মোঃ সাইফুর রশিদ চৌধুরী : সারাদেশে হিন্দুদের উপর হামলা, বাড়িঘর, মন্দির ভাংচুর ও লুটপাটের প্রতিবাদে গোপালগঞ্জে বিশাল মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ করেছেন সংখ্যালঘু সম্প্রদায়সহ সর্বস্তরের জনগণ।
গোপালগঞ্জ কেন্দ্রীয় কালীবাড়ি, হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ, পূজা উৎযাপন পরিষদ, মহিলা ঐক্য পরিষদ, হিন্দু মহাজোট, ছাত্র মহাজোট’সহ সকল হিন্দু সংগঠনের ডাকে সাড়া দিয়ে এ বিক্ষোভ করেন হিন্দু সংখ্যালিঘু সম্প্রদায়ের লক্ষাধীক মানুষ।
সোমবার ১২ আগষ্ট সকাল ১১টায় গোপালগঞ্জ প্রেসক্লাবের সামনে এ বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। শহরের প্রধান সড়কে পুলিশ লাইনস্ থেকে পাচুরিয়া পর্যন্ত প্রায় দেড় কিলোমিটার জুড়ে কয়েক লক্ষ সনাতনধর্মলম্বী ও অন্যান্য সম্প্রদায়ের লোকজন এ প্রতিবাদ ও বিক্ষোভ সমাবেশে অংশ গ্রহণ করেন। এসময় শহরের প্রধান সড়কে প্রায় সাড়ে ৩ ঘন্টা যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। শহরের প্রাধান প্রধান সড়কের কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে যায় বিক্ষোভকারীদের দ্বারা।
এ সময় দেশের অধিকাংশ জেলার বিভিন্ন স্থানে হিন্দুদের মন্দির ও বাড়িঘরে ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ, লুটপাট ও হিন্দু মা বোন ভাইদের নির্যাতন এবং হত্যার প্রতিবাদে এই কর্মসূচি পালন করা হয়। পরে সমাবেশটি বিক্ষোভে পরিনত হয়। এসময় হিন্দু নেতৃবৃন্দরা বিভিন্ন দাবি উত্থাপন করেন।
মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশে পূজা উৎযাপন পরিষদের সভাপতি মৃনাল কান্তি রায় চৌধুরী পপা, কেন্দ্রীয় কালীবাড়ির সভাপতি রমেন্দ্রনাথ সরকার রমেন, হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা প্রদীপ বিশ্বাস পল্টু, সাধারণ সম্পাদক দুলাল বিশ্বাস, সাবেক উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান নিতিশ রায়, হিন্দু নেতা টিটু বৌদ্য’ সহ অনেকে বক্তব্য রাখেন।
বক্তারা বলেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পদত্যাগের পর থেকে দেশের বিভিন্ন স্থানে মন্দির ও প্রতিমা ভাঙচুর করা হয় , হিন্দুদের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে ভাঙচুর, লুটপাট, অগ্নিসংযোগ করা’সহ হিন্দু মা–বোনদের লাঞ্ছিত করা এবং দেশছাড়ার হুমকি দেওয়া হয়েছে। এ সবকিছুর বিরুদ্ধে দ্রুত পদক্ষেপ নেয়া এবং ক্ষতিগ্রস্ত হিন্দু পরিবারের পাশে দাঁড়ানোর আহবান জানানো হয়।