা বলে তার সাথে প্রেম করে দীর্ঘদিন ধরে শারীরিক সম্পর্ক করেন। আদুরি আক্তার আরও জানান তার প্রথম এক জায়গায় বিয়ে হয়েছিল। তিনি সেখানে ঘর সংসার করতে ছিলেন। কিন্তু মোঃ বাবু হাওলাদার তাকে বিয়ে করবেন বলে সেই ছেলের কাছ থেকে তাকে ডিভোর্স করান।
ডিভোর্স করানোর পর দীর্ঘদিন সময় অতিবাহিত হলেও আদুরি আক্তার কে বিয়ে না করে শারীরিক সম্পর্ক চালিয়ে যান। এরপরে আদুরি আক্তার বাবু হাওলাদারকে বিয়ে করতে বললে তিনি অস্বীকৃতি জানান। আদুরি আক্তার ও মোঃ বাবু হাওলাদারের এই সম্পর্কের বিষয়টি আদুরি আক্তারের মা-বাবা সহ গ্রামবাসী জেনে যায়।
সবাই জেনে যাওয়ার কারনে আদুরি আক্তার মোঃ বাবু হাওলাদারের বাড়িতে গিয়ে বিয়ের দাবি করেন। কিন্তু মোঃ বাবু হাওলাদার তাকে বিয়ে করতে আবারও অস্বীকৃতি করেন। আদুরি আক্তার দাবি করেন তাকে মোঃ বাবু হাওলাদার সহ তার আত্মীয়স্বজনরা মারধর করেন।
বিয়ের দাবিতে মোঃ বাবু হাওলাদারের বাড়িতে আদুরি আক্তারের অবস্থানের একপর্যায়ে তিনি বিষ পান করতে চেষ্টা করেন। মোঃ বাবু হাওলাদারের স্ত্রীসহ দুই মেয়ে ও এক ছেলে রয়েছে।
আদুরি আক্তারের বিষয়ে মোঃ বাবু হাওলাদের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন মিথ্যা ও চক্রান্তমূলক আমাকে ফাঁসানোর জন্য এই জঘন্য কাজ করানো হচ্ছে।
আদুরি আক্তারের বিয়ের দাবিতে মোঃ বাবু হাওলাদারের বাড়িতে অবস্থানের বিষয়টি শরণখোলা থানার অফিসার ইনচার্জ এ,এইচ,এম কামরুজ্জামান খান কে জানানো হলে তিনি দ্রুত শরণখোলা থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) রাধেশ্যাম সরকার ও সাব ইন্সপেক্টর মহিলা কনস্টেবল সহ ঘটনাস্থলে পাঠান।
শরণখোলা থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) রাধেশ্যাম সরকারের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন বিষয়টি তদন্ত চলছে। এই বিষয়ে তদন্তের আগে কোন কিছু বলা যাবে না। শরণখোলা থানা পুলিশ পরিবারের সদস্যদের সাথে নিয়ে আদুরি আক্তারকে শরণখোলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। ২ নং খোন্তাকাটা ইউনিয়নের আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক তাজু সরদারের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন বিষয়টি অসামাজিক কাজ সুষ্ঠু তদন্ত হোক।