সেখ রিয়াজুদ্দিন, (বীরভূম) : “মা বোনেদের সম্মান তোমাদের সকলের সম্মান।” আর জি করের নৃশংস ঘটনার দ্রুত বিচার, সর্বোচ্চ শাস্তি (ফাঁসি), ধর্ষণ এবং ধর্ষণ করে খুনের ঘটনা সংক্রান্ত আইন পরিবর্তন এবং বিজেপির বাংলা বিরোধী চক্রান্তের প্রতিবাদে রাজ্যের বিভিন্ন স্থানের ন্যায় বীরভূম জেলার প্রতিটি ব্লক ভিত্তিক তৃণমূল কংগ্রেসের অবস্থান বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করা হয়। তৃণমূল সুপ্রিমো তথা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশানুযায়ী আরজিকর ঘটনার প্রেক্ষিতে এবং ২৭ শে আগস্ট বিজেপি প্রভাবিত ছাত্র সমাজের ব্যানারে নবান্ন অভিযানের পরিপ্রেক্ষিতে ঘোষণা করেছিলেন ৩০ আগস্ট প্রতিটি কলেজে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের অবস্থান বিক্ষোভ। পাশাপাশি ৩১ শে আগস্ট ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে ব্লকের সামনে অবস্থান বিক্ষোভ এবং ১ লা সেপ্টেম্বর ব্লক মহিলা তৃণমূল কংগ্রেসের অবস্থান বিক্ষোভ কর্মসূচি।
তারই পরিপ্রেক্ষিতে শনিবার সমগ্র রাজ্যের পাশাপাশি বীরভূম জেলার প্রতিটি ব্লক ভিত্তিক অবস্থান বিক্ষোভ করা হয়।অনুরূপ খয়রাসোল ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকেও অবস্থান বিক্ষোভ কর্মসূচি পালিত হয় খয়রাসোল ব্লক অফিসের সন্নিকটে। মা বোনেদের সম্মান, আমাদের সকলের সম্মান। দোষীদের ফাঁসি চাই। রাম বাম শ্যাম এর চক্রান্ত বন্ধ হোক । রবিবারের মধ্যে সিবিআইকে তদন্ত শেষ করতে হবে।
এই সমস্ত দাবির পরিপ্রেক্ষিতেই আজ শনিবার খয়রাশোল ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের দলীয় কার্যালয় থেকে দলীয় পতাকা ব্যানার ফেস্টুন প্লে কার্ড সহযোগে এক মিছিল পরিক্রমা করা হয় স্থানীয় বাজার, বাসষ্ট্যান্ড সহ বিভিন্ন এলাকায়।এরপর ব্লকের সামনে অস্থায়ী মঞ্চে অবস্থান বিক্ষোভ শুরু করেন।
এদিন অবস্থান বিক্ষোভ মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন রাজ্য যুব তৃণমূল কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক দেবব্রত সাহা, খয়রাশোল ব্লক তৃণমূল কংগ্রেস কোর কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক মৃণাল কান্তি ঘোষ ও শ্যামল গায়েন এবং দুই সদস্য সদস্য উজ্জ্বল হোক কাদেরী ও কাঞ্চন দে। এছাড়াও ছিলেন তৃনমূল নেতৃত্ব শেখ জয়নাল,সন্তু মুখার্জী, সপ্তম গোপ এবং দশটি অঞ্চলের নেতৃত্ব সহ দলীয় কর্মীগণ। একই চিত্র দেখা যায় জেলার দুবরাজপুর, সিউড়ি, রাজনগর, সাইথিয়া, রামপুরহাট সহ সর্বত্র।