নকল ভেজাল ওষুধে বাজার সয়লাব

অপরাধ এইমাত্র জাতীয় জীবন-যাপন স্বাস্থ্য

একরাম ল্যাবরেটরীজ

 

 

আজকের দেশ রিপোর্ট : রাজধানীসহ সারাদেশে একরাম ল্যাবরেটরীজের নকল ও ভেজাল সর্বপরি ক্ষতিকর কেমিক্যাল যুক্ত ওষুধের বাজর সয়লাব হয়েছে বলে অভিযোগ ওঠেছে। অভিযোগ মতে দেশের প্রত্যান্ত অঞ্চলের আনাচে-কানাচে অবস্থিত ওষুধের ফার্মেসীতে বিক্রি হচ্ছে একরাম ল্যাবরেটরীজের বিষাক্ত মোটা তাজা করণ নকল ভেজাল ভিটামিন ওষুধ। এসব ক্ষতিকর কেমিক্যাল মিশ্রিত ভিটামিন ওষুধ সেবনে দেশের জনস্বাস্থ্যে বিরুপ প্রতিক্রিয়া লক্ষ্য করা যাচ্ছে। আর এই বিরুপ প্রতিক্রিয়ার শিকার হচ্ছে দেশের অশিক্ষিত ও অর্ধশিক্ষিত সাধারণ মানুষ। এ সব অভিযোগ ওষুধ ব্যবসার সাথে সম্পৃক্ত একটি মহলের। জানা গেছে একরাম ল্যাবরেটরীজের প্রস্তুতকৃত ওষুধের মধ্যে ভিটামিন সিরাপ এমিটন প্লাস, একরোপ্লেক্স, একরোভিট ও মিমোটন নামক সিরাপ উৎপাদন ও বাজারজাত করছে। এই সব ভিটামিন সিরাপে ডেক্সামেথাসন, সিপ্রো হেপ্টাডিন ও থিয়ভিটসহ আরো বেশ কয়েক প্রকার গবাদি পশু মোটা তাজা করণ কেমিকেল ব্যবহার করছে বলে একাধিক ভুক্ত ভোগিরা জানিয়েছে। একরাম ল্যাবরেটরীজ (আয়ু) এর উৎপাদিত ওষুধ সমূহের মধ্যে বেশি বিরুপ প্রতিক্রিয়া লক্ষ্য করা যায় এমিটন প্লাস নামক সিরাপ সেবনে এর শাস্ত্রীয় নাম দশমুলারিষ্ট এটা মাল্টিভিটামিন, মাল্টিমিনারেল এবং ¯œায়ুবিক শক্তি বর্ধক ওষুধ হিসাবে ব্যাবহার হচ্ছে। যার ডিএআর নং- আয়ু-১০২-এ-০১১, ব্যাচ নং-৪৩, উৎপাদন তারিখ মার্চ- ২০১৯, মেয়াদ উত্তর্নের তারিখ- ফেব্রয়ারী ২০২১ এবং এর মূল্য -৩০০ টাকা। মিমোটন সিরাপ শাস্ত্রীয় নাম ব্রাক্ষীরসয়ন এটা স্মৃতি শক্তি বর্ধক, পাঁকস্থলির শক্তি বর্ধক, পুষ্টি বর্ধক ও রুচি বর্ধক ওষুধ হিসাবে বিক্রি হচ্ছে। এর ডিএআর নং- আয়ু- ১০২- এ-০২৬, ব্যাচ নং- ১৫ উৎপাদন তারিখ অক্টবর- ২০১৯, মেয়াদ উত্তির্নের তরিখ সেপ্টম্বর- ২০২১ এবং এর মূল্য- ৩৬০ টাকা মুদ্রণ করা আছে। একরো প্লেক্স সিরাপ শাস্ত্রীয় নাম ভীমরস এর ডিএআর নং- আয়ু-১০২- এ-০০৮, ব্যাচ নং-০৮, উৎপাদন তারিখ এপ্রিল-২০১৯, মেয়াদ উত্তীর্নের তারিখ মার্চ- ২০২১ এবং মূল্য-৩৫০ টাকা। একরোভিট সিরাপ এর শাস্ত্রীয় নাম বলারিষ্ট চিনি মুক্ত এই সিরাপের ডিএআর নং-আয়ু-১০২-এ-০১৩, ব্যাচ নং-০৮, উৎপাদন তারিখ- সেপ্টম্বর২০১৯, মেয়াদ উত্তীর্নের তারিখ- আগষ্ট২০২১ এবং মূল্য ৪০০ টাকা। এমিটন প্লাস, নিমোটন, একরোপ্লেক্স এবং একরোভিট নামক সিরাপ সেবন করলে সেবনকারীর রুচি ও ক্ষুধা বেড়ে যায় অস্বাভাবিক ভাবে, এছাড়া শরীরে ভিবিন্ন স্থানে ঘামাচি, চর্ম ও এলার্জির প্রতিক্রিয়ার প্রভাব ফেলছে বলে অভিযোগ উঠেছে। অনেক ক্ষেত্রে এই এমিটন প্লাস, মিমোটন, একরোপ্লেক্স ও একরোভিট সিরাপ সেবনে মানব দেহে স্কীনের অনেক জায়গা দিয়ে ফুলে ওঠে। বিশেষজ্ঞদের মতে এসব ভিটামিন ওষুধের বিরুপ প্রভাবে মানব দেহে লিভার, কিডনি ও ফুসফুসে পানি জমা হয়। আবার এই সব ওষুধ সেবন করা বন্ধ করলেও মানব দেহে বিরুপ প্রভাব ফেলে যেমন, ক্ষুদামন্দা, শরীরে ক্লান্তী ভাব শ^সকষ্টসহ ও লিভার সিরেসিস হওয়ার সম্ভবনা শতভাগ। এই সকল অভিযোগের বিষয়ে একরাম ল্যাবরেটরীজ এর মালিক একরাম এর বক্তব্য জানতে চাইলে তিনি জানান তার কোম্পানীর উৎপাদিত ওষুধ সেবনে কারো শরীরে বিরুপ প্রতিক্রিয়ার প্রভাব ফেলেছে এমন কোন তথ্য তার জানা নেই এবং ওষুধ প্রস্তুত কালে ক্ষতিকর কেমিকেল এর ব্যবহারের বিষয়েও তিনি কিছু জানেন না। তিনি আরো জানান একটি কুচক্রীমহল তার কোম্পানীর নাম ব্যবহার করে নকল ও ভেজাল এমিটন প্লাস, নিমোটন, একরোপ্লেক্স ও বলারিষ্ট নাম সিরাপ বাজারজাত করে তার কোম্পানীর সুনাম ক্ষুন্ন করছে। এই কারণে তিনি ব্যবসায়িক ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন বলে ও দাবি করেন। তবে তার কোম্পানীর ওষুধ নকল হওয়ার ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তরের ফাইল অফিসার বা উর্ধ্বতন কর্মকর্তাকে অবগত করেছেন কিনা বা কোন রকম আইনি ব্যবস্থ্যা গ্রহণ করেছেন কিনা এই সব বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি অপ্রসঙ্গিক কথা বার্তা বলে বিষয় টি সু-কৌশলে এড়িয়ে যান।


বিজ্ঞাপন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *