টাকা লেনদেন সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে কুমিল্লায় ব্যবসায়িকে গলাকেটে হত্যার দায়ে চারজনের মৃত্যুদণ্ড

Uncategorized আইন ও আদালত গ্রাম বাংলার খবর প্রশাসনিক সংবাদ বিশেষ প্রতিবেদন সারাদেশ

নিজস্ব প্রতিবেদক (কুমিল্লা) :  টাকা লেনদেন সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার কোম্পানীগঞ্জ বাজারের কাপড় ব্যবসায়ী ফারুক আহাম্মেদ রাজুকে মোবাইল ফোনে ডেকে নিয়ে গলা কেটে মাথা বিচ্ছিন্ন করে নৃশংসভাবে হত্যার ১১ বছর পর অভিযুক্ত চার আসামীকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন কুমিল্লার আদালত। সেই সাথে প্রত্যেককে ৫০ হাজার টাকা করে অর্থদন্ড প্রদান করেন। ১১ জুলাই (বৃহস্পতিবার) দুপুর ১২টায় কুমিল্লার বিজ্ঞ অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ পঞ্চম আদালতের বিচারক মোছাঃ ফরিদা ইয়াসমিন এ রায় দেন।


বিজ্ঞাপন

দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন- কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার উপজেলা নবীপুর পশ্চিম ইউনিয়নের উত্তর ত্রিশ গ্রামের সুরুজ মিয়ার ছেলে রফিক (২৫), একই জেলার ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার মাধবপুর গ্রামের ইউনুছ মিয়ার ছেলে নাজমুল সিকদার (২০), দেবিদ্বার উপজেলার ভিংলাবাড়ী গ্রামের মালু মিয়ার ছেলে মান্নান (২৭) ও দক্ষিন ভিংলাবাড়ী গ্রামের রঞ্জু মিয়ার ছেলে সুমন (২৮)।
রায় ঘোষনাকালে দন্ডপ্রাপ্ত আসামিরা আদালত কাঠগড়ায় অনুপস্থিত ছিলেন।


বিজ্ঞাপন

মামলার বিবরণে জানাযায়- কুমিল্লা মুরাদনগর উপজেলার কোম্পানীগঞ্জে ২০১৩ সালের ২ ডিসেম্বর রাতে পাওনা টাকা নিয়ে বিরোধের জের ধরে কাপড় ব্যবসায়ী ফারুক আহাম্মেদ রাজুকে বাড়ী থেকে ফোন করে ডেকে নিয়ে নৃশংসভাবে হত্যা করে তার শরীর থেকে মাথা বিচ্ছিন্ন করে সেফটিক ট্যাংকে ফেলে দিয়ে দেহটিকে একটি মাঠে বালুচাপা দিয়ে রাখে দুর্বৃত্তরা। এলাকায় দুর্গন্ধ ছড়িয়ে পড়লে আশেপাশের মানুষ বালুর মাঠে গিয়ে চাপাদেয়া অবস্থায় মানুষের হাত দেখতে পেয়ে পুলিশকে অবগত করে। পুলিশ এসে লাশ উদ্ধারের পর পাশের একটি সেফটিক ট্যাংক থেকে ব্যবসায়ী ফারুকের কাটা মাথা উদ্ধার করে।

এ ঘটনায় নিহতের বাবা গোলাম মোস্তফা বাদী হয়ে মুরাদনগর থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা তৎকালীন এসআই আনোয়ার হোসেন তদন্ত শেষে ২০১৪ সালের ১১ মে দন্ডিত আসামিদের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ প্রাথমিকভাবে প্রমাণিত হওয়ায় তাদের বিরুদ্ধে চার্জশীট দেন।

পরবর্তীতে মামলাটি বিচারে আসিলে রাষ্ট্র পক্ষে ২২জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে যুক্তিতর্ক শুনানি অন্তে আসামি মোঃ মান্নান মিয়ার স্বীকারোক্তিমুলক জবানবন্দি পর্যালোচনাক্রমে আসামি মোঃ রফিক মিয়াসহ চারজনের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় তাদেরকে মৃত্যুদণ্ড এবং সেই সাথে প্রত্যেককে ৫০ হাজার টাকা করে অর্থদন্ড প্রদান করেন আদালত।

এ রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করে রাষ্ট্র পক্ষে নিযুক্তীয় কৌশলী অতিরিক্ত পিপি এডভোকেট মোঃ রফিকুল ইসলাম বলেন, আমরা আশাবাদী উচ্চ আদালত রায় বহাল রেখে দ্রুত কার্যকর করবেন।


Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *