কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি : কুড়িগ্রাম পৌরসভার কৃষ্ণপুর বকসী পাড়া গ্রামে দীর্ঘদিনের জমিজমা-সংক্রান্ত বিরোধের জেরে এই মহিলা কাউন্সিলরের পরিবারকে তাদের বসতবাড়ি থেকে উচ্ছেদ করার চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে প্রভাবশালী ফখরুল খোন্দকার (৪০) এর বিরুদ্ধে।

স্থানীয় একটি প্রভাবশালী চক্রের সহযোগিতায় ওই পরিবারের উপর একের পর এক হামলা চালিয়ে মারপিট ও উচ্ছেদের পাঁয়তারা করলেও তাদেরকে কেউ আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের সুযোগ দিচ্ছেনা। একাধিকবার সমাধানের লক্ষ্যে বৈঠকের সিদ্ধান্ত করলেও উপস্থিত ছিলেন না প্রভাবশালী ফখরুল খন্দকার এনিয়ে থানায় অভিযোগ দায়ের করলেও পুলিশ তেমন কোনো পদক্ষেপ নেয়নি। ভুক্তভোগী পরিবরের সদস্যরা এখন বিচারের জন্য দ্বারে দ্বারে ধর্না দিচ্ছে।

বকসী পাড়া গ্রামের মৃত বাবুল হোসেনের স্ত্রী মহিরন বেগম অভিযোগ করেন যে, তাদের প্রতিবেশী মোঃ মাহমুদ খন্দকারের ছেলে মোঃ ফখরুল খন্দকারের সাথে ভিটাচালা নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলছে।
এ বিরোধের জেরে বিভিন্ন সময় ফখরুল খন্দকার তার পরিবারের উপর হামলা চালিয়ে মারপিট করে ও বিভিন্ন ভয়ভীতি দেখিয়ে উচ্ছেদের চেষ্টা চালায়। গত ১২/০৭/২৪ রাত ১ টা ১৫ মিনিটের দিকে মহিরন বেগম রাতে বের হলে পূর্বপরিকল্পিত ভাবে ফখরুল খন্দকার রাতের অন্ধকারে মহিরনের বসত বাড়ির ভিতরে অবস্থান করে তাকে হত্যার উদ্দেশ্যে দেশিও অস্ত্র দিয়ে এলোপাতাড়ি কোপায় মহিরন আত্মরক্ষায় চিৎকার করলে ফখরুল তৎক্ষণিক পালিয়ে যায়।
মহিরন এক পর্যায়ে অজ্ঞান হয়ে পড়ে যায় এ সময় তার মেয়ে স্থানীয়দের ডেকে মহিরনকে উদ্ধার করে কুড়িগ্রাম সদর হাসপাতালে ভর্তি করায়। সুস্থ্য হয়ে পরদিন তিনি কুড়িগ্রাম সদর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত ফখরুল ইসলামকে মোবাইল ফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করলেও তাকে পাওয়া যায়নি। এ ব্যাপারে জানতে চাইলে কুড়িগ্রাম সদর থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ মাছুদুর রহমান বলেন, এবিষয়ে একটি লিখিত অভিযোগ আছে অভিযোগটি তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।