প্রধান উপদেষ্টা ও শিক্ষা মন্ত্রনালয়ের উপদেষ্টার নিকট স্মারকলিপি প্রেরণ  : সভাপতি ও ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে ছাত্র জনতার মানববন্ধন প্রতিবাদ সমাবেশ

Uncategorized অনিয়ম-দুর্নীতি অপরাধ আইন ও আদালত গ্রাম বাংলার খবর বিশেষ প্রতিবেদন শিক্ষাঙ্গন সারাদেশ

!! দপ্তরী কাঠের ছটি দিয়ে পেঠাত শিক্ষাথীদের!! বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের বন্যাকালীন সময়ে যাতায়াতের জন্য নৌকা নিয়ে যাওয়া হয় পারিবারীক পুকুরে মাছের খাবার দেয়ার কাজে !! ওয়াশ ব্লক শিক্ষার্থীদের ব্যবহারের সুযোগ না দিয়ে ভাড়া দেয়া হয় ঠিকাধারী প্রতিষ্ঠানের নির্মাণ সামগ্রী রাখার কাজে !! 


বিজ্ঞাপন
বিদ্যালয়ের সভাপতি ও ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক দুই সহোদর।

 

 

বিশেষ প্রতিবেদক:  বিদ্যালয়ের সভাপতি ও ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক এ দুই সহোদরে বিরুদ্ধে ছাত্র জনতার ব্যানারে বিক্ষোভ মিছিল, মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। রবিবার দুপুরে সুনামগঞ্জের তাহিরপুরের উওর বড়দল ইউনিয়নের (পূর্বেও লাউর রাজ্য দূর্গ সংলগ্ন) ব্রাম্মণগাঁও আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের আয়োজনে ছাত্র জনতার ব্যানারে বিক্ষোভ মিছিল, মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।


বিজ্ঞাপন

বিক্ষোভ মিলি, মানববন্ধন , প্রতিবাদ সমাবেশে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলরত শিক্ষার্থী ও এলাকার বাহিওে বিভিন্ন উচ্চ শিক্ষা প্রতিষ।টনে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থী এবং এলাকার মানুষজন অংশ গ্রহন কওে শিক্ষার্থীদেও যৌক্তিক দাবির প্রতি সহমত পোষণ করলে ওই মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ ছাত্র জনতার দাবিতে পরিণত হয়।

উপজেলার ব্রাম্মণগাঁও আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয় প্রাঙ্গনে মানববন্ধন শেষে প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তব্য রাখতে গিয়ে বিদ্যালয়ে পড়–য়া বিক্ষুদ্ধ শিক্ষার্থীরা তাদের বক্তব্য রাখতে গিয়ে বলেন, বিগত কয়েক বছর ধরে উপজেলার উওর বড়দল ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক পারিবারীক লাটিয়াল বাহিনীর জোরে ও দলীয় প্রভাব খাঁটিয়ে উক্ত বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি হিসাবে তিন মেয়াদে দায়িত্বপালন করেন।

একই বিদ্যালয়ে তার সহোদর ভাই আবু তাহের কে অনৈতিক আর্থীক সুবিধা দিয়ে শুরুতেই নিয়োগ কমিটিকে ম্যানেজ করে প্রথমে সমাজ বিজ্ঞানের শিক্ষক ও পরবর্তীতে দলীয় সুযোগ কাজে লাগিয়ে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের পদে বসান গুণধর সভাপতি সহোদর আবু সাঈদ। এরপর ওই দুই সহোদও পরস্পরের যোসাজসে বিদ্যালয়ের শিক্ষার মান বৃদ্ধিতে নজর না দিয়ে বছরের পর বছর ধওে নিজের পারিবারীক ব্যবসায়ীক প্রতিষ।ঠানে রুপান্তরিত করেন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটিকে।

দুই সহোদরের লাগামহীন দুর্নীতি, লোপাটের কারণে বিদ্যালয়ের ছাত্র/ছাত্রীসহ এলাকার সচেতন নাগরিক ও অবিভাবক মহল ক্ষোভে ফুসে উঠলেও আওয়ামী সরকারের শাসনামলে মামলা, হামলার ভয়-ভীতি দেখানো, তাদের লালিত লাটিয়াল বাহিনী ভয়ে সাধারন শিক্ষার্থীরা, নির্যাতিত শিক্ষক, অবিভাবক এমনকি এলাকার সাধারন মানুষজনেরাও মুখ খোলার সাহস পায়নি।

শিক্ষার্থীরা আরো বলেন, তৎকালীন সময়ে আওয়ামী লীগ দলীয় প্রভাবে প্রধান শিক্ষক নিয়োগ না দিয়ে টানা তিন বারের সভাপতি আবু সাঈদ তার সহোদরকে যোগ্যতা না থাকার পরও কৌশলে সমাজ বিজ্ঞান শিক্ষক পদে থাকা আবু তাহেরকে গেল ৮বছর যাবৎ ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের চেয়াওে বসিয়ে রেখেছিলেন।

৪র্থ শ্রেণীর কর্মচারী নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি গোপন করে অসৎ উপায় অবলম্বনের মাধ্যমে অনৈতিক সুবিধা নিয়ে কর্মচারীদের নিয়োগ দিয়েছেন মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারের সাথে আতাত করে। উপবৃত্তির কার্ড বিতরনে ২০০টাকা করে গ্রহণ করেছে এবং অনেক শিক্ষার্থীর উপবৃত্তির টাকা ওই দুই সহোদর ( আবু সাঈদ-আবু তাহের) নিজেদের ও পরিবারের সদস্যদেও এমনকি স্বজনদের সিমকার্ড ব্যবহার করেও বিপুল পরিমাণ অর্থ আত্মসাৎ করেছেন। শিক্ষার্থীর চাহিদার তুলনায় দ্বিগুন চাহিদা দেখিয়ে সরকারী বই উত্তোলণ করে তা রাতের আধারে গোপনে বিক্রি করে দিয়ে সরকারের বিপুল পরিমান অর্থের অপচয় করেছে এবং নিজেরা আর্থিক ভাবে লাভবান হয়েছেন।

অভিযোগে শিক্ষাথীলা আরো বলেন, বন্যার সময় ছাত্র/ছাত্রীদের বিদ্যালয়ে যাতায়াতের সুবিধার্থে বেসরকারি এনজি সংস্থা “ওর্য়াল্ড ভিশন” কর্তৃক দেয়া একটি নৌকা তাও আত্মসাতের উদ্দেশ্যে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক কাউকে না জানিয়ে নিজেদের পারিবারীক পুকুরে মাছের খাবার দেয়ার বিতরনের কাজে ব্যবহার করেছেন। সরকারী ভাবে নতুন ভবন আসলে পুরাতন ভবন ভেঙ্গে তার টিন, দরজা, জানালা ও কাঠ সহ পুরাতন ভবনের যাবকীয় সামগ্রী আত্মাসাতের উদ্দেশ্যে নিজেদের বাড়ি নিয়ে যায় আবু সাঈদ-আবু তাহের।

বেসরকারি এনজিও সংস্থা ব্র্যাক কর্তৃক ওয়াস ব্লকে ব্যবহারের জন্য হারপিক, সাবান ও হ্যান্ডওয়াশ দিয়েছিল তাও শিক্ষার্থীদেও কোনদিন ব্যবহারের সুযোগ না দিয়ে সমুদয় পণ্য উনাদের নিজ বাড়িতে নিজেরা ব্যবহার করার জন্য নিয়ে যান।

বিভিন্ন সময় শিক্ষার্থীদের সার্টিফিকেটে বিভিন্ন ভুল থাকায় তাদের চাকুরীর দরখাস্তে সমস্যায় পড়তে হয়েছে বারবার। এ বিষয়ে বার বার ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের দ্বারস্ত হলে মোটা অঙ্কের টাকা নিয়েও কোন সূরাহা করেননি।
বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণীর শিক্ষার্থীদের নিকট থেকে চাঁদা তুলে বৈদ্যুতিক ফ্যান কিনে তাও শিক্ষার্থীদের ব্যবহার করতে দেয়নি। বিদ্যালয়ের ওয়াশব্লক শিক্ষার্থীদের ব্যবহার করতে না দিয়ে তা নতুন ভবন নির্মাণকারি ঠিকাধারী প্রতিষ্ঠানের নির্মাণ সামগ্রীর রাখার গুদাম হিসাবে ভাড়া দিয়ে মাসে মাসে ভাড়ার টাকাও আত্বসাৎ করেছেন ওই দুই সহোদর।

শিক্ষার্থীদের বেত্রাগাত নিষিদ্ধ হলেও ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক ও তার পরিবারের সদস্য অফিস সহকারি (কেরানী) কে দিয়ে কাঠের ছটি দিয়ে পেটাতে ইন্ধন যুগিয়েছেন। ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক ও তার ভাই সভাপতি যোগসাজসে তাদের পরিবারের দুই সদস্যকে অনৈতিক পন্থায় বিদ্যালয়ে চাকুরিতে নিয়োগ দেয় উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারকে মোটা অংকের ঘুষ দিয়ে ম্যানেজ করে। ভূমিদাতা না হয়েও আবু সাঈদ-আবু তাহের তাদেও অপর দুই সহোদর ভাইকে বিদ্যালয়টিতে আজীবন ব্যবসা করতে দাতা সদস্য মনোনীত করে ।

জেএসসি ও এসএসসি পাশের সার্টিফিকেট নিতে গেলে ৫০০ টাকা করে আদায় করে তা নিজেরাই আত্মসাৎ করতেন ওই দুই সহোদর। সরকার কর্তৃক মেধাবী শিক্ষার্থীদের জন্য ট্যাব দেওয়া হলে মেধাবীদের বাদ দিয়ে উনার পরিবারের সদস্য শিক্ষার্থীদের মাঝে ওই সব ট্যাব বিতরণ করেন, যা দিয়ে তারা ফ্রি ফায়ার খেলা, ফেসবুক, ইউটিউব চ্যানেলে বিনোদন উপভোগ করেন । দপ্তরী শাহজাহান ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের সকল অপকর্মে সহযোগিতার পাশাপাশি তাকে লাটিয়াল হিসেবে ব্যবহার করত ।

বিদ্যালয়ের দপ্তরী হয়েও বিদ্যালয়ে অভ্যন্তরে বিভিন্ন সময়ে নেয়া পরীক্ষার হলে শিক্ষকদের ন্যায় হল পরিদর্শক হিসাবে দায়িত্বপালন করানো এবং পরীক্ষার নির্ধারিত সময় শেষ হওয়ার পুর্বেই শিক্ষার্থীদের খাতা জোর করে টেনে নিয়ে যাওয়ার মত গুরতর অপরাধ করে আসছিলো দপ্তরী। এসব কাজে ইন্দন যোগাতেন সেই গুণধর সভাপতি আবু সাঈদ -তার সহোদর ভাই ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক আবু তাহের।

প্রতিবাদ সমাবেশে সমাপনী বক্তব্যে বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণীর শিক্ষার্থী সোরাব আলী বলেন, উল্লেখিত বিষয়গুলো দুদকের দায়িত্বশীল অফিসারের মাধ্যমে নিরপেক্ষ সূষ্ট তদন্ত পূর্বক তিন বারের সভাপতি আবু সাঈদ, তার সহোদর ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক আবু তাহের, তাদের সময়ে নিয়োগকৃত কর্মচারীদেরর অপসারণ, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারের দূনীর্তি ও বিদ্যালয়ের সরকারি বরাদ্দ সহ বেসরকারি আয় ব্যায় অনুদানের বিপুল পরিমাণ আত্বসাতকৃত অর্থ উদ্যারসহ দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাইঅন্তবর্তীকালীন সরকারের শিক্ষা মন্ত্রনালয়ের উপেেদষ্টা ও প্রধান উপদেষ্টার নিকট।

এ জন্য বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে তাহিরপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার(ইউএনও’)র মাধ্যমে স্মারলিপি প্রেরণ করা হয়েছে উপদেষ্টাগণের নিকট। সমাবেশে শিক্ষার্থীদের মধ্যে আরো বক্তব্য রাখেন,শাকিল হাসান, আবু সুফিযান, সাকির উদ্দিন, আসাদুল হাসান প্রমূখ।

গত ৫ আগষ্ট আওয়ামী লীগ সরকার বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মুখে পতনের পর সুনামগঞ্জের তাহিরপুরের উওর বড়দল ইউনিয়নের (পূর্বের লাউর রাজ্য দূর্গ সংলগ্ন) ব্রাম্মণগাঁও আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের তিন বারের সভাপতি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আবু সাঈদ ও তার সহোদর বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক ( সমাজ –বিজ্ঞান) আবু তাগের আত্বগোপনে থাকায় তাদেও ব্যবহ্নত ব্যাক্তিগত মোবাইল ফোনে বার বার কল করা হলেও ফোনের সুইস বন্ধ থাকায় তাদের বিরুদ্ধে শিক্ষাথীদের নানা অভিযোগ প্রসঙ্গে কোন রকম বক্তব্য পাওয়া যায়নি।


Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *