অবৈধ অস্ত্রধারী বহিরাগতদের দখলে কাল্ব  : সেনাবাহিনীর হস্তক্ষেপ কামনা সাধারণ ডেলিগেটসদের 

Uncategorized অনিয়ম-দুর্নীতি অপরাধ আইন ও আদালত কর্পোরেট সংবাদ ঢাকা বিশেষ প্রতিবেদন রাজধানী সংগঠন সংবাদ

নিজস্ব প্রতিবেদক : দেশের শীর্ষ স্থানীয়  সমবায় সমিতি দি কো-অপারেটিভ ক্রেডিট ইউনিয়ন লীগ অব বাংলাদেশ লি: (কালব)এর প্রধান কার্যালয় ও কালব রিসোর্ট সমবায় মাফিয়া আগষ্টিন পিউরিফিকেশনের নেতৃত্বে অবৈধ  অস্ত্রধারী বহিরাগতরা দখল নিয়েছে বলে জানাগেছে। প্রতিষ্ঠানের জেনারেল ম্যানেজার প্যাট্রিক পালমা বহিরাগতদের দখলে বাঁধা না দিয়ে উল্টো সহযোগিতা করছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।


বিজ্ঞাপন

প্রতিষ্ঠানের বিপদকালে তিনি ছুটি নেয়ার ছলে দখলকারিদের লুটপাটের সুযোগ করে দিয়েছেন। এমতাবস্থায় সমবায়িদের বৃহত্তর স্বার্থে প্রতিষ্ঠানটি দখলমুক্ত করার জন্যে বাংলাদেশ সেনা বাহিনী ও বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সহযোগিতা কামনা করেছেন কালবের ডেলিগেটগণ।


বিজ্ঞাপন

সূত্রমতে, দি কো-অপারেটিভ ক্রেডিট ইউনিয়ন লীগ অব বাংলাদেশ লি: (কালব)এর ব্যবস্থাপনা কমিটি থেকে সংখ্যাগরিষ্ঠ সদস্য পদত্যাগ করায় দ্রুত অন্তর্বর্তি ব্যবস্থাপনা কমিটি গঠনের জন্যে সমবায় অধিদপ্তরের প্রতি আহবান জানিয়েছেন ডেলিগেটগণ।

২৯/০৭/২০২৪ইং পদত্যাগ এর পর সমবায় অধিদপ্তর কর্তৃক ৩১/০৭/২০২৪ইং তারিখে কালব জেনারেল ম্যানেজার বরাবর পত্র মারফৎ ৭ জনের পদত্যাগের বর্ণিত আবেদনের বিষয়ে বিধি মোতাবেক ব্যবস্হা গ্রহনপূর্বক গৃহীত পদক্ষেপ সম্পর্কে ০৫/০৮/২০২৪ইং তারিখের মধ্যে সমবায় অধিদপ্তরকে অবহিত করার জন্যে নির্দেশক্রমে অনুরোধ করেন। কিন্ত আজ পর্যন্ত সমবায় অধিদপ্তর অন্তর্বর্তি ব্যবস্থাপনা কমিটি গঠনের জন্যে উদ্যেগ গ্রহন করেনি। তাদের বিরুদ্ধে গড়িমসির অভিযোগ উঠেছে।

একটি নির্ভরযোগ্য সূত্রে জানাগেছে, অন্তর্বর্তি ব্যবস্থাপনা কমিটি গঠনের বিরুদ্ধে কলকাঠি নাড়ছেন সমবায় অধিদপ্তরের অতিরিক্ত নিবন্ধক আহসান কবীর। তিনি আগষ্টিন পিউরীফিকেশনের নিয়মিত মাসোহারা ভোগী। নিয়মিত কালবের রিসোর্টে প্রমোদ ভ্রমণের জন্যে যাতায়াত করেন। সবচে’ বড় দলবাজ আওয়ামী লীগার হিসেবে পরিচিত আহসান কবীর সমবায় অধিদপ্তরে দুর্নীতির অভায়ারণ্য প্রতিষ্ঠা করেছেন। দুর্নীতির মাধ্যমে কোটি কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ গড়েছেন। দেশের সমবায় ব্যবস্থা ধ্বংস করার অন্যতম কারিগর হচ্ছেন আহসান কবির।

এদিকে কালব’র জেনারেল ম্যানেজার প্যাট্রিক পালমার বিরুদ্ধে পদচ্যুত চেয়ারম্যান আগষ্টিন পিউরীফিকেশনের সাথে যোগসাজশ করে অন্তর্বর্তি ব্যবস্থাপনা কমিটি গঠনের ক্ষেত্রে সমবায় অধিদপ্তরকে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহনের বিষয়ে অনীহা এবং অসহযোগিতার অভিযোগ পাওয়া গেছে।

সমবায় অধিদপ্তরের উদ্যেগের তিনি কোন ধরনের সহযোগিতা করছেন না। উল্টো তিনি পদচ্যুত চেয়ারম্যান গত ০৩/০৮/২০২৪ ইং তারিখের বেআইনী ”জরুরী বোর্ড সভায়” উপস্থিত থেকে সমবায় আইন,বিধিমালা ও কালবের উপ-আইন লংঘন করেছেন।

অন্যদিকে পদচ্যুত চেয়ারম্যান আগষ্টিন পিউরীফিকেশন ক্ষমতা হারিয়ে প্রতিহিংসায় মেতে উঠেছে। লোভ লালসা দেখিয়ে প্রত্যাখ্যাত হয়ে পদত্যাগী সদস্যদের এখন নানা মাধ্যমে ভয় ভীতি দেখাচ্ছেন। যে কারনে পদত্যাগী সাতজন চরম নিরাপত্তাহীনতায় রয়েছেন।

সূত্রমতে, কাল্ব-এর ব্যবস্থাপনা কমিটির চেয়ারম্যান আগষ্টিন পিউরীফিকেশনের বিরুদ্ধে স্বেচ্ছাচারিতা,বিদ্যমান সমবায় আইন,বিধিমালা ও কালবের উপ-আইন উপেক্ষা করে এককভাবে সিদ্ধান্ত গ্রহন ,ঋণ বিতরনের মত মূল কার্যক্রম বাদ দেয়ার মাধ্যমে খেলাপী বানিয়ে সদস্য ক্রেডিট ইউনিয়নের মৃতবৎ অবস্থাকরণ এবং নানা অনিয়ম ও অব্যবস্থাপনার অভিযোগ এনে ২৯ জুলাই ব্যবস্থাপনা কমিটি থেকে সাত জন সদস্য পদত্যাগ করেছেন বলে জানাগেছে।

ব্যবস্থাপনা কমিটি থেকে পদত্যাগকারি সদস্যরা হচ্ছেন-ভাইস চেয়ারম্যান ফাহমিদা সুলতানা সীমা, সেক্রেটারী মোঃ আরিফ মিয়া, পরিচালক মোঃ আ: মন্নান লোটাস,ডাঃ নোয়েল চার্লস গমেজ, মোঃ হেলাল উদ্দীন, আশীষ কুমার দাশ ও মোঃ আরিফ হাসান।

২৯ জুলাই সমবায় অধিদপ্তরে পদত্যাগী সাতজন সদস্য স্বশরীরে হাজির হয়ে;নিবন্ধক ও মহাপরিচালক শরীফুল ইসলামের সাথে দেখা করে পদত্যাগ পত্রের অনুলিপি প্রদান করেন এবং তারা অতিদ্রুত সমবায় আইন ও বিধিমালা অনুযায়ী অন্তর্র্বতী ব্যবস্থাপনা কমিটি গঠন ও নতুন নির্বাচন আয়োজনে ব্যবস্থা গ্রহন করার জন্যে নিবন্ধকের প্রতি অনুরোধ জানান।

আইন ও বিধি অনুযায়ী যথা সময়ে অন্তর্র্বতী ব্যবস্থাপনা কমিটি গঠন ও নতুন নির্বাচনের ব্যবস্থা করার বিষয়ে নিবন্ধক আশ্বস্ত করেছেন বলে সমবায় অধিদপ্তর সূত্রে জানাগেছে।

তথ্যমতে, সমবায় আইন ও বিধিমালা অনুযায়ী বোর্ডের সংখ্যাগরিষ্ঠ সদস্য পদত্যাগ করলে স্বয়ংক্রিয় ভাবে বোর্ড ভেঙ্গে যায়। তখন সমবায় অধিদপ্তর সমবায় বিধিমালা ৩৮,৩৯ ও ৪০ নং বিধি মেনে অন্তর্র্বতী ব্যবস্থাপনা কমিটি গঠন করে দেয়। অন্তর্র্বতী ব্যবস্থাপনা কমিটি ১২০ দিনের মধ্যে নতুন নির্বাচনের আয়োজনের ব্যবস্থা করে।

উল্লেখ্য যে,সমবায় মাফিয়া খ্যাত আগষ্টিন পিউরীফিকেশনের বিরুদ্ধে ব্যাপক অনিয়ম দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে। দুর্নীতি দমন কমিশনে তার দুর্নীতির তদন্ত চেয়ে আবেদনের স্তুুপ জমেছে।

অন্যদিকে কালবেও তিনি এতদিন সমবায় আইন, বিধিমালা, কালবের উপ-আইন ও সুপ্রীম কোর্টের আদেশ লংঘন করে চেয়ারম্যান পদে অবৈধভাবে ছিলেন। তার পদে থাকার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে কনটেম পিটিশন দায়ের করা আছে।


Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *