বিআইডব্লিউটিএর আলোচিত ও সমালোচিত সিবিএ নেতা।
নিজস্ব প্রতিবেদক : সরকার পরিবর্তনের সাথে সাথে বদলে গেছে বিআইডব্লিউটিএ’র আওয়ামী লেবাসধারী ও তেলবাজ নেতাদের মুখোশ। আওয়ামীপন্থি সিবিএ নেতা সারোয়ার হোসেন ও আকতার হোসেন গা-ঢাকা দিয়েছেন। বিএনপিপন্থি পদ বঞ্চিত কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের রোষানল থেকে বাঁচতে এই তিনজন গা-ঢাকা দিলেও বোল পাল্টে বিএনপিপন্থি হওয়ার চেষ্টা করছেন।
সংস্থাটির সিবিএ নেতা সারোয়ার হোসেন বন্দর বিভাগে ও আকতার হোসেন ড্রেজিং বিভাগে কর্মরত ছিলেন। সারোয়ার হোসেন দীর্ঘদিন সদরঘাটে কর্মরত থেকে লঞ্চ মালিক ও ইজারাদারদের কাছ থেকে চাঁদা আদায় করতে গিয়ে আলোচনায় আসে।
এরপর আওয়ামী সরকারের আমলে লেবাস পাল্টে নিয়োগ, বদলি, পদোন্নতি, ইজারা ও টেন্ডারবাজী করে মোঘল সম্রাট বনে যায়। তার একান্ত সহযোগী আকতার মিলে পুরো সংস্থাকে নিয়ন্ত্রণে নিয়ে সিন্ডিকেট করে আত্বীয় স্বজনসহ প্রায় ৪০০ জনের চাকরি পাইয়ে দেয়। এমনকি, আওয়ামী লেবাসে সিবিএ নেতা হয়ে একগুচ্ছ রাজত্ব কায়েম করে সিবিএ সভাপতি আবুল হোসেনকে জিম্মি করে দীর্ঘদিন রাজত্ব চালিয়েছেন।
সারোয়ার এতোটাই ক্ষমতাবান ছিল যে এক বছর আগে সিবিএর মেয়াদ শেষ হলেও উচ্চ আদালতের বিচারাধীন মামলার দোহাই দিয়ে নির্বাচন ছাড়াই ক্ষমতা কুক্ষিগত করে রেখে ছিলেন। ফলে প্রায় ১৮০০ কর্মচারীর অধিকাংশই তার উপর ক্ষুব্ধ ছিল।উপর মহলের সাথে তার সখ্যতা থাকায় দুদক এর মামলাসহ নিয়োগ, বদলি, পদোন্নতি, ইজারায় টেন্ডারবাজী করেও বহাল তবিয়তে ছিলেন।
সারোয়ার একজন সাধারণ কর্মচারী হয়েও নামে-বেনামে কোটি কোটি টাকার ব্যবসা, ধনসম্পদ ও ব্যাংক ব্যালেন্সের মালিক। তিনি সংস্থাটির সকল অনিয়মকে নিয়মে পরিনত করতে সাবেক নৌ-মন্ত্রীদের হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করেছেন।
বিআইডব্লিউটিএর কথিত মোঘল সম্রাট সিবিএ নেতা সারোয়ার হোসেন হিসেব বিভাগের ড্রেজিংয়ের আকতার হোসেনকে নিয়ে পুরো সংস্থাটি কজায় নিয়ে নিয়োগ, বদলি, পদোন্নতি, টেন্ডারবাজী করে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। এই তিন দরবেশ বাবার রোষানলে পড়ে অধিকাংশ কর্মচারী হয়রানির শিকার হয়েছে। সারোয়ার হোসেনের স্ত্রী, শালা, শালিকা, ভাই-ভাবী, ভাতিজা-ভাতিজি, চাচাতো ভাই- বোন, মামাতো ফুফাতো ভাই-বোন, খালাতো ভাই-বোন, মামাতো ভাই-বোন, ভাইগ্না-ভাগ্নিসহ পছন্দের ৪০০ জনকে চাকরি দিয়ে মাস্টার কিং হয়েছিল। টাংগাইলের দানবীর সারোয়ার এই সংস্থাকে পারিবারিক প্রতিষ্ঠান বানিয়ে সিবিএ নেতার পরিচয়ে এখন মোঘল সম্রাট।
খিলগাঁও চৌধুরী পাড়ার মাটির মসজিদ সংলগ্ন বি-১০৮ নম্বর বাড়ির ৭ম তলার আলিশান ফ্লাটে বসবাস করলেও নিজেকে কেয়ারটেকার দাবি করে আসছেন। যদি তাই হয় তাহলে টাংগাইলের কাগমাড়ার সারোয়ার তাজমহলের মালিক কে? সারোয়ার ও তার সহযোগী অর্থ বিভাগের পুকুরচুরির হোতা ড্রেজিং বিভাগের বালু ও তেল খেকোর পরিকল্পনাকারী আকতার হোসেন নজির সৃষ্টি করেছেন।
তারা অফিসে না এসে গা-ঢাকা দিলেও অর্থের বিনিময়ে বিএনপি নেতা ও কর্মচারীদের সাথে যোগাযোগ রাখার তথ্য মিলেছে। কেননা, সুযোগ সন্ধানী মুখোশধারীরা বোল পাল্টে পূর্বের চেহারায় ফিরে আসার চেষ্টা করছেন। পরিকল্পনা ভেস্তে গেলে পালিয়ে যাবার প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছেন।