ফরিদপুরের চরভদ্রাসনে সরকারীপ্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষকগণ ব্যাপকভাবে অনুপস্থিত

Uncategorized অনিয়ম-দুর্নীতি অপরাধ আইন ও আদালত এইমাত্র খুলনা গ্রাম বাংলার খবর জাতীয় বিশেষ প্রতিবেদন শিক্ষাঙ্গন সারাদেশ

ফরিদপুর প্রতিনিধি : ফরিদপুর জেলায় চরভদ্রাসন উপজেলায়বিভিন্ন প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষকগণ ব্যাপক হারে অনুপস্থিত শিক্ষা কার্যক্রম মারাত্মক ব্যাহত হচ্ছে।


বিজ্ঞাপন

সরজমিন, গত ১৩ই আগস্ট চর হরিরামপুরের আব্দুল আজিজ মো: আলীবেপারী সরকার প্রাথমিক বিদ্যালয় কর্মরত ৩জন শিক্ষকএতে উপস্থিত আছেন ২জন,১জন শিক্ষক অনুপস্থিত তিনি আশরাফুজ্জামান,এতে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষককে সহকারী শিক্ষকেরছুটির কোন পেপার দেখাতে পারেনি।


বিজ্ঞাপন

পাশেই রয়েছে একটি মাদ্রাসা নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক অভিভাবক বলেন স্কুলে তো শিক্ষকরা উপস্থিত হয়ই না, তাতে মাদ্রাসায় টাকা দিয়ে পড়াচ্ছি ছেলেমেয়েদের।

চর হরিরামপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় ৫ জন শিক্ষক কর্মরত , একজন ছুটিতে ৩জন শিক্ষক অনুপস্থিত এরা প্রধান শিক্ষক রেহানা পারভিন,সহকারী শিক্ষক ইউসুফ আলী,সহকারী শিক্ষক সেকআঃ কাইয়ুম।

২১ নং ইমান খারডাংগী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় তিনজন শিক্ষক একজন ছুটিতে, দুজন শিক্ষক পাঠদানরত রয়েছে।

১ নং হরিরামপুর সরকারীপ্রাথমিক বিদ্যালয়, শিক্ষক ৪জন, একজন উপস্থিত তিনজন অনুপস্থিত এরা হলো ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক ফরিদ মিয়া সহকারী শিক্ষক মাহমুদা ইসলাম,সরকারি শিক্ষক মোস্তফা কামাল।এসপি ডাংগী সরকার প্রাথমিক বিদ্যালয় পৌনে তিনটা স্কুলে তালা দেখা যায়। সালেপুর সরকার প্রাথমিক বিদ্যালয় ওসাদারী বিশ্বাসের ডাঙ্গী সরকার প্রাথমিক বিদ্যালয় অনুপস্থিতির তথ্য আছে।

১৮ আগস্ট দক্ষিণ চর সুলতানপুর সরকারীপ্রাথমিক বিদ্যালয় প্রধান শিক্ষক বেলায়েত হোসেন, চরঅযোধ্য সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জালাল উদ্দিন, গোলাপ খান ডাঙ্গি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শামসুদ্দোহা, আব্দুল মজিদ খারডাংগী সরকারীপ্রাথমিক বিদ্যালয়েরপ্রধান শিক্ষকদের নিয়ে আন অফিসিয়ালে স্কুল ফাঁকি দিয়ে মিটিং করছে।

এ ব্যাপারে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মহিউদ্দিন উদ্দিনকে জানানো হলে তিনি উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তাকে জান্নাতে বলেছেন। আব্দুল সিকদার ডাঙ্গী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়েরপ্রধান শিক্ষক এস এম শাহীন আনোয়ার কে অনুপস্থিত পাওয়া যায়, কিন্তু হাজির খাতায় তার স্বাক্ষর আছে, জৈনিক এক ছাত্র জানিয়েছেন, প্রধান শিক্ষক কে ক্লাসেপাওয়া জানা. একাধিকবার আব্দুল শিকদার ডাঙ্গী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে গিয়ে প্রধান শিক্ষককে পাওয়া যায়নি।

এটাকে অনেকেই পারিবারিক স্কুল বলে আখ্যায়িত করেছে ।একই বাড়ির ৪জনশিক্ষক।একাধিক দিনে বিদ্যালয়ে গেলে কোন শিক্ষককে পাঠদান অবস্থায় দেখা যাযনি।যানাযায় একজনশিক্ষক পিটিইপ্রশিক্ষণ অবস্থা রয়েছে।এদেরকে বিভিন্ন বিদ্যালয়ে বদলি করে শিক্ষারমান উন্নয়ন দরকার বলে অনেকেই অবিযোগ করেছে।

গত৭ই আগস্ট চরঝাউকান্দার হুকুমআলী চোকদার সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের৩জন শিক্ষক, ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক শওকত আলী মৃধা অফিসিয়াল কাজে অফিসে থাকায়, সহকারি শিক্ষক জাহিদ হোসেন ছাত্র-ছাত্রীদের পাঠদান করছে।সরকারি শিক্ষক সেলিম রেজা ছুটিতে রয়েছে।বিদ্যালয় ছাত্রছাত্রীদের স্কুল গমনে চরম ঝুকিতে রাস্তায় বন জঙ্গলের ভরপুর থাকায় শিক্ষার্থী অনুপস্থিতি অনেক কম।

চর কল্যাণপুর সরকারীপ্রাথমিক বিদ্যালয় ৪জন শিক্ষক, ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মাহবুব হোসেন। বিদ্যালয়ে দুজন শিক্ষক উপস্থিত, সহকারী শিক্ষক ৩জন। একজন ছাত্র-ছাত্রী বিদ্যালয় দেখা যায় নি।সহকারী শিক্ষক মনিরুজ্জামান অনুপস্থিত, তিনি উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা নেয়ামত উল্লাহ কে ফোন ধরি দেয়। উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা জানান, আমার ফেয়ারওয়েল হওয়ায় সহকারী শিক্ষক মনিরুজ্জামানকে অফিসে ডেকেএনেছি,উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তাকে শিক্ষক হাজীরা দেখাতে বললে মাহবুব হোসেন বলে খাতাতো পাচ্ছি না, আপনারা কি হাজিরা খাতা সই করেননি বললে বলে করেছি তাহলে খাতা গেল কই? এরউত্তর দিতে পারেনি। অনেকেই অভিযোগ করেছেন মনিরুজ্জামান মনির সহকারী শিক্ষক সমিতির সভাপতি হওয়ায় সারাক্ষণ উপজেলায় দেখা যায়। মাহবুব হোসেনকে ছাত্র-ছাত্রী নাই কেন এ প্রশ্নের জবাবে বলেন রোধওঝড় বৃষ্টির কারণে বিদ্যালয় ছাত্র-ছাত্রীরা উপস্থিত হয় না। গরমের এবং ঝড় বৃষ্টি ভেতরে বিদ্যালয় উপস্থিত হন কিনা তিনি বলেন উপস্থিত হই, তাহলে বিদ্যালয়ে ছাত্র-ছাত্রী কেন উপস্থিত হবে না। দেখা যায় স্কুল সংলগ্নএকটি মাদ্রাসা।

চরের বিদ্যালয় শিক্ষকদের উপস্থিতিএক তৃতীয় অংশ। শিক্ষকরা পালাক্রমে পাঠদান করে।তিনটি ট্রলার ঘাট, হাজীগঞ্জে আখেরের খেওয়া, এমপি ডাংগি, কবিরের ঘাট পার খেওয়া এ তিনটি খেওয়ায়,সাড়ে দশটার আগে কোন ট্রলার ছাড়ে না, আবার ওইপাড় থেকে দুইটা ছেড়ে আছে।তাহলে শিক্ষকরা কি পাঠ দান করে।চরে শিক্ষকতামানেই বিদ্যালয় বিমুখী বিভিন্ন শিক্ষকরা ঘুরেভিন্নপেশার সাথে সম্পৃক্ততা দেখা যাচ্ছে।এছাড়াও অনেক শিক্ষক শিক্ষা অফিসারের অনেক এশার অনেক শিক্ষক সহকারীশিক্ষা অফিসারের সাথে সুসম্পর্ক ও বিভিন্ন নেতার দাম্ভিকতায় বিদ্যালয় যাচ্ছে না। নাম প্রকাশ না করা শর্তে এক শিক্ষক দাবি করছেন সরকারি শিক্ষা কর্মকর্তার জোকসাজেশে শিক্ষকদের বিদ্যালয়ে অনুপস্থিতির হার ব্যাপক বৃদ্ধি পাচ্ছে।

এ ব্যাপারে চরভদ্রাসন উপজেলা নির্বাহী অফিসার ফয়সাল বিন করিমকে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে তিনি তিনটি ঘাট মালিকদের কে আনঅফিসিয়াল ভাবে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্য বিদ্যালয় শিক্ষকদের শতভাগ উপস্থিতি থাকার নির্দেশ দিয়েছেন।

ঠিক এলাকাবাসীর ও সুশীল সমাজ শিক্ষার মানদন্ডে উন্নীত করারলক্ষ্যে শিক্ষকগণ শিক্ষক নেতাগণ বিদ্যালয় মুখি হওয়ার জন্য জেলা প্রশাসক ও সেনাবাহিনীর সিওএবং সমন্বয়কারীদের,বিভিন্ন সংস্থা গুলোকেবিদ্যালয় শিক্ষকদের উপস্থিতিতে নজর দারিতে জোর দাবি করছে।


Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *