জাতীয় প্রেসক্লাব ব্যবস্হাপনা কমিটি, ডিইউজে ও বিএফইউজে নেতৃবৃন্দকে  দালাল সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে ব্যাবস্থা নিতে পত্র দিলেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়করা 

Uncategorized অনিয়ম-দুর্নীতি অপরাধ আইন ও আদালত জাতীয় ঢাকা বিশেষ প্রতিবেদন রাজধানী

নিজস্ব প্রতিবেদক : জাতীয় প্রেসক্লাব ব্যবস্হাপনা কমিটি, ডিইউজে ও বিএফইউজে নেতাদের সাথে সাক্ষাত করে ‘দালাল’ সাংবাদিকদের’ তালিকা দিলো বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতারা। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে ছাত্র-জনতার রক্ত ঝরানোর ইন্ধনদাতা দালাল সাংবাদিক ফরিদা ইয়াসমিন, শ্যামলদত্ত গংদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য এক অভিযোগ পত্র দিয়েছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক আব্দুল কাদের ও আব্দুল হান্নান মাসুদ।


বিজ্ঞাপন

ওই পত্রে তারা উল্লেখ করেন, ” প্রেস ক্লাব একটি জাতীয় প্রতিষ্ঠান। এ প্রেস ক্লাব বরাবরই জাতির দুঃসময়ে এগিয়ে এসেছে। কিন্তু পতিত আওয়ামী ফ্যাসিস্ট সরকারের আমলে এ প্রতিষ্ঠানটি দলীয় প্রতিষ্ঠানে পরিণত করে এর ভাবমূর্তি ধবংস করে দিয়েছে। শুধু তা-ই নয়, প্রেস ক্লাবের সভাপতি ফরিদা ইয়াসমিন( যিনি ফ্যাসিস্ট সরকারের শুধু দালালই নয় পার্লামেন্ট মেম্বার), সাধারণ সম্পাদক শ্যামল দত্ত প্রতিনিয়ত পুলিশ ও আওয়ামী লীগকে মদদ দিয়ে এবং টকশোতে উষ্কানিমূলক বক্তব্য দিয়ে ছাত্রদের রক্তঝরানোর মতো মানবতা বিরোধী কাজে জড়িত ছিল।


বিজ্ঞাপন

 

যা এছাড়াও ছাত্রদের রক্তঝরানোর মতো অমানবিক কাজে জড়িত ছিলেন প্রেস ক্লাবের সদস্য প্রভাষ আমিন, জায়েদুল আহসান পিন্টু (ছাত্রদের বিরুদ্ধে সবচেয়ে বেশি মিথ্যান্সের করেছে), মোজাম্মেল বাবু, আশীষ সৈকত, ইকবাল সোবহান চৌধুরী, সোহেল হাসান চৌধুরী, ফারজানা রুপা, আরিফ জেপ্তিক, অশোক চৌধুরী, শাহজান সরদার, সুভাষ সিংহ রায়, আজমল হক হেলাল, আবুল খায়ের, মঞ্জুরুল ইসলাম ( ডিবিসি), প্রণবসাহা (ডিবিসি), নঈম নিজাম (বাংলাদেশ প্রতিদিন), খায়রুল আলম ( ভারতীয় গোয়ান্দা সংস্থার এজেন্ট ও ডিইউজে নেতা),সাইফুল আলম (যুগান্তর), আবেদ খান, সুভাষ চন্দ্র বাদল, জ,ই মামুন, জাফর ওয়াজেদ (পিআইবি), শাহনাজ সিদ্দিকী (বিএসএস), সাইফুল ইসলাম কল্লোল (বিএসএস), পাভেল রহমান, আজিজুল ইসলাম ভূঁইয়া, সৈয়দ বোরহান কবির, শাবান মাহমুদ, সৈয়দ ইশতিয়াক রেজা, মোল্লা আমজাদ, শফিকুর রহমান, আবুল কালাম আজাদ,মামুন আবদুল্লাহ (ইন্ডিপেন্ডেন্ট টিভি), সোমা ইসলাম (চ্যানেল আই),শ্যামল সরকার (ইত্তেফাক), অজয় দাশ ( সমকাল), আলমগীর হোসেন (সমকাল), শাকিল আহমেদ (৭১ টিভি), রামা প্রসাদ (সমকাল), সঞ্জয় সাহা পিয়াল (সমকাল), ফরাজী আজমল (ইত্তেফাক), আনিসুর রহমান (বিএসএস), স্বপন বসু (বিএসএস), হাসান জাবেদ (এনটিভি), মিথিলা ফারজানা (৭১ টিভি), শবনম আজিম (৭১ টিভি) এনামুল হক চৌধুরী, দিপক কুমার আচার্য, নাঈমুল ইসলাম খান। আমরা মনে করি সাংবাদিকতার আড়ালে এদের কর্মকান্ড ছিল জাতীয় স্বার্থ ও রাষ্ট্র বিরোধী।

ছাত্ররা এখন রাষ্ট্র সংস্কারের কাজে হাত দিয়েছে। এসব জাতীয় দুশমনরা প্রেস ক্লাবের বা সাংবাদিকতার নাম ভাঙ্গিয়ে আর যাতে জাতির ক্ষতি করতে না পারে সে জন্য তাদের বহিষ্কার ও সাংবাদিকদের অঙ্গনে নিষিদ্ধ করার নিবেদন জানাচ্ছি। ইতোমধ্যে আমরা তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়ার জন্যও সরকারকে অনুরোধ জানিয়েছি।”


Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *