# একই মামলায় আসামী সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হক # সাবেক শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান # ছাত্র-জনতার ওপর হামলার ঘটনায় আসামী হলেন কয়লা ব্যবসায়ী ইউপি চেয়ারম্যান ইউনুছ আলী #
বিশেষ প্রতিনিধি : সিলেট নগরীর দরগাগেইট এলাকায় ছাত্রজনতার ওপর হামলা ও গুলিবর্ষণের ঘটনায় আওয়ামী লীগ সরকারের সাবেক মন্ত্রী, উপদেষ্টা, প্রতিমন্ত্রী, এমপি সহ ৮৬ নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। ওই মামলায় সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলার দক্ষিণ বড়দল ইউনিয়নের সাদেরখলা গ্রামের (প্রয়াত সাবেক মেম্বার) আব্দুর রহমানের ছেলে বড়ছড়া শুল্ক ষ্টেশনের কয়লা ব্যবসায়ী ও আওয়ামী লীগ নেতা ওই ইউনিয়ন পরিষদের বর্তমান ইউপি চেয়ারম্যান ইউনুছ আলীকে আসামী করা হয়েছে।
ইউনুছ সিলেট মহানগরীর নগরীর বড়বাজার রহমান টাওয়ারের স্বত্বাধিকারী হিসাবে পরিবার নিয়ে বসবাস করে আসছিলেন। গতকাল সোমবার (২৬ আগস্ট) সিলেটের অতিরিক্ত চীফ মেট্টোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলাটি দায়ের করেন সিলেট মহানগরীর কাজিটুলা এলাকার মাহবুব হোসাইন। মামলায় ৮৬ জনের নামোল্লেখ করে অজ্ঞাত নামা ৪০০/৫০০ জনকে আসামি করা হয়।
একই মামলায় অন্যান্য আসামীরা হলেন সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, সাবেক শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান কামাল, সহ সাবেক এমপি , প্রতিমন্ত্রী সহ ৮৬ জন।
মামলার বাদী সিলেট মহানগরীর কাজিটুলা এলাকার মাহবুব হোসাইন জানান, তাহিরপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের আইন বিষয়ক সম্পাদক ইউপি চেয়ারম্যান ইউনুছ আলী সিলেটে বসবাস করার সুবাধে সিলেটে বসবাসরত সুনামগঞ্জ-১(তাহিরপুর-জামালগঞ্জ-ধর্মপাশা মধ্যনগর) আসনের সদ্য সাবেক সংসদ সদস্য রনজিত চন্দ্র সরকারের একান্ত সহযোগী হয়ে উঠেন এমনকি রনজিত চন্দ্র সরকারের নিয়ন্ত্রণে থাকা সব ধরণের চোরাচালান, জাদুকাটা নদীর বালি মহাল , ওই নদীতে অবৈধভাবে চলে আসা ড্রেজার সিন্ডিক্যাট সহ একাধিক অপর্কশ ও অবৈধ ব্যবসার সাথে জড়িয়ে পড়েন ওই চেয়ারম্যান এবং মামলার থাকা আরো একাধিক আসামীরা।
সিলেটের রাজনীতে জড়িয়ে ওই চেয়ারম্যান গত ১৯ জুলাই সিলেট নগরীর দরগাগেইট এলাকায় ছাত্র জনতার ওপর হামলা ও গুলিবর্ষণের ঘটনার সময়ও সরাসরি জড়িত ছিলেন।
বাদী আরো বলেন, মামলায় অভিযুক্ত আসামীরা পরস্পরের যোগসাজসে পূর্ব পরিকল্পিভাবে ওই দিনের ঘটনায় নিরস্ত্র ছাত্র জনতার ওপর দেশিয় অস্ত্রসস্ত্র ও আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে ঝাপিয়ে পড়ে।
আন্দোলনরত ছাত্র জনতার ওপর গুলি ও ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে জনমনে আতঙ্ক সৃষ্টি ও কতেক অজ্ঞাত পুলিশ অফিসার হত্যাযজ্ঞ শুরু করে। ২০০/৩০০ ছাত্রজনতার জনের ওপর তারা ঝাপিয়ে পড়ে।
গতকাল সোমবার রাতে মামলায় অভিযুক্ত আসামী সুনামগঞ্জের তাহিরপুরের দক্ষিণ বড়দল ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ইউনুছ আলীর নিকট মামলার প্রসঙ্গে জানতে চ্ইালে তিনি নিজেকে নির্দোষ দাবি করে বলেন, আমি ২০২২ সালে আওয়ামীলীগ দলীয় পদ থেকে পদত্যাগ করি।
রনজিত চন্দ্র সরকারের সাথে ব্যাক্তিগত সম্পর্ক থাকার কথা স্বীকার করলেও কোন ধরণের চোরাচালান কিংবা অবৈধ ব্যবসার সাথে তিনি জড়িত নন জানিয়ে ওই চেয়ারম্যান আরো বলেন, এটা একটা সাজানো মিথ্যা মামলা ,আমি ওই দিনের ঘঠনা সম্পর্কে কিছুই জানিনা, হয়রানি করার জন্য আমাকে আসামী করা হয়েছে।