বিল্ডিং কেয়ার টেকনোলজী লিঃ এর বিরুদ্ধে ভেজাল কেমিকেল উৎপাদনের অভিযোগ :  হয়রানির শিকার প্রকৌশলী সাইফুল ইসলাম

Uncategorized অনিয়ম-দুর্নীতি অপরাধ আইন ও আদালত কর্পোরেট সংবাদ ঢাকা বিশেষ প্রতিবেদন রাজধানী

নিজস্ব প্রতিবেদক :  বিল্ডিং কেয়ার টেকনোলজি লিঃ এর বিরুদ্ধে অবৈধ ও নিম্ন মানের বিল্ডিংয়ে ব্যবহৃত এডমিক্সার তথা রসদ তৈরীর অভিযোগ । কোম্পানীর কর্নধার পরিচালক মোহ্সিউর রহমান এর নিজ বাড়ি ৪৬/১, রাজাবাড়ি গেন্ডা, সাভার এবং তার চাচাতো বোন পলি আক্তারের বাড়িতে ক্ষতিকর কেমিক্যাল কারখানার খোজঁ মিলেছে। কোম্পানীর অন্যান্য পরিচালক রবিন্দ্রনাথ ঘরামী-ব্যবস্থাপনা পরিচালক ২০১২ সাল হতে পলাতক, পঙ্কজ মিত্র পরিচালক (৮ম শ্রেণী পাস) পরিচালক (বৈজ্ঞানিক বলে পরিচয় দাবী) তারা মূলত ২০০৬ সালে বিপুল পরিমাণ অর্থ কেলেঙ্কারী ও বিভিন্ন অনিয়মের কারণে বড়াল কেমিক্যাল কোম্পানী লিঃ হতে বহিষ্কৃত ।


বিজ্ঞাপন

বর্তমানে তারা ৩ জন কোন রকমের নিয়মের তোয়াক্কা না করে, প্রশাসন কে বৃদ্ধা আঙ্গুল দেখিয়ে পরিবেশের ছাড়পত্র, বিনিয়োগ বোর্ড (বিডা) উৎপাদন লাইসেন্স, ফায়ার লাইসেন্স ও কেমিক্যাল উৎপাদনের আবশ্যকীয় বিল্ডিং কোড না মেনেই ঢালাও ভাবে পরিচালক মহসিউর রহমানের বাসায় কারখানা বসিয়ে মহাখালীর মত অভিজাত এলাকায় বাড়ি ৪৮৬ (নিচ তলা), রোড ৩২, ডি ও এইচ এস মহাখালী, ঢাকায় মোটা অংকের টাকায় ভাড়া করে ব্যবসা অফিস পরিচালনা করে ব্যপক ভাবে দেশের বিভিন্ন নির্মান কাঠমোতে দেদারসে ক্ষতিকর কেমিক্যাল সমূহ ব্যবহার করে কাঠমো সমূহকে হুমকির মুখে ফেলে দিয়েছে । এমনকি ভুমিকম্প সহায়কে ব্যবহার করলেও ভেজাল এই কেমিক্যাল দিয়ে উল্টো হুমকির মধ্যে পরছে বিভিন্ন স্হাপনা। ইতিপূর্বেও এই বিষয়ে বিভিন্ন জাতীয় পত্র-পত্রিকায় এবং এন টিভি ক্রাইম নিউজে প্রসারিত হয়।


বিজ্ঞাপন

উল্লেখ্য থাকে যে বিল্ডিং কেয়ার টেকনলজী যা একটি স্বত্ত্বাধিকারী (প্রোপাইটর) প্রতিষ্ঠান ছিল যা ২০০৯ সালে রেজিষ্ট্রেশন কৃত প্রকৃত মালিক প্রকৌশলী মোহাঃ সাইফুল ইসলাম তিনি ব্যবসা পরিচালনা করে এবং তাহার নিজ নামে পরিবেশ অধিদপ্ত কর্তৃক ছাড়পত্র, উৎপাদন লাইসেন্স, ইত্যাদির স্বয়ং মালিক।

বিল্ডিং কেয়ার টেকনোলজী লিঃ এর প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক ও সমান অংশীদার যা ২০১২ সালে অন্য তিন জন পরিচালক তাকে বিভিন্ন লোভ দেখিয়ে তাহার ব্যক্তিগত কোম্পানীকে লিঃ পরিণত করে। কিন্তু মজার ব্যাপার হলো ২০১২ সালেই কোম্পানীর ব্যবস্থাপনা পরিচালক রবিন্দ্রনাথ ঘরামী গোপনে দেশ ত্যাগ করলে বিষয়টি প্রকৌশলী সাইফুল ইসলামের বোধগম্য হয় এবং তৎক্ষণাৎ তিনি তাদের সংগ ও শেয়ার ছেড়ে আসার বারংবার চেষ্টা করলেও তাকে বিভিন্ন উপায়ে ভয়ভিতী দেখিয়ে তাহার নিজস্ব মূলধন বিনিয়োগে বাধ্য করে এবং তার মেধা ও পরিচিতি এবং তার অর্থ ব্যবহার করে তাকে পথে বসিয়ে দেয়।

শুধু তাই নয় কেমিক্যাল সমূহের খুচরা মূল্যের মাত্র ১০ ভাগের ১ ভাগ দাম দেখিয়ে ভ্যাট ও ট্যাক্স প্রদান করে এবং সাভাস্থ ভ্যাট অফিসে যোগাযোগ করলে তারা বলেন যে, তাদের এই কেমিক্যাল সমূহের দাম সম্পর্কে খুব একটা ধারা নাই। বাজার যাচাই করে দেখা গেল ১লিঃ WP-1 এর দাম ১৪০ সেখানে ভ্যাট দিচ্ছে মাত্র ২৫/- লিঃ।

তাহলে দেশের রক্ষকের কি পরিমাণ ক্ষতি করছে, জানা গেল তাদের প্রতি মাসে কমপক্ষে ৫০ হাজার লিটার কেমিক্যাল বিক্রি হয় এবং মাসে বিক্রি অন্যান্য কেমিক্যাল সহ প্রায় ১ কোটি টাকা, যার রাজস্ব ১৫% প্রায় পনের লক্ষ টাকা প্রদান করার কথা তাহলে ২০১২ সাল থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত কি পরিমান রাজস্ব ফাঁকি দিয়েছে।

তাহারা প্রকৌশলী সাইফুল ইসলামকে না জানিয়ে তাহাদের পছন্দমত অডিট ফার্ম কে দিয়ে ভুয়া অডিট করিয়ে বিপুল অংকের টাকা কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক রবীন্দ্রনাথ ঘরামী অস্ট্রেলিয়াতে অর্থ পাচার করেছেন এবং অস্ট্রেলিয়াতে তিনি একাধিক বাড়ি, গাড়ি ও ব্যবসার মালিকও বটে। তাছাড়া পঙ্কজ মিত্র ও মশিউর রহমানের ঢাকা ও ঢাকার বাইরে রয়েছে একাধিক ফ্লাট ও বাড়ি।

এখানেই শেষ নয় পরিচালক মশিউর রহমান ও রবীন্দ্রনাথ ঘরামী তার পেশী শক্তি ব্যবহার করে প্রকৌশলী সাইফুল ইসলামকে নানা ভাবে হয়রানি করছেন। তাদের ধারনা সাইফুল ইসলামে কোম্পানী থেকে চলে গেলে ভেজাল ব্যবসা চালাতে পারবেন না। কিন্তু সাইফুল ইসলাম দেশের দশের সাথে বেইমানি করতে নারাজ।

সাইফুল ইসলাম সুষ্টভাবে অব্যাহতির জন্য মাননীয় উচ্চ আদালতে স্পেশাল অডিটের জন্য আবেদন করলে মাননীয় উচ্চ আদালত তাহার পক্ষে কোম্পানির ভ্যালু লাভ ও ক্ষতি বিনিয়োগ হিসাব করে সাইফুল ইসলামকে বিদায় দেবার নির্দেশ প্রদান করেছেন। এতে আরো ক্ষুব্ধ হয়ে প্রকৌশলী সাইফুল ইসলাম সহ তার পরিবারের সদস্যদের হত্যার হুমকি দিয়েছেন।

অনুসন্ধানে জানাযায় কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক পরিচালক এর বন স্মৃতিরানী ঘরামী সাবেক যুগ্ম সচিব র অনি ঘনিষ্ঠ জাতীয় শিক্ষাক্রম পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের সচিব, নাজমা আক্তারকে দিয়ে বলপ্রয়োগ করছেন।

আইন ও প্রশাসনের তোয়াক্কা না করে ব্যবস্হাপনা পরিচালক রবীন্দ্রনাথ ঘরামী, পরিচালক পঙ্কজ মিত্র, পরিচালক মোহসিউর রহমান প্রকৌশলী সাইফুল ইসলামকে হত্যার পরিকল্পনা করেছেন মর্মে সাভার থানায় অভিযোগ করেন, ইতিপূর্বেও তাহারা কিলার গ্রুপ দিয়ে তাকে হত্যার জন্য একাধিকবার চেষ্টা করা হলে বিষয়টি ফাঁস হয়।

বর্তমানে সাইফুল ইসলাম দক্ষিন খানের বাসায় তাদের ভয়ে থাকতে না পেরে পালিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছেন। এই সকল অনিয়ম ও দুষ্কৃতিদের বিরুদ্ধে প্রশাসন কি ব্যবস্থা নেয় সেটাই এখন দেখার ব্যাপার।


Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *