সিলেট প্রতিনিধি : ভারতের বিভিন্ন বাঁধের গেইট খোলে দেওয়ায় ভারত থেকে আসা উজানের ঢলের পানিতে প্লাবিত হয়েছে দেশের দক্ষিণা-পূর্বাঞ্চলের ১১টি জেলা। এতে করে পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন প্রায় অর্ধকোটি মানুষ। এই পরিস্থিতিতে অন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মতো সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলার কলকলিয়া ইউনিয়নের সুনামধন্য বিদ্যাপীঠ সফাত উল্লাহ উচ্চ বিদ্যালয় জগদীশপুর এর শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিচ্ছেন বন্যার্তদের প্রতি। কলকলিয়া ইউনিয়নের শাহজালাল কলেজের কেউ কেউ ইউনিয়নের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ঘুরে ত্রাণ সংগ্রহ করছেন। গণত্রাণ সংগ্রহ করছেন শাহজালাল কলেজের ছাত্ররা।
বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ঈশিতা দাস রাখি বলেন, ভারতের উজান থেকে আসা পানিতে বন্যাকবলিত হয়ে নিদারুণ দুর্ভোগে পড়েছেন দেশের ফেনি, কুমিল্লাসহ বিভিন্ন জেলার মানুষ। অনেকে বসতভিটা হারিয়েছেন। কেউ স্বজনহারা হয়েছেন। জলাবদ্ধ হয়ে ঝুঁকিতে আছেন বহু মানুষ। বন্যাপিড়ীত মানুষদের এই দুর্দিনে তারা মানবিক সহায়তা করছে। বন্যা বিধস্ত এলাকায় পরবর্তীতে নিরাপদ আশ্রয়স্থল গঠনেও তারা কাজ করবে। একই সঙ্গে আন্তর্জাতিক নদীর ক্ষেত্রে পানির ন্যায্য অধিকার ও বন্টনে কার্যকরী ব্যবস্থা গ্রহণে সরকারের প্রতি আহ্বান জানান তারা।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, সকল শ্রণীর ব শিক্ষার্থীরা সঙ্ঘবদ্ধভাবে তহবিল সংগ্রহ করছেন। তারা তাদের নিজস্ব তহবিল থেকে বানভাসিদের জন্য সাহায্য সংগ্রহ করছেন। এতে অংশ নিচ্ছেন বিদ্যালয়ের বহু শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীও।ছাত্র ছাত্রীরা বিদ্যালয়ের পুরাতন ভবনের সামনে ত্রাণ সংগ্রহ করছেন। এতে নগদ অর্থ ছাড়াও জামা-কাপড় দিয়ে সহযোগিতার হাত বাড়াচ্ছেন শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শব্বির আহমদ চৌধুরী বলেন, বানভাসিদের মানবিক সহযোগিতায় আমরা সংঘবদ্ধভাবে কাজ করছি। সকলস্তরের মানুষ এতে সারা দিচ্ছেন।এখন পর্যন্ত নগদ টাকাসহ জামাকাপড়, সংগ্রহ করা হয়েছে। শাহজালাল কলেজের ছাত্ররা তাদের দায়িত্বে উপজেলার সঙ্গে সমন্বয় করে এই অর্থ যথাযথভাবে পৌঁছে দেওয়া হবে।
এসময় সার্বিক সহযোগিতায় ছিলেন, বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক বিজন বিহারী দাস, সহকারী শিক্ষক মহিবুল হাসান চৌধুরী, সহকারী শিক্ষক মহিবুর রহমান, সহকারী শিক্ষক সালেনুর ইসলাম, সহকারী শিক্ষক মিহির কান্ত দাশ, সহকারী শিক্ষক রিয়াজ উদ্দিন, সহকারী শিক্ষিকা রুমন আচার্য্য, সহকারী শিক্ষক কিশলয় মুখার্জী, অফিস সহকারী হাফিজুল ইসলাম চৌধুরী।