নিজস্ব প্রতিবেদক : খেলাফত মজলিসের নায়েবে আমীর মাওলানা আহমদ আলী কাসেমী বলেছেন, হাজারো ছাত্র জনতার রক্তের বিনিময়ে অর্জিত অভ্যুত্থানকে নস্যাৎ করে দেওয়ার জন্য পলাতক ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা দিল্লীতে বসে একের পর এক ষড়যন্ত্র করছেন। কিন্তু তিনি ভুলে গেছেন, এবার ছাত্র-জনতা জেগে উঠেছে, তারা রক্ত দেওয়া শুরু করেছে, রাজপথ ছাড়ে নাই। ৫ তারিখেও রাজপথে ছিল এখনো আছে। এই গণ-অভ্যুত্থানের বিরুদ্ধে যে কোন ষড়যন্ত্রকে নস্যাৎ করে দেওয়ার মত সামর্থ তাদের রয়েছে ইনশাআল্লাহ। আমাদের আজকের অবস্থান ঐক্য ও সম্প্রীতির অবস্থান। আজকের এ সমাবেশ ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে সমাবেশ।
ভারতের উচিত বিচারের জন্য শেখ হাসিনাকে বাংলাদেশে ফিরিয়ে দেওয়া। বাংলাদেশের সংখ্যালঘুদের নিয়ে আপনাদের মায়াকান্না বন্ধ করুন। মিডিয়ায় অপপ্রচার বন্ধ করুন। বাবরী মসজিদের মত বাংলাদেশে কোন মন্দির গুড়িয়ে দেওয়া হয়নি। ভারতে একজন সংখ্যালঘু যেরকম নিরাপত্তা পান বাংলাদেশে তার চেয়েও বেশি পান সংখ্যালঘু সম্প্রদায়। এখানে আলেম-উলামা, ইসলামী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা রাত জেগে মন্দির পাহারা দেয়।
আমরা অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাছে জোর দাবি জানাই অবিলম্বে বিগত ১৫ বছরের সকল গুম, খুন, দুর্নীতি ও অর্থপাচারের বিচার শুরু করুন। ফ্যাসিস্ট আওয়ামীলীগ ও তার দোসরদের আইনের কাঠগড়ায় দাঁড় করান।
যারা মানুষ খুন করেছে, যারা খুনের হুকুমদাতা সকলকে আইনের আওতায় আনুন। এদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি ছাত্র-জনতা দেখতে চায়। খেলাফত মজলিস ঢাকা মহানগরী আয়োজিত ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে মিছিল পূর্ব সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
গতকাল ১৫ আগস্ট দুপুর ২টায় রাজধানীর বিজয়নগর মোড়ে ঢাকা মহানগরী দক্ষিণ সভাপতি অধ্যাপক মাওলানা আজীজুল হকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সমাবেশে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব এডভোকেট জাহাঙ্গীর হোসাইন। ঢাকা মহানগরী দক্ষিণ সাধারণ সম্পাদক আবুল হোসেন ও মহানগর উত্তর সাধারণ সম্পাদক প্রিন্সিপাল আজিজুল হকের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত সমাবেশে বক্তব্য রাখেন যুগ্ম-মহাসচিব মুহাম্মদ মুনতাসির আলী, ড. মোস্তাফিজুর রহমান ফয়সল, অধ্যাপক মো: আবদুল জলিল, কেন্দ্রীয় প্রশিক্ষণ সম্পাদক অধ্যাপক কাজী মিনহাজুল আলম, যুব মজলিসের সভাপতি এডভোকেট তাওহিদুল ইসলাম তুহিন, ঢাকা মহানগরী উত্তর সভাপতি অধ্যাপক সাইফুদ্দিন আহমদ খন্দকার, বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্র মজলিস সেক্রেটারি জেনারেল মুহাম্মদ রায়হান আলী, শ্রমিক মজলিস সহ-সভাপতি আলহাজ¦ আমীর আলী হাওলাদার প্রমুখ।