বৈষম্যের শিকার কর্মকর্তা,কর্মচারীদের আল্টিমেটাম: মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ে আওয়ামী লীগের সুফলভোগী কর্মকর্তারা এখনো বহাল তবিয়তে!

Uncategorized অনিয়ম-দুর্নীতি অপরাধ আইন ও আদালত ঢাকা বিশেষ প্রতিবেদন রাজধানী

বিশেষ প্রতিবেদক :  ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে শেখ হাসিনা সরকারের পতন হলেও এখনো তার মদদপুষ্ট কর্মকর্তারা মন্ত্রণালয় থেকে অপসারিত হয়নি। আওয়ামী মদদপুষ্ট এসব দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তারা এখন ভোল পাল্টে তাদের অবস্থান ধরে রাখার চেষ্টা করছেন।


বিজ্ঞাপন

এমনই একজন কর্মকর্তা মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় এখনো বহাল তবিয়তে রয়েছেন। সাবেক মন্ত্রী এড.শ.ম রেজাউল করিম ও মো: আব্দুর রহমানের সকল দুনীতির সহযোগী এবং সুফলভোগী ছিলেন তিনি। অথচ: সেই যুগ্ম সচিব ড. আবু নঈম মুহাম্মদ আবদুছ ছবুর পুনরায় দায়িত্ব পেয়েছেন উপদেষ্টার একান্ত সচিব হিসাবে। ঘটনাটি মন্ত্রণালয়ের সকল শ্রেণীর কর্মকর্তা ও কর্মচারিদের অবাক করেছে।


বিজ্ঞাপন

অনুসন্ধানে জানাগেছে, আওয়ামী মন্ত্রীদের পিএস থাকাকালীন কোন বিএনপি নেতা বা বিএনপির সাথে সংশ্লিষ্ট কাউকেও তিনি তার তার রুমে বসতে দিতেন না বা মন্ত্রীর সাথে দেখা করার সুযোগ দিতেন না।

কোন কর্মকতা পিডিদের অনিয়ম- দুর্নীতির অভিযোগ মন্ত্রীর দপ্তরে জমা দিলেই এই দুর্নীতিবাজ পিএস অভিযোগ পত্রটি মন্ত্রীর নিকট না দিয়ে সংশ্লিষ্ট অভিযুক্ত কর্মকর্তাদের সাথে যোগাযোগ করে অফিসে ডেকে এনে অভিযোগ পত্রটি তাকে দিয়ে দিতেন বিনিময়ে বাগিয়ে নিতেন মোটা অংকের টাকা।

বিগত ৫ই আগষ্ট সরকার পরিবর্তনের পরের দিন ভোর ৬ টায় মন্ত্রণালয়ে এসে ভয়ে তার নেইম প্লেটটি খুলে ফেলেন নিজেই। একজন যুগ্ম সচিব হওয়ার পরেও শুধু ঘুষ বাণিজ্য করার লোভে মন্ত্রীর পিএস হিসাবে দীর্ঘ দিন তদবির করে মন্ত্রণালয়ে পড়ে রয়েছেন এ দলদাস কর্মকতা।

তিনি টাকার বিনিময়ে তার এলাকার বহুলোকের চাকুরী দিয়েছেন অনিয়মের মাধ্যমে। তার দ্বারা বৈষম্যের শিকার প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের কর্মকতা-কর্মচারীরা। প্রাণিসম্পদ অধিদপতরের তর্মকর্তা ও কর্মচারিরা তার অপসারণ ও শাস্তি দাবী করে ব্যানার ঝুলাইয়া দিয়েছেন। সেটিও তিনি প্রভাব খাটিয়ে খুলে ফেলতে বাধ্য করেছেন প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের প্রশাসনকে।

মৎস্য ও প্রানিসমপদ অধিদপ্তরের একাধিক কর্মকতা দূনীতিবাজ ও দুরব্যবহারকারী পিএস ছবুরের অপসারন এবং তার সকল অবৈধ সম্পদের হিসাব নিয়ে চাকুরীচ্যুত করার জন্য মন্ত্রনালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত উপদেষ্টার ব্যক্তিগত হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন ।

এছাড়া বৈষম্যের শিকার প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের সকল পর্যায়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা পরিচালক প্রশাসন ( কৃষকলীগ সভাপতি) সমীরের ভাগনি জামাই পরিচয়দানকারী) ডা: মলয় কুমার শুর, দুর্নীতিবাজ পরিচালক ( বাজেট) ডা: বরুণ দত্ত , নিজের টাকায় মুজিব কণার নির্মাণকারী, টিএ প্রকল্পের সমুদয় অর্থ আত্মসাৎকারী দুর্নীতিবাজ সাবেক পরিচালক ( বাজেট) ডা: মো: আবু সুফিয়ান , প্রকল্পের অর্থ লুন্ঠনকারী পিডি জাহাংগীর আলম, ছাগল প্রকল্পের পিডি শরীফ , পিডি অসীম সহ আওয়ামী সুফলভোগী সকল কর্মকর্তা ও পিডিদের অপসারণ এবং সকল দুর্নীতির তদন্তের দাবী জানিয়েছে। নতুবা তারা অধিদপ্তর এবং মন্ত্রণালয় ঘেরাও দেয়ার কর্মসূচি ঘোষনা করবেন বলে গণমাধ্যম কর্মীদের জানিয়েছেন।


Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *