পুলিশ তুমি কার ?  ক্ষমতার না জনতার ? 

Uncategorized আইন ও আদালত জাতীয় প্রশাসনিক সংবাদ বিশেষ প্রতিবেদন রাজধানী

বিশেষ প্রতিবেদন  : পুলিশ জনগণের বন্ধু”, ”পুলিশ জনতা, জনতাই পুলিশ” এমন শ্লোগানে দুর্ভোগ দুর্যোগে যেকোন পরিস্থিতিতে জনগণের মাঝে থেকে সবসময় সেবা করে গেছেন পুলিশ। কিন্তু তবুও পুলিশ আজ একটি প্রশ্নের মুখে অবস্থান করছে। আর সেটি হচ্ছে পুলিশ আসলে কার? জনতার না ক্ষমতার। পুলিশ কি ক্ষমতাসিনদের দাস না জনগণের সেবক? নিজেদের কাজের মাধ্যমে এই প্রশ্নের একটা উত্তর দিয়ে তারা প্রমাণ করবে যে তাঁরা আসলে কার। প্রত্যেক নাগরিকই পুলিশের চোখে সমান থাকবে। কর্মই তাদের পরিচয় বহন করবে ব্যক্তি পরিচয় কখনোই মূখ্য হবেনা। আইনকে তার নিজস্ব গতিতে চলতে দিবে। কারো ক্ষমতা বা ভালোবাসার প্রভাবে কখনোই আইন তার গতি পরিবর্তন করবেনা। অপরাধী যদি পুলিশের বাপও হয় বা নিরঅপরাধী যদি শত্রুও হয় তবু কোনভাবেই আইনের ব্যত্যয় ঘটবেনা।


বিজ্ঞাপন

আইন তথা সংবিধানকে কলুসিত করার মতো দুঃসাহস কেউ দেখাবেনা। যদি এমন একটা বাস্তব চিত্র আপনার সামনে প্রতিফলিত হয় তাহলে কেমন হবে? আমার সোজা উত্তর ”আমার খুব ভালো লাগবে”। আমার মনে হয় এমন উত্তর শুধু আমারই নয় দেশের সকল সুনাগরিকের কাছেই পাবেন। আর যারা খুশি হবেনা তারা পুলিশকে ব্যবহার করে কোন ফায়দা আদায়ের ধান্ধায় আছে।


বিজ্ঞাপন

বর্তমান সমাজে পুলিশ সম্পর্কে একটি নেতিবাচক ধারণা আছে, আর সেটি হলো পুলিশ ঘুষ খায়। কিন্তু ঘুষ শুধু পুলিশই খায়না, আরো অনেকেই খায়। গন্ধটা পুলিশের একটু বেশি। কিন্তু কেন? ঘুষ দেয়া বা নেয়ার জন্যতো পুলিশ বাহিনীর জন্ম হয়নি নিশ্চয়।

সমাজের সকল অনিয়ম নির্মূল করে একটি সুন্দর শৃংখল সমাজ তথা রাস্ট্র পরিচালনার জন্য পুলিশ বাহিনীর জন্ম। শান্তিপ্রিয় জনগণের আশ্রয় ও বিশ্বাসের জায়গাটি পুলিশ স্টেশন। এখনো যেকোন বিপদে আপদে মানুষ পুলিশের কাছেই ছুটে যায়। কেন? কান্তির জন্য। পুলিশ জনগণের সেই প্রত্যাশা কতটুকু পূরণ করতে পেড়েছে সেটা আমি দায়িত্ব নিয়ে বলতে চাইনা তবে চাইলেই যে শতভাগ সফল হতে পারে সেটা আমি নিঃসন্দেহে বলতে পারি।

গণতান্ত্রিক এই দেশের মালিক জনগণ। আর পুলিশ প্রজাতন্ত্রের বেতনভুক্ত কর্মচারি। আর্থাৎ জনগণের সেবার দায়িত্ব তাদের উপর ন্যস্ত। পুলিশের সেই মহান দায়িত্ব নিয়ে বিভিন্ন সময়ে অনেকের সাথেই আমার আলাপ হয়েছে। তারা কেউ পুলিশের বিপক্ষে নয়। তাদের মতে পুলিশ অত্যন্ত বিচক্ষণ একটি বাহিনী। তাদের মাঝেও সততা ন্যয় নিষ্ঠা আছে। তারা ইচ্ছে করলে ২৪ ঘন্টার মধ্যে একটা সুন্দর সুশৃঙ্খল সমাজ বা রাস্ট্র জনগণকে উপহার দিতে সক্ষম। তবুও কেন পারছেনা ?

এমন প্রশ্নে রাজনৈতিক অনিচ্ছাকেই দায়ি করছেন অনেকে। পুলিশ ইচ্ছা বা অনিচ্ছায় রাজনৈতিক হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার হচ্ছে এটা বলার অপেক্ষা রাখেনা। পিছনের দিকে তাকালেও এই সত্য অনুধাবন করা সহজ হবে যে, যখন যে দল ক্ষমতায় এসেছে তারাই নানা অপকর্ম করার জন্য পুলিশকে ব্যবহার করেছে। আজকে সময় এসেছে বাস্তবতা উপলদ্ধি করার। আশা করছি পুলিশও এই বাস্তবতা থেকে শিক্ষা নিবে। আগে জানবে, বুঝবে তারপর সিদ্ধান্ত নিবে। পুলিশের সুনাম রক্ষার দায়িত্ব পুলিশকেই নিতে হবে।

এখন প্রশ্ন জাগতেই পারে, পুলিশকে ব্যবহার করে যারা রাজনৈতিক ফায়দা লুটতে চায়, পুলিশ তাদের কথা শুনবে কেন?  রাজনৈতিক নেতার অন্যায় আবদার রাখতে হবে এমন কোন কথাতো নিয়োগবিধিতে নাই। তাহলে যারা এসব অন্যায় আদেশ দিবেন বা শোনবেন তারাও অনৈতিক কি ফায়দা লুটছে? সংগত কারনেই বলতে পারি অবশ্যই ফায়দা লুটছে। তা না হলে অন্যের অপকর্মের দায় নিজের কাধে নেয় কোন বোকায়।

এদেশের জনগণের সাথে পুলিশের কোন শত্রুতা নেই। তাহলে সরকার বদল হলে পুলিশের উপর কেন খড়গ নেমে আসে? যেকোন সরকারের একটা নির্দিষ্ট মেয়াদ আছে, কিন্তু পুলিশেরতো কোন মেয়দ নেই, তারা থাকবে যুগযুগান্তর। রাজনীতিতে ক্ষমতার পালা বদলের যুদ্ধে পুলিশ যদি হাতিয়ার না হয় তবে সাধারণ জনগণ সবসময়ই পুলিশকে সম্মান করবে।
এবার আসা যাক রাজনীতি ও পুলিশের উদ্দেশ্য সম্পর্কে কিছু আলোচনা করি। আগেই বলেছি পুলিশ জনগণের সেবক। আবার রাজনীতিও জনসেবার একটা অংশ। তাহলে তারা জনসেবা করতে এসে জনগণের শত্রুতে পরিণত হয় কেন? খুব সহজ জবাব অনৈতিক ফায়দা হাসিল।

একজন ছোটখাট জনপ্রতিনিধি নির্বাচনে বর্তমানে দেশে কোটি কোটি টাকা খরচ করেন। তারা টাকার বিনিময়ে ভোট কেনেন একদিন, আর ক্ষমতার অপব্যবহার করে ভোটারদের কাছ থেকেই সেই টাকা সুদে আসলে তুলে নেন। যদিও নির্বাচনি পোস্টারে লেখা থাকে জনগণের সেবা করার সুযোগ দিন। বাস্তবে তারা সেবার কথা ভুলে গিয়ে পদবীকে ক্ষমতা বা টাকা কামানোর মেশিন মনে করেন। আর সেটা বাস্তবায়নের জন্য প্রজাতন্ত্রের কর্মচারিদের যথেচ্ছা ব্যবহার করেন।

আর সেই ব্যবহারের ফাঁদে আটকে যান কতিপয় বিপদগামি পুলিশ কর্মকর্তা। আর তাদের ব্যক্তি স্বার্থ উদ্ধারের জন্য হিতাহিত জ্ঞান হারিয়ে অর্ডার তামিল করতে ব্যস্ত হয়ে পড়েন। সম্প্রতি এক পুলিশ কর্মকর্তা গণমাধ্যমে বিষয়টি স্বীকার করে বক্তব্যও দিয়েছেন। তিনি বলেছেন আমরা শুধুমাত্র উপর মহলের অর্ডার ক্যারি করি। আসলে আমরা না চাইলেও অনেক কিছু করতে হয়। আমার প্রশ্ন হচ্ছে যদি কারো অন্যায় অবদার রক্ষা করতে না পারেন তাহলে সে কি করতে পারে? বদলী বা মিথ্যা অভিযোগে ফাঁসিয়ে নাজেহাল করতে পারে। যা আমরা অতীত ইতিহাসে দেখেছি। তবে রাজনীতিকে যারা ব্যবসা হিসেবে নিয়ে থাকেন তাদেরকে বয়বট করা উচিৎ। শুধু পুলিশ নয়, এই কাজের দায়িত্বটা পালন করতে হবে সমন্বিতভাবে। যেমন করেছে আমাদের সন্তান তূল্য অনুজ ছাত্ররা। এটা একটা ইতিহাস আর ইতিহাসের শিক্ষাটা আমাদের ধরে রাখা উচিৎ আজীবন। নাহলে আমরা আমাদের সন্তানদের জন্য একটা বাসযোগ্য পৃথিবী রেখে যেতে পারবনা।

তাহলে এই বেড়াজাল থেকে বেড় হওয়ার উপায় কি? এর সমাধান একটাই মাথার পচন ঠেকাতে হবে। ছোট পদে কর্মরত কয়েক হাজার পুলিশ চাইলেও এই বাহিনীর সুনাম নষ্ট করতে পারবেনা। মাথার দিকে যদি পচন ধরে তবে এর অধপতন ঠেকানো কোনভাবেই সম্ভব না। তবে পুলিশকে ধ্বংস করার পেছনে রাজনৈতিক নেতার পাশাপাশি কিছু  অতি উৎসাহী জনগণও সমান দায়ি। কারন তারা নিজেদের অপকর্ম ঢাকতে সামান্য কিছু কাগজের টাকা দিয়ে পুলিশের বিবেক কিনে নেয়। ফলে পুলিশ যখন ঘুষ খাওয়া শিখে যায় তখন সমানতালে খাওয়া শুরু করে। তাই পুলিশসহ সকল ব্যক্তির ঘুষ গ্রহণ বা প্রদান না করার প্রতিজ্ঞা নিতে হবে এবং তা বাস্তবায়নে বদ্ধ পরিকর হতে হবে।

২০২৪ সালের আগস্ট মাসকে অনেকে বিজয় বললেও গণতন্ত্রের জন্য এটা বড় কলঙ্ক। একটা দেশের প্রধানমন্ত্রীসহ একাধিক প্রভাশালী ব্যক্তির পালিয়ে যাওয়াটা মোটেও শুভকর মনে করছিনা। এটা একটা ইতিহাস হয়ে থাকবে। প্রায় ১৬ বছর সরকারে থাকা একটি রাজনৈতিক দলের মন্ত্রী, এমপি, মেয়র, উপজেলা চেয়ারম্যান থেকে শুরু করে ইউপি সদস্য এমনকি দলের অনেক ছোট-বড় নেতা পর্যন্ত পালিয়ে যাওয়ার ঘটনা এর আগে ঘটেছে বলে মনে হয়না। যে ইতিহাস দেশের জন্য কলঙ্ক। তবে এই ইতিহাস থেকে কিছু শিখতে পারলে দেশের জন্য কল্যাণ বয়ে আনবে। পরবর্তী প্রজন্মের জন্য একটি উদাহরণ হতে পারে।  তাই প্রত্যেক প্রভাবশালীকেই এটা মাথায় রেখে কাজ করলে গণতন্ত্রের সঠিক চর্চা বজায় থাকবে। ইতিহাস সাক্ষী আছে যখন যে সরকার ক্ষমতায় এসেছে তাদের সবাই কমবেশি পুলিশকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্য হাসিলের কাজে ব্যবহার করেছে। ক্ষমতা দীর্ঘমেয়াদি করার জন্য পুলিশকে লাঠিয়াল বাহিনীতে পরিণত করেছে। একবার চেয়ারে বসতে পারলেই কেউই আর চেয়ারটা ছাড়তে চাননা। আর চেয়ার যদি ছাড়তে ইচ্ছে না হয় তাহলে এমন কাজ করুননা যাতে জনগণ আপনার হয়ে কথা বলে। আমরা ভুলে গেলে চলবেনা একজন মন্ত্রী বা প্রধানমন্ত্রী কোন দলের নয়, তিনি গোটা দেশের। প্রতিটি নাগরিকই তাঁর শাষনের অধীনে আছে। সুতরাং শাষনের পাশাপাশি অভিবাবকের দায়িত্বটাও পালন করতে হবে সমান তালে।

পুলিশের একটি দীর্ঘ এবং অনেক পুরোনো ইতিহাস আছে। শিল্প বিপ্লবের কারণে ইংল্যান্ডের সামাজিক ব্যবস্থায় অপরাধের মাত্রা বৃদ্ধি পেলে ১৮২৯ সালে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী পার্লামেন্টে পুলিশ গঠনের বিল আনেন। এর প্রেক্ষিতে গঠিত হয় লন্ডন মেট্রো পুলিশ। অপরাধ দমনে বা প্রতিরোধে এর সাফল্য শুধু ইউরোপ নয় সাড়া ফেলে আমেরিকাতেও। ১৮৩৩ সালে লন্ডন মেট্রো পুলিশের অনুকরণে  নিয়ইয়র্ক সিটিতে নগর পুলিশ কর্তৃপক্ষ গঠিত হয়।

পুলিশের ইতিহাস : ১৮৫৮ সালে ভারত শাসনের পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ ইষ্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির নিকট হতে ব্রিটিশ সরকার গ্রহণ করে। পুলিশ অ্যাক্ট ১৮২৯ এর অধীনে গঠিত লন্ডন পুলিশের সাফল্য ভারতে স্বতন্ত্র পুলিশ ফোর্স গঠনে ব্রিটিশ সরকারকে অনুপ্রাণীত করে। ১৮৬১ সালে ব্রিটিশ পার্লামেন্টে পুলিশের জন্য আইন পাশ হয়। এই আইনের অধীনে ভারতের প্রতিটি প্রদেশে একটি করে পুলিশ বাহিনী গঠিত হয়। প্রদেশ পুলিশ প্রধান হিসাবে একজন ইন্সপেক্টর জেনারেল অব পুলিশ এবং জেলা পুলিশ প্রধান হিসাবে সুপারিটেনটেন্ড অব পুলিশ পদ সৃষ্টি করা হয়। ব্রিটিশদের তৈরীকৃত এই ব্যবস্থা এখনও বাংলাদেশ পুলিশে প্রবর্তিত আছে।

১৯৪৭ সালে দেশ ভাগের পর বাংলাদেশের পুলিশের নাম প্রথমে ইষ্ট বেঙ্গল পুলিশ রাখা হয়। পরবর্তীতে এটি পরিবর্তিত হয়ে ইষ্ট পাকিস্তান পুলিশ নাম ধারণ করে। ১৯৭১ সালের বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের পূর্ব পর্যন্ত এই নামে পুলিশের কার্যক্রম অব্যহত থাকে।

মুক্তিযুদ্ধে পুলিশের ভূমিকা : বাংলাদেশ পুলিশের ইতিহাসে সবচেয়ে গৌরবোজ্জ্বল সময় হল ১৯৭১ সাল। মহান মুক্তিযুদ্ধে একজন ডেপুটি ইন্সপেক্টর জেনারেল, বেশ কয়েকজন এসপি সহ প্রায় সকল পর্যায়ের পুলিশ সদস্য বাঙ্গালীর মুক্তির সংগ্রামে জীবনদান করেন। ১৯৭১ সালের মার্চ মাস হতেই প্রদেশের পুলিশ বাহিনীর উপর কর্তৃত্ব হারিয়েছিল পাকিস্তানের প্রাদেশিক সরকার। পুলিশের বীর সদস্যরা প্রকাশ্যেই পাকিস্তানের বিরুদ্ধে অবস্থান নেন। তারা ২৫ শে মার্চ ১৯৭১ তারিখে ঢাকার রাজারবাগের পুলিশ লাইন্সে ২য় বিশ্বযুদ্ধে ব্যবহৃত বাতিল ৩০৩ রাইফেল দিয়ে পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর অত্যাধুনিক যুদ্ধাস্ত্রের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলেন। পাকিস্তানি হানাদারদের বিরুদ্ধে প্রথম সশস্ত্র প্রতিরোধ গড়ে তোলেন বাংলাদেশ পুলিশের সদস্যরা। এই সশস্ত্র প্রতিরোধটিই বাঙ্গালীদের কাছে সশস্ত্র যুদ্ধ শুরুর বার্তা পৌছে দেয়। পরবর্তীতে পুলিশের এই সদস্যরা ৯ মাস ব্যাপী দেশজুড়ে গেরিলা যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন এবং পাকিস্তানি সেনাদের বিরুদ্ধে প্রবল প্রতিরোধ গড়ে তোলেন। ১২৬২ জন শহীদ পুলিশ সদস্যের তালিকা স্বাধীনতা যুদ্ধের দলিল পত্রে উল্লেখ পাওয়া যায়।

মুক্তিযুদ্ধের পর বাংলাদেশ পুলিশ নামে সংগঠিত হয়। বাংলাদেশ পুলিশ পৃথিবীর অন্যান্য দেশের পুলিশ বাহিনীর মতো আইন শৃঙ্খলা রক্ষা, জনগনের জানমাল ও সম্পদের নিরাপত্তা বিধান, অপরাধ প্রতিরোধ ও দমনে প্রধান ভূমিকা পালন করে থাকে। পুলিশের সদস্যরা তাদের উদ্ভাবনী কৌশল আর পেশাদরিত্ব দ্বারা সংঘটিত অপরাধ মোকাবিলায় প্রতিনিয়ত সৃজনশীলতার পরিচয় দিচ্ছে। তবে কিছু বিপদগামি সদস্যের ঘুষ বাণিজ্য ও রাজনৈতিক লেজুর বৃত্তিতার ফলে এই বাহিনী আজ জনগণের কাছে প্রশ্নবিদ্ধ।

বর্তমানে বাংলাদেশ পুলিশের তথ্য অনুযায়ী ৬০ হাজার বর্গমাইল এলাকার এই দেশের ১৬ কোটি ২২ লাখ ২১ হাজার জনগণের জন্য ২ লাখ ১২ হাজার ৭২৪ জন পুলিশ সদস্য কর্মরত আছেন। আর এসব পুলিশ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অধীনে কাজ করছেন।

সবশেষে আমি আশা করছি আমাদের ছাত্রদের আন্দোলন বা সহযোগীতার ফলে একটি সোনার বাংলার স্বপ্ন দেখছে জনগণ। আর সেই স্বপ্ন পুরণে সবাইকে সজাগ থাকতে হবে। যার যার অবস্থান থেকে দুর্নীতি ও অনিয়মের বিরুদ্ধে সোচ্চার থাকতে হবে। আর এই যুদ্ধে পুলিশ হবে জনতার, তারা কোন ক্ষমতার চেয়ারে তেল দিবেনা।
লেখক :সিনিয়র সাংবাদিক ও সভাপতি, রেলওয়ে জার্নালিস্ট এসোসিয়েশন। 


Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *