জগন্নাথপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক এর বিরুদ্ধে অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ

Uncategorized অনিয়ম-দুর্নীতি অপরাধ আইন ও আদালত গ্রাম বাংলার খবর বিশেষ প্রতিবেদন শিক্ষাঙ্গন সারাদেশ সিলেট

মোঃ মুকিম উদ্দিন (সুনামগঞ্জ ) : সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলার জগন্নাথপুর পৌর এলাকার পশ্চিম ভবানীপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মনিরুল ইসলাম এর বিরুদ্ধে নানা অনিয়ম, দুর্নীতির অভিযোগ এনে এলাকাবাসীর পক্ষে তিন কার্যালয়ে তিনটি অভিযোগপত্র দাখিল করেছেন।


বিজ্ঞাপন

গতকাল মঙ্গলবার ১৬৬ জনের স্বাক্ষরিত অভিযোগপত্র পৃথকভাবে জগন্নাথপুরের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও), প্রাথমিক শিক্ষা কর্তকর্তা ও সেনাবাহিনী ক্যাম্পে দাখিল করা হয়।


বিজ্ঞাপন

অভিযোগ সুত্রে জানা যায়, ১৩৩ নং পশ্চিম ভবানীপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মনিরুল ইসলাম দীর্ঘদিন ধরে অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে বিদ্যালয়ের অর্থ আত্মসাত করে আসছিলেন। স্লীপের ফান্ডের টাকা, ভুয়া ভাইচার তৈরী করে বিদ্যালয়ের ক্ষুদ্র মেরামতের টাকা উত্তোলন করে করছেন। জন্ম নিবন্ধন করে দেওয়ার কথা বলে শিক্ষার্থীদের নিকট থেকে অতিরিক্ত টাকা আদায় করা, শিক্ষার্থীদের পাঠদানের প্রতি খেয়াল না করে নিজের বালু, পাথরের ব্যবসার কাজে বাহিরে ব্যস্ত থাকাসহ বিদ্যালয়ের ছাদে কৃষিপন্যের বাগান তৈরী করে নিজের আখের গোছাতে দেদারছে ব্যবসা করছেন বলে অভিযোগপত্রে উল্লেখ করা হয়। এছাড়া বিদ্যালয়ে কমিটি না থাকায় প্রধান শিক্ষক তাঁর ইচ্ছামতো নানা অনিয়ম ও দুর্নীতি চালিয়ে যাচ্ছেন। দ্রুত প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা করে শিক্ষকের অপসারন দাবী করা হয় অভিযোগ পত্রে।

বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সাবেক সভাপতি স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলর ছমির উদ্দিন বলেন, সরকারি নিয়ম নীতিকে বৃদ্ধাঙ্গুলী দেখিয়ে প্রধান শিক্ষক দীর্ঘদিন ধরে নানা অনিয়ম দুর্নীতি করে আসছেন। বিদ্যালয়ের কোমলমতি শিক্ষার্থীদের পাঠদানের প্রতি যত্মবান না হয়ে তিনি বালু, পাথরের ব্যবসার সাথে জড়িত থাকায় বিদ্যালয়ে অনুপস্থিত থাকেন। এছাড়া বিদ্যালয়ের বিভিন্ন উন্নয়ন ফান্ডের অর্থ আত্মসাত করে আসছেন। এসব বিষয়ে মৌখিকভাবে বারবার স্থানীয় শিক্ষা অফিসকে অবহিত করা হলেও কোন ফলোদয় হয়নি।

এবিষয়ে অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষক মনিরুল ইসলামের সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, তাঁর বিরুদ্ধে আণিত অভিযোগ মিথ্যা ও ভিত্ত্বিহীন।

জগন্নাথপুরের ইউএনও আল বশিরুল ইসলাম জানান, অভিযোগপত্র পেয়েছি। বিষয়টি তদন্ত করা হবে।
উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস নিশ্চিত করেছেন প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র পাওয়া গিয়েছে বলে।


Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *