নিজস্ব প্রতিবেদক : মোঃ আবদুল আলীম ঢাকা ওয়াসার রাজস্ব জোন-৩ এ সর্বশেষ রাজস্ব পরিদর্শক হিসেবে কর্মরত ছিলেন। সম্প্রতি অবসরে গেছেন। অবসর গ্রহনের পূর্বে সর্বসাকুল্যে ৩৫ হাজার টাকা বেতনের তৃতীয় শ্রেণির কর্মচারি আব্দুল আলীম নানা অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে নামে-বেনামে আয়ের সাথে অসঙ্গতিপূর্ণ প্রায় ১০০ কোটি টাকার সম্পদের মালিক।
আবদুল আলীম এর অনিয়ম দুর্নীতি ও জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদের তদন্ত চেয়ে ১৭/৬/২১ তারিখে ঢাকা ওয়াসা কর্মচারি ইউনিয়নের নেতা আনোয়ার হোসেন খান লাবু দুর্নীতি দমন কমিশনে আবেদন করেন। এছাড়া, আলিমের অনিয়ম দুর্নীতির তদন্ত চেয়ে ঢাকা ওয়াসার একাধিক কর্মচারি দুদকে আবেদন করেন।
দুদকে একাধিক আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে দুর্নীতি দমন কমিশন তদন্তের উদ্যেগ গ্রহন করেন এবং আবদুল আলীম কে দুদক তলবও করেছিল। পিআরএল চলাকালে আবদুল আলীম দুদকে হাজিরা দিয়ে এসে ওয়াসার সহকর্মী ও সংবাদ কর্মিদের দম্ভোক্তি সহকারে বলেছিলেন-”তার কিছুই হবেনা;দুদক তার কিছুই করবে না,সব ম্যানেজ করা হয়ে গেছে,সাংবাদিকরা যা পারে লেখুক”। আবদুল আলীম এর কথার ভাবার্থ স্পষ্ট নয়। তবে দুদক এখন পর্যন্ত তার ব্যাপারে চড়ান্ত কোন সিদ্ধান্ত গ্রহন করেন নি। তদন্ত স্থবির হয়ে আছে। সংশ্লিষ্ট তদন্ত কর্মকর্তার সাথে যোগাযোগ করতে না পারায় তদন্তের বর্তমান অবস্থা সম্পর্কে জানা যায়নি।
ব্যক্তিগত চার জন সহকারী দিয়ে সাইট পরিচালনা করতেন। সাইট পরিদর্শনে তিনি কখনও যেতেন না। তার নিয়োগকৃত ব্যক্তিগত সহকারী বাবুল,রিফাত, দুর্নীতির অভিযোগে ওয়াসার পিপিআই প্রকল্প থেকে চাকুরিচ্যুত তার ভাতিজা শাহিন ও হাবিব কে দিয়ে ডিউটি করাতেন। একপর্যায়ে অবৈধ লেনদেনের বিরোধে ২০ বছর ধরে কর্মরত সহকারী বাবুলকে চাকুরিচ্যুত করেন। আলীম’র অবৈধ কর্মকান্ড ও সম্পদের বিবরণ সম্বলিত বাবুলের ফোন রেকর্ড তখন গণমাধ্যমের হাতে চলে আসে। বহিরাগত দিয়ে কাজ করানো সম্পূর্ণ বেআইনী ।৫ জুলাই ২০১৮ ইং তারিখে ওয়াসা কর্তৃপক্ষ এক আদেশের মাধ্যমে বহিরাগত নিয়োগ নিষিদ্ধ করে। যার স্মারক নং রা/৮২০২ প্র:রা:ক:-৫/৭/২০১৮ইং।
ময়মনসিংহ জেলার পাগলা থানার জয়দরখালীস্থ শহীদ নগরের বাসিন্দা আবুল হাশেম এর পূত্র আব্দুল আলীম ওয়াসার চাকরির সুবাদে এখন গ্রামের সর্বোচ্চ ধনবান ব্যক্তি। তিনি যে বিপুল পরিমাণ স্থাবর ও অস্থাবর সম্পত্তির মালিক তা তার চাকুরীর বেতনের সাথে অসামঞ্জস্যপূর্ণ।
তার নামে-বেনামে সম্পদের বিবরণ তুলে ধরা হলো: আলহাজ্ব মোঃ আবদুল আলীম নিজ নামে ঢাকার শহরের প্রাণকেন্দ্রে -১৩৭/৬, দ্বিতীয় কলোনী,মাজার রোড, শহীদ বুদ্ধিজীবী গেট ,ওর্য়াড নং- ১০,থানা-দারুস-সালাম, মিরপুর,ঢাকা-১২১৬-এ জায়গা ক্রয় করে বহুতল বাড়ি নির্মাণ করেছেন। জমির পরিমান ৬ কাঠা। স্ত্রী মিসেস পান্না বেগমের নামে বাসা-১৪১/১, দ্বিতীয় কলোনী,মাজার রোড, শহীদ বুদ্ধিজীবী গেট ,ওয়ার্ড নং- ১০,থানা-দারুস-সালাম, মিরপুর,ঢাকা-১২১৬ জমি ক্রয় করে চারতলা বাড়ি নির্মাণ করেছেন। জমির পরিমান ৫ কাঠা।
এছাড়া, মোঃ আব্দুল আলীম নিজ নামে হাউজিং নং- ২৮বি/এ মাজার রোড, দ্বিতীয় কলোনী,দারুস- সালাম থানা, মিরপুর-১,ঢাকা-১২১৬ -এ টিনশেড বাড়ি করেছেন।
তার নিজ নামে ঢাকার শহরের প্রাণকেন্দ্রে নিউমার্কেট সিটি কমপ্লেক্স এর ৪৪/১ রহিম স্কয়ার-এ বিশ্বাস বিল্ডারস লিঃ থেকে দোকান ক্রয় করেছেন। তার নিজ নামে ঢাকার শহরের উত্তরায় ১০ নং- সেক্টরে রোড নং- ১০, বাড়ি নং- ০১, রানি নিবাস প্রোপাটিজ উত্তরায় চারতলায় একটি বিলাসবহুল ফ্লাট ক্রয় করেছেন। যা ১২৫০ স্কয়ার ফিট। তার নিজ নামে ঢাকার শহরের বসুন্ধধারা আবাসিক এলাকার ডি- ব্লকের ১০ নং- রোডের -৩১৩ হোল্ডিংয়ে নন্দন হুদা পারভীন প্রোপাটিজ থেকে একটি বিলাসবহুল ১৪৫০ স্কয়ার ফিট ফ্লাট ক্রয় করেছেন ।
এছাড়া, মোঃ আব্দুল আলীম নিজ নামে হাউজিং নং- ২৮বি/এ মাজার রোড, দ্বিতীয় কলোনী,দারুস- সালাম থানা, মিরপুর-১,ঢাকা-১২১৬ -এ টিনশেড বাড়ি করেছেন।
তার নিজ নামে ঢাকার শহরের প্রাণকেন্দ্রে নিউমার্কেট সিটি কমপ্লেক্স এর ৪৪/১ রহিম স্কয়ার-এ বিশ্বাস বিল্ডারস লিঃ থেকে দোকান ক্রয় করেছেন। তার নিজ নামে ঢাকার শহরের উত্তরায় ১০ নং- সেক্টরে রোড নং- ১০, বাড়ি নং- ০১, রানি নিবাস প্রোপাটিজ উত্তরায় চারতলায় একটি বিলাসবহুল ফ্লাট ক্রয় করেছেন। যা ১২৫০ স্কয়ার ফিট। তার নিজ নামে ঢাকার শহরের বসুন্ধধারা আবাসিক এলাকার ডি- ব্লকের ১০ নং- রোডের -৩১৩ হোল্ডিংয়ে নন্দন হুদা পারভীন প্রোপাটিজ থেকে একটি বিলাসবহুল ১৪৫০ স্কয়ার ফিট ফ্লাট ক্রয় করেছেন ।
নিজ নামে ঢাকার শহরের চিড়িয়াখানা বেরীবাধ বিরুলিয়া ব্রিজ ও প্রিয়াংকা সুটিং স্পটের পাশে তিনটি প্লট ক্রয় করেছেন। রুপালী ব্যাংক মোঃপুর শাখা, জনতা ব্যাংক শান্তিনগর শাখা ও জনতা ব্যাংক ওয়াসা ভবন শাখায় তার ও পরিবারের সদস্যদের নামে কোটি টাকার এফডিআর আছে। নিজ গ্রামে বিলাশবহুল বাংলো ও প্রায় ৫০ বিঘা জমি ক্রয় করেছেন। সংশ্লিষ্ট মহলের মতে তার স্থাবর-অস্থাবর সম্পদের মূল্য বর্তমান বাজারে ১০০ কোটি টাকা হতে পারে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক পাগলা গ্রামের একজন বাসিন্দা বলেন, আলীম গ্রামে মসজিদ মাদ্রাসা করেছেন।স্বস্ত্রীক হজ¦ করেছেন।আব্দুল আলীম ্ও তার পরিবারের সদস্যদের এনআইডি’ বিপরীতে সম্পদের অনুসন্ধান করলে উপরে উল্লেখিত সম্পদের বাহিরে আরো স্থাবর-অস্থাবর সম্পদের খোঁজ পাওয়া যাবে বলে তিনি মনে করেন।
এ বিষয়ে আবদুল আলীম এর বক্তব্য জানার জন্যে তার মোবাইল ফোনে কল দিলে ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায় ।
এ বিষয়ে আবদুল আলীম এর বক্তব্য জানার জন্যে তার মোবাইল ফোনে কল দিলে ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায় ।
Post Views: 127