এমনকি আইন ভঙ্গ করে তফসিলি ব্যাংকের আদলে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান তথা সেন্ট্রাল এসোশিয়েশন অব খ্রীষ্টান কো-অপারেটিভস,লক্ষীবাজার খ্রীষ্টান কো-অপারেটিভ ক্রেডিট ইউনিয়ন লি:, তুমিলিয়া খ্রীষ্টান কো-অপারেটিভ ক্রেডিট ইউনিয়ন লি:, নাগরী খ্রীষ্টান কো-অপারেটিভ ক্রেডিট ইউনিয়ন লি:,হারবাইদ খ্রীষ্টান কো-অপারেটিভ ক্রেডিট ইউনিয়ন লি:,নয়ানগর খ্রীষ্টান কো-অপারেটিভ ক্রেডিট ইউনিয়ন লি:,দড়িপাড়া খ্রীষ্টান কো-অপারেটিভ ক্রেডিট ইউনিয়ন লি:,রাঙ্গামাটিয়া খ্রীষ্টান কো-অপারেটিভ ক্রেডিট ইউনিয়ন লি:,ধরেন্ডা খ্রীষ্টান কো-অপারেটিভ ক্রেডিট ইউনিয়ন লি:,ভাদুন খ্রীষ্টান কো-অপারেটিভ ক্রেডিট ইউনিয়ন লি:,মঠবাড়ী খ্রীষ্টান কো-অপারেটিভ ক্রেডিট ইউনিয়ন লি: সহ বিভিন্ন প্রাথমিক ও কেন্দ্রীয় সমবায় সমিতিরও আমানত রাখছেন যা সমবায় আইনের স্পষ্ট লংঘন। বিশেষ করে মুসলিম সহ অন্যান্য অখ্রীষ্টান সরকারি কর্মকর্তাদের অবৈধভাবে উপার্জিত কালো টাকা চড়া সুদে আমানত রাখছেন। এমসিসিএইচএসএল এর আমানতের বিপরীতে সুদের হার ব্যাংকের প্রচলিত সুদের হারের দ্বিগুণেরও বেশি। ১৫% পর্যন্ত সুদ দেয়া হয়। সমবায় অধিদপ্তরের অডিট রিপোর্টে নিবন্ধকের সার্কুলার ও ব্যাংকের প্রচলিত সুদের হারের সাথে সঙ্গতি রেখে আমানতের সুদের হার নির্ধারন করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
নিজস্ব প্রতিবেদক : সমবায় আইনে নিবন্ধন নিয়ে রীতিমতো ব্যাংকিং কার্যক্রম চালানোর অভিযোগ উঠেছে দি মেট্রোপলিটন খ্রীষ্টান কো-অপারেটিভ হাউজিং সোসাইটি লি: (এমসিসিএইচএসএল) এর নামে। আর এ কাজ করতে গিয়ে তারা দেশের আর্থিক খাতে ব্যাপক অনিয়ম করছেন ও অরাজক পরিস্থিতি সৃষ্টি করে চলেছেন।
দেশের অর্থখাতে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির এমন গুরুতর উদহরণ সৃষ্টিতে নেতৃত্ব দিচ্ছেন মেট্রোপলিটন খ্রীষ্টান কো-অপারেটিভ হাউজিং সোসাইটি লি:(এমসিসিএইচএসএল)এর চেয়ারম্যান আগষ্টিন পিউরিফিকেশন। যিনি ইতোমধ্যে সমবায়ে মাফিয়া হিসেবে আলোচিত ।
এ দিকে তিনি আইন বহির্ভূতভাবে অবৈধ ব্যাংকিং কার্যক্রমের মাধ্যমে কালো টাকার আমানত গ্রহন করেছে বলে জানাগেছে। সূত্রমতে, সমবায় সমিতি আইন ২০০১ (সংশোধিত ২০০২,ও ২০১৩) এর ২৬ ধারায় বলা হয়েছে- ”বাংলাদেশ সমবায় ব্যাংক ব্যতিত কোন সমবায় সমিতি উহার সদস্য ছাড়া অন্যকোন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের নিকট থেকে আমানত গ্রহন বা ঋণ প্রদান করতে পারবেনা”।
অথচ দি মেট্রোপলিটন খ্রীষ্টান কো-অপারেটিভ হাউজিং সোসাইটি লি:(এমসিসিএইচএসএল)এর চেয়ারম্যান আগষ্টিন পিউরিফিকেশন আইন বহির্ভূতভাবে অখ্রীষ্টান ও অসদস্যদের সঞ্চয়ী বা বিনিয়োগকারি সদস্য নাম দিয়ে তাদের নিকট থেকে আমানত গ্রহন করছেন।
এমনকি আইন ভঙ্গ করে তফসিলি ব্যাংকের আদলে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান তথা সেন্ট্রাল এসোশিয়েশন অব খ্রীষ্টান কো-অপারেটিভস,লক্ষীবাজার খ্রীষ্টান কো-অপারেটিভ ক্রেডিট ইউনিয়ন লি:, তুমিলিয়া খ্রীষ্টান কো-অপারেটিভ ক্রেডিট ইউনিয়ন লি:, নাগরী খ্রীষ্টান কো-অপারেটিভ ক্রেডিট ইউনিয়ন লি:,হারবাইদ খ্রীষ্টান কো-অপারেটিভ ক্রেডিট ইউনিয়ন লি:,নয়ানগর খ্রীষ্টান কো-অপারেটিভ ক্রেডিট ইউনিয়ন লি:,দড়িপাড়া খ্রীষ্টান কো-অপারেটিভ ক্রেডিট ইউনিয়ন লি:,রাঙ্গামাটিয়া খ্রীষ্টান কো-অপারেটিভ ক্রেডিট ইউনিয়ন লি:,ধরেন্ডা খ্রীষ্টান কো-অপারেটিভ ক্রেডিট ইউনিয়ন লি:,ভাদুন খ্রীষ্টান কো-অপারেটিভ ক্রেডিট ইউনিয়ন লি:,মঠবাড়ী খ্রীষ্টান কো-অপারেটিভ ক্রেডিট ইউনিয়ন লি: সহ বিভিন্ন প্রাথমিক ও কেন্দ্রীয় সমবায় সমিতিরও আমানত রাখছেন যা সমবায় আইনের স্পষ্ট লংঘন।
বিশেষ করে মুসলিম সহ অন্যান্য অখ্রীষ্টান সরকারি কর্মকর্তাদের অবৈধভাবে উপার্জিত কালো টাকা চড়া সুদে আমানত রাখছেন। এমসিসিএইচএসএল এর আমানতের বিপরীতে সুদের হার ব্যাংকের প্রচলিত সুদের হারের দ্বিগুণেরও বেশি। ১৫% পর্যন্ত সুদ দেয়া হয়। সমবায় অধিদপ্তরের অডিট রিপোর্টে নিবন্ধকের সার্কুলার ও ব্যাংকের প্রচলিত সুদের হারের সাথে সঙ্গতি রেখে আমানতের সুদের হার নির্ধারন করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
সুদের হার বেশি,আমানতের বিপরীতে ব্যাংকের মত ভ্যাট ট্যাক্স দিতে হয় না,আবার খ্রীষ্টান প্রতিষ্ঠানে আমানত রাখলে কেউ জানতে পারবে না-এসব কারনে মুসলিম পুলিশ কর্মকর্তা, সমবায় অধিদপ্তর সহ বিভিন্ন দপ্তরের দুর্নীতিবাজ সরকারি কর্মকর্তারা তাদের উপার্জিত কালো টাকা এখানে আমানত রাখা নিরাপদ মনে করে রাখছেন বলে নির্ভরযোগ্য সূত্রে জানাগেছে।
সঙশ্লিষ্ট সূত্রে জানাগেছে,এক্ষেত্রে খ্রীষ্টান সদস্যদের আইডি ব্যবহার করে বিশেষ প্রক্রিয়ায় অখ্রীষ্টানদের আমানত গ্রহন করা হয়। খ্রীষ্টানদের সদস্য হওয়া বা আমানত রাখার ক্ষেত্রে বিবাহিতদের ক্ষেত্রে গীর্জার বিবাহ সনদ এবং অবিবাহিতদের ক্ষেত্রে গীর্জার বাপতিস্ম সনদ দাখিল করতে হয়।
আর মুসলিম সহ অন্যান্য অখ্রীষ্টান আমানতকারিদের নামে খ্রীষ্টান হওয়ার ভুয়া এফিডেভিট তৈরি করে ডকুমেন্টস হিসেবে অফিসে সংরক্ষিত করা হয়। কেবল কালো টাকা আমানত রাখার জন্যে কাগজ পত্রে তারা খ্রীষ্টান সাজার অভিনব পন্থা অবলম্বন করে। এমসিসিএইচএসএল-এ মুসলিম নামে অনেক সঞ্চয়ী আমানত একাউন্টের সন্ধান পাওয়া গেছে। নিরাপদে কালো টাকা রাখার নির্ভরযোগ্য প্রতিষ্ঠান হওয়ায় ইতিমধ্যে এমসিসিএইচএসএল বাংলাদেশের ”সুইচ ব্যাংক” আখ্যা পেয়েছে।
এছাড়া সমবায় সমিতি আইন -২০১৩ (সংশোধন) এর ১৮(১) ধারা ভঙ্গ করে এমসিসিএইচএসএল ১৪ টি শাখা কার্যালয় এবং সমবায় সমিতি বিধিমালা-২০০৪ এর ১২(২) বিধি লংঘন করে অনুমোদিত কর্ম এলাকার বাইরে কার্যক্রম পরিচালনা করছে। এসকল বিষয়ে সমবায় অধিদপ্তর পরিচালিত অডিট রিপোর্টে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে সমালোচনা করা হয়েছে।
বেআইনী আমানত গ্রহন,শাখা পরিচালনা ও কর্ম এলাকার বাইরে কার্যক্রম পরিচালনা বন্ধকরন এবং সমবায় আইন,বিধিমালা ও এমসিসিএইচএসএল’র উপ-আইন বহির্ভূত কার্যক্রম থেকে বিরত থাকতে বলা হয়েছে অডিট রিপোর্টে। দি মেট্রোপলিটন খ্রীষ্টান কো-অপারেটিভ হাউজিং সোসাইটি লি: এর অবৈধ ব্যাংকিং কার্যক্রম সম্পর্কে সমবায় অধিদপ্তর অবগত আছেন। তবে মাসোহারা গ্রহনকারি কতিপয় অসাধু কর্মকর্তার পৃষ্ঠপোষকতায় নির্বিঘ্নে অবৈধ কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে সমবায় প্রতিষ্ঠানটি।
উল্লেখ্য,এমসিসিএইচএসএল’র চেয়ারম্যান আগষ্টিন পিউরিফিকেশন সম্প্রতি ১১৩, হোলল্যান্ড, মিশিগান, যুক্তরাষ্ট্রে একটি বাড়ি ক্রয় করেছে। বাড়ি ক্রয়ের সুবাদে তিনি মানি লন্ডারিং প্রক্রিয়ায় আমেরিকায় টাকা পাচার করেছেন বলে সূত্র সমুহ দাবি করছেন।