মহানগর আ’লীগে মূল্যায়িত হবেন ত্যাগীরা পদ পাচ্ছেন না কাউন্সিলররা

এইমাত্র রাজধানী রাজনীতি

বিশেষ প্রতিবেদক : ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটিতে স্থান পাবেন ত্যাগীরা। তবে সিটি কর্পোরেশনের নবনির্বাচিত কাউন্সিলরদেরকে এ কমিটিতে রাখা হবে না বলে জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় ও মহানগর কমিটির নীতি নির্ধারকরা। শুধু মহানগর নয়, ওয়ার্ড থেকে থানা পর্যায়ের গুরুত্বপূর্ণ পদে না রাখার পক্ষে আওয়ামী লীগ। বিষয়টি নিয়ে কাউন্সিলদের মধ্যে দেখা গেছে মিশ্র প্রতিক্রিয়া। তবে মহানগর ও আওয়ামী লীগের নীতি নির্ধারকরা বলছেন, দলের মধ্যে সমতা বজায় রাখতে এমন সিদ্ধান্ত। সিটি নির্বাচনে দল থেকে যাদের মনোনয়ন দেয়া হয়নি তাদের অনেককে আনা হবে মহানগরের গুরুত্বপূর্ণ পদে। বাদ পড়তে যাচ্ছেন বর্তমান কাউন্সিলররা বলছেন, নীতি নির্ধারকরা।
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক বাহাউদ্দিন নাছিম বলেন, যারা কাউন্সিলর হয়েছেন। তারা-তো দলীয় মনোনয়ন পেয়েছেন। যাদের মনোনয়ন দেয়া সম্ভব হয়নি তাদের মধ্যে যারা নেতৃত্ব দিতে আগ্রহী তাদের দায়িত্ব দেয়া হবে।
তৃণমূল পর্যায়ে জনগণকে সেবা দিতেই নীতিগত সিদ্ধান্ত নিতে যাচ্ছেন বলে জানিয়েছেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ’র সভাপতি আবু আহমেদ মন্নাফী। আমরা চাই কাউন্সিলররা এলাকার মানুষকে যথেষ্ট সময় দিক এবং সেই সঙ্গে মানুষের আস্থা অর্জন করুক। নতুন কমিটিতে কারা কার আসছে এমন প্রশ্নের জবাবে আবু আহমেদ মন্নাফী বলেন, পোড় খাওয়া ত্যাগীদেরকে কমিটিতে স্থান দেওয়া হবে এবং হাইব্রীডদের ব্যাপারে আমরা সতর্ক রয়েছি। যাতে এরা কমিটিতে ঢুকতে না পারে। এ ছাড়া কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের সাথে আলাপ আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
গত বছরের ৩০ নভেম্বর উৎসবমুখর পরিবেশে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে অনুষ্ঠিত হয় ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের সম্মেলন। সম্মেলনের দ্বিতীয় অধিবেশনে ঢাকা দক্ষিণে আবু আহমেদ মন্নাফীকে সভাপতি ও হুমায়ুন কবিরকে সম্পাদক এবং উত্তরে শেখ বজলুর রহমান সভাপতি ও এসএম মান্নান কচিকে সম্পাদক করে নতুন কমিটি ঘোষণা করে আওয়ামী লীগ।
বিভিন্ন ইস্যুতে গেল আড়াই মাসেও পূর্ণাঙ্গ কমিটি করতে পারেনি ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ আওয়ামী লীগ। প্রধানমন্ত্রী আগামী ২১ ফেব্রুয়ারির মধ্যে দুই সিটিতে পূর্ণাঙ্গ কমিটি করার নির্দেশ দেন। তবে মহানগর নেতাদের সঙ্গে কথা বলা জানা গেছে, ২১ ফেব্রুয়ারির মধ্যেও হচ্ছে না কমিটি। আর আসন্ন কমিটিতে ঢাকার দুই সিটিতে নির্বাচিত কাউন্সিলররা কোনো পদে থাকছেন না।
তবে বিষয়টি নিয়ে দলীয় নেতা ও কাউন্সিলরদের মধ্যে দেখা গেছে মিশ্র প্রতিক্রিয়া।
ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের কাউন্সিলর মামুন রশিদ শুভ্র বলেন, আমি বিশ্বাস করি কাউন্সিলররা দায়িত্ব গ্রহণের পাশাপাশি দলীয় কাজও করবেন। সে ক্ষেত্রে দল আরও শক্তিশালী হবে।
ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের কাউন্সিলর আসাদুজ্জামান আসাদ বলেন, আমাদের নেত্রী যে নির্দেশনা দেবেন ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগ সেটা মেনে নেবে।


বিজ্ঞাপন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *