নিজস্ব প্রতিবেদক : আজ শুক্রবার ৯ আগস্ট খেলাফত মজলিসের আমীর মাওলানা আবদুল বাছিত আজাদ বলেন, ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা সরকার বিগত ১৫ বছর ধরে অসংখ্য মানুষকে গুম-খুন করেছে। সাম্প্রতিক বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকে কেন্দ্র করেও শত শত সাধারণ ছাত্র-জনতাকে গুলি করে হত্যা করেছে। হাজার হাজার মানুষকে আহত ও পঙ্গু করেছে। গণ-অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে ছাত্র-জনতা খুনী হাসিনা ও তার দোসরদের শাস্তির পথ সুগম করেছে। এই বিজয় আল্লাহর সাহায্য ছাড়া সম্ভব ছিল না। এই গণ-অভ্যুত্থানে হাসিনা ও তার দোসররা ছাড়া ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সবারই অংশগ্রহণ ছিল। আমরা সবাইকে বিজয়ের শুভেচ্ছা জানাই। শহীদদের জন্য আল্লাহর কাছে জান্নাত কামনা করি এবং আহতদের দ্রুত সুস্থতা কামনা করছি।
আমরা নবগঠিত অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাছে জোর দাবি জানাই, অবিলম্বে দেশে শান্তি-শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনুন। অর্থনীতি স্বাভাবিক করুন। দ্রবমূল্য ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে আনার জন্য কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করুন। ছাত্র-জনতার প্রত্যাশা পূরণে এগিয়ে গেলে আমাদেরকে আপনাদের পাশে পাবেন। দেশপ্রেমিক রাজনৈতিক দলের নেতা-কর্মীরা অক্লান্ত পরিশ্রম করে সাধারণ ছাত্রদেরকে সাথে নিয়ে বর্তমান অরাজকতার পরিস্থিতি মোকাবেলা করছে। আমরা সেনাবাহিনীকে ধন্যবাদ জানাই ক্রান্তিকালীন সময়ে তারা দেশ ও জনগণের পাশে দাঁড়িয়েছে। এই বিজয়ের সুফল যাতে কেউ নস্যাৎ করতে না পারে আমাদের সকলকে সজাগ থাকতে হবে। আজ খেলাফত মজলিসের উদ্যোগে আয়োজিত ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থান ও ফ্যাসিস্ট হাসিনা সরকারের পতন উপলক্ষে মিছিল পূর্ব সমাবেশে সভাপতির বক্তব্যে তিনি এ কথাগুলো বলেন।
আজ বাদ জুম্মা বায়তুল মোকাররম উত্তর চত্বরে আয়োজিত খেলাফত মজলিসের সমাবেশে বক্তব্য রাখেন মহাসচিব ড: আহমদ আবদুল কাদের। তিনি বলেন, দেশ নতুনভাবে স্বাধীন হয়েছে। শেখ হাসিনা চেয়েছিল সেনাবাহিনী দিয়ে হাজার হাজার মানুষকে হত্যা করে ক্ষমতায় টিকে থাকবে। কিন্তু দেশপ্রেমিক সেনাবাহিনী রাজি হয় নাই। আলহামদুলিল্লাহ, দেশের মানুষ আজ ফ্যাসিবাদ থেকে মুক্তি পেয়েছে। এখন আমাদের দেশকে নতুনভাবে গড়ে তোলার সময় এসেছে। খুনীদের অবিলম্বে বিচারের আওতায় আনতে হবে। ছাত্র-জনতার গণদাবিগুলোকে প্রাধান্য দিয়ে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার তার কার্যক্রম শুরু করবে আমরা প্রত্যাশা করি।
খেলাফত মজলিসের যুগ্ম-মহাসচিব অধ্যাপক আবদুল জলিলের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত সমাবেশে বক্তব্য রাখেন নায়েবে আমীর মাওলানা আহমদ আলী কাসেমী, কেন্দ্রীয় উপদেষ্টা পরিষদ সদস্য মাওলানা ফেরদাউস বিন ইসহাক, সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব এডভোকেট জাহাঙ্গীর হোসাইন, যুগ্ম-মহাসচিব মুহাম্মদ মুনতাসির আলী, ড: মোস্তাফিজুর রহমান ফয়সল, কেন্দ্রীয় প্রশিক্ষণ সম্পাদক অধ্যাপক কাজী মিনহাজুল আলম, ঢাকা মহানগরী উত্তর সভাপতি সাইফ উদ্দিন আহমদ খন্দকার, নারায়ণগঞ্জ মহানগরী সাধারণ সম্পাদক ইলিয়াস আহমদ, শ্রমিক মজলিস সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম, কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য মুফতী আলী আকরাম, দেওয়ান আবদুল হান্নান, ইসলামী যুব মজলিস কেন্দ্রীয় যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মুফতি শাব্বির আহমদ প্রমুখ।